টাঙ্গাইল ও পঞ্চগড়ে পৃথক ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৩
Published: 23rd, October 2025 GMT
টাঙ্গাইল ও পঞ্চগড়ে পৃথক তিনটি ধর্ষণ মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) র্যাব ১৪ এর ৩ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. কাওসার বাঁধন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কাদের ভূঁইয়া (৪০), মেহেদী হাসান (২২) ও আ. জলিল (৪১)।
আরো পড়ুন:
জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
নোয়াখালীতে শিবির-যুবদল সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা
কোম্পানি কমান্ডার জানান, অভিযুক্ত কাদের পেশায় মাছ ব্যবসায়ী ও একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মালিক। তার এনজিওতে চাকরির সুবাদে ভিকটিমকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতেন কাদের। এর জেরে ভুক্তভোগী চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
সম্প্রতি কাদের ওই নারীকে ফোন দিয়ে অফিসের হিসাবপত্র বুঝিয়ে দিয়ে যেতে বলেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর স্বামীকে নিয়ে এনজিও অফিসে যান ভুক্তভোগী। এ সময় গ্রাহকের হিসেব বই আনার কথা বলে ভিকটিমের স্বামীকে বাড়িতে পাঠান কাদের। সেই সুযোগে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন তিনি।
এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের সখিপুর থানায় মামলা করেন। বুধবার বিকেলে যমুনা সেতুর পূর্বপাড় থেকে কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরেক ঘটনায়, গত ২০ জুলাই এক নাবালিকাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখেন মেহেদী হাসান ও তার সহযোগীরা। সেখানে মেহেদী ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা আদালতে পিটিশন মামলা করেন। বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইলের সখিপুর থানাধীন ভুয়াপুর ইব্রাহীম খান কলেজ গেট এলাকা থেকে মেহেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে জলিল দূরসম্পর্কের এক ভাগ্নিকে ধর্ষণ করেন। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। এক মাস পর গর্ভধারণের বিষয়টি জানতে পেরে জলিল ভিকটিমকে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ান, এতে ভিকটিম গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। বুধবার রাতে জলিলকে পঞ্চগড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা/কাওছার/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
নথি ঘষামাজা করে ৪০ কোটি টাকা কর ফাঁকি, চসিকে দুদকের অভিযান
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) দুটি প্রতিষ্ঠানের পৌরকরের নথিতে ঘষামাজা করে ৪০ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ তদন্তে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। এ সময় দুদক কর্মকর্তারা নথি পর্যালোচনা ও চসিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ২০১৭–২০১৮ অর্থবছরে ইছাহাক ব্রাদার্সের হোল্ডিংয়ের পৌরকর নির্ধারণে ২৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকার স্থলে ২ মুছে দিয়ে ২০ কোটি টাকা কম দেখানো হয়। একইভাবে, ইনকনট্রেন্ড ডিপোর ২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকার পৌরকর ২ মুছে দিয়ে ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকায় দেখানো হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম বলেন, ‘‘নথি ঘষামাজা করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের মালিকেরও যোগসাজশ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সিগনেচার এক্সপার্ট ও ব্যাংকিং হিসেব তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’’
ঢাকা/রেজাউল/রাজীব