মালিবাগে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি
Published: 9th, October 2025 GMT
রাজধানীর মালিবাগের একটি বিপণিবিতানে শম্পা জুয়েলার্স থেকে প্রায় ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগ উঠেছে। যার মধ্যে ৪০০ ভরি দোকানের নিজস্ব এবং ১০০ ভরি বন্ধকী সোনা। প্রতি ভরি সোনার দাম দুই লাখ টাকার বেশি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পেছনের জানালা দিয়ে চোরেরা প্রবেশ করে। পুলিশ চোর শনাক্ত ও স্বর্ণালংকার উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে চুরি হওয়া সোনার পরিমাণ নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণ মামলার আলামত নষ্টের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার আলামত নষ্টের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা কৃপাসিন্ধু বালার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তিনি ওই মামলার সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা ও ধুনট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
পুলিশ কর্মকর্তা কৃপাসিন্ধু বালা ও মামলার প্রধান আসামি মুরাদুজ্জামান ওরফে মুকুলের (৫৪) বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
আসামি মুরাদুজ্জামান ধুনট উপজেলার একটি কলেজের শিক্ষক। অন্যদিকে সাবেক ওসি কৃপাসিন্ধু বর্তমানে গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত।
বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা কৃপাসিন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের আলামত গায়েব করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আদালত সেটি আমলে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। মামলার প্রধান আসামি মুরাদুজ্জামান বর্তমানে উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে আছেন।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীর মা গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, মূল আসামিকে ধর্ষণের শাস্তি থেকে বাঁচাতে কৃপাসিন্ধু বালা আসামির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে আলামত নষ্ট করেন। থানা ও ডিবি পুলিশ হয়ে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তখন কৃপাসিন্ধু বালার নাম বাদ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সবুজ আলী।
ওই অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করে এক মাসের মধ্যে আদালতে পুনঃতদন্ত চেয়ে আবেদন করেন ভুক্তভোগীর মা। আদালত গত বছরের ১৫ আগস্ট মামলাটি পুনঃতদন্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য পিবিআইকে আদেশ দেন। পিবিআইয়ের তিন তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলের পর গত মঙ্গলবার পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, শিক্ষক মুরাদুজ্জামান ২০২১ সালের অক্টোবরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ থাকতেন। দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীকে একা পেয়ে তিনি জড়িয়ে ধরে ছবি তোলেন এবং তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল আবার ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটির চিৎকার করলে পালিয়ে যান মুরাদুজ্জামান। পরে অশালীন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই বছরের ১২ মে মামলা করেন।