গ্রিসেলদাকে জীবনে বড় সিদ্ধান্তটি নিতে হয়েছিল ২০১৮ সালে। তাঁর বাড়ি ছিল গুয়াতেমালার কুয়েতজালতেনাঙ্গো শহরের কাছে এক পাহাড়ি এলাকায়। বছরের পর বছর ধরে মাটির ঘরে বৃষ্টির পানি ঢোকা ঠেকাতে পারেননি তিনি। গ্রিসেলদার দুর্দশা আরও বাড়িয়েছিল খরা। ফলে ২০১৮ সালে জন্মভূমি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

হোসেনের বসবাস ছিল দুই মহাদেশ পেরিয়ে। তিনি বদলে যেতে থাকা জলবায়ুর চাপটা টের পেয়েছিলেন ২০২২ সালের গ্রীষ্মের শেষ দিকে। তখন তিনি স্ত্রী ও সদ্য জন্ম নেওয়া মেয়েকে বাড়ি ফেরানোর জন্য হাসপাতালের বিলটুকুও মেটাতে পারছিলেন না। বাংলাদেশের ফেনী জেলায় এক দশক ধরে বারবার বন্যায় তাঁর ফসল নষ্ট হয়েছিল। ফলে ফুরিয়ে গিয়েছিল সব সঞ্চয়।

মোহামেদের বিষয়টা পরিষ্কার হয়েছে আরও সম্প্রতি, ২০২৩ সালে সেনেগালের দিউরবেল এলাকায় নতুন করে আরেক দফা খরা ও তীব্র বৃষ্টিপাতের পর। এই দুর্যোগের জেরে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে তাঁর টানাপোড়েন দেখা দিয়েছিল।

দুর্যোগগুলোর কিছু এসেছিল হঠাৎ করেই, কিছু ধীরে ধীরে। আর শেষ পর্যন্ত জলবায়ু সংকট এই মানুষগুলোর পিঠ দেয়ালে ঠেকিয়ে দিয়েছিল। দুর্যোগের কবল থেকে বাঁচতে তখন যা সবচেয়ে ভালো মনে হয়েছিল, সেটাই করতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। আর তা হলো, মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা। তারপর নিউইয়র্ক শহরে নতুন একটি জীবন খুঁজে নেওয়া।

প্রতীকী ছবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হয় ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘খ্যাতির লোভে আমি নগ্ন হতে পারিনি’

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন মডেল ও বলিউড অভিনেত্রী নার্গিস ফাখরি। ২০১১ সালে ‘রকস্টার’ ছবির মাধ্যমে নার্গিসের বলিউডে অভিষেক। ‘ম্যায় তেরা হিরো’, ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’, ‘হাউসফুল থ্রি’ ইত্যাদি সিনেমা তাঁকে পরিচিতি এনে দেয়। ‘রকস্টার’ ছবির সহ-অভিনেতা রণবীর কাপুরের সঙ্গে নার্গিসের প্রেমের খবর চাউর হয়। পরবর্তী সময়ে উদয় চোপড়া, রানা দাগুবতির সঙ্গেও তাঁর প্রেমের খবর ডালপালা মেলে। একসময় ‘ম্যায় তেরা হিরো’ ছবির সহ-অভিনেতা বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন নার্গিস ফাখরি। আজ এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। জন্মদিনে জেনে নিই এই অভিনেত্রীর প্রেমের খবর।

নিউইয়র্ক থেকে বলিউড
১৯৭৯ সালের ২০ অক্টোবর নিউইয়র্কের কুইন্স সিটিতে জন্ম নেন নার্গিস ফাখরি। বাবা পাকিস্তানি, মা চেক রিপাবলিকের নাগরিক। ছয়-সাত বছর বয়সেই মা–বাবার বিচ্ছেদ তাঁকে ভীষণ নাড়া দিয়েছিল। ছোটবেলা থেকেই মায়ের প্রেরণায় বড় হয়েছেন নার্গিস। তিনি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই জানতাম, আমাকে লড়াই করে বাঁচতে হবে।’ জীবনের প্রথম অধ্যায় শুরু হয় মার্কিন মডেলিং জগতে। জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো আমেরিকা’স নেক্সট টপ মডেল–এর মাধ্যমে তিনি আলোচনায় আসেন।সমালোচকদের মতে, লম্বা গড়ন, বুদ্ধিদীপ্ত চোখ আর আত্মবিশ্বাসী হাসিতে খুব দ্রুত ফ্যাশন দুনিয়ায় জায়গা করে নেন। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য ছিল আরও বড়—চলচ্চিত্রে অভিনয়।

রণবীরের বিপরীতে তাঁর আবেগঘন অভিনয়, সরলতা ও পর্দায় উপস্থিতি দর্শকদের মুগ্ধ করে। একলাফে পরিচিতি পান ‘রকস্টার গার্ল’ হিসেবে।

‘রকস্টার’ দিয়ে যাত্রা
২০১১ সালে ইমতিয়াজ আলীর পরিচালনায় ‘রকস্টার’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন নার্গিস ফাখরি। ছবিতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন রণবীর কাপুর। সিনেমাটি বক্স অফিসে সাফল্য পায় এবং সমালোচকদের কাছ থেকেও প্রশংসা কুড়ায়। রণবীরের বিপরীতে তাঁর আবেগঘন অভিনয়, সরলতা ও পর্দায় উপস্থিতি দর্শকদের মুগ্ধ করে। একলাফে পরিচিতি পান ‘রকস্টার গার্ল’ হিসেবে।
কিন্তু জনপ্রিয়তার সেই আলোয় যেমন প্রশংসা জোটে, তেমনি শুরু হয় ব্যক্তিগত জীবনের নানা গুঞ্জন। ‘রকস্টার’ ছবির শুটিং চলার সময় রণবীর কাপুর ও নার্গিস ফাখরির প্রেমের জোর গুঞ্জন ওঠে। প্রচুর সময় একসঙ্গে কাটাতে দেখা যায় তাঁদের। সে সময় নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে ছবি মুক্তির আগপর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছিলেন তাঁরা। অবশেষে ছবি মুক্তির পর তাঁরা জানান, তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক নেই। সেই সময় প্রেমিকা ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে প্রকাশ্যেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন রণবীর। আর নার্গিস নিজেকে সঁপে দেন অভিনেতা ও প্রযোজক উদয় চোপড়ার বাহুডোরে। পিটিআইসহ বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়।

নার্গিস ফাখরি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তৃতীয় সন্তানের বাবা হলেন রুমি
  • ট্যাক্সি চালিয়ে গড়েছেন ৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নিউইয়র্কে সংবর্ধিত
  • ‘খ্যাতির লোভে আমি নগ্ন হতে পারিনি’