চব্বিশে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণারা তারিখ জানা যাবে আগামী ১৩ নভেম্বর।

মামলার আসামিদের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এখনও পলাতক। কারাগারে আটক সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন।

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনার ওপর হামলা: সাবেক এমপি হাবিবসহ ৪৪ আসামি খালাস

সর্বাত্মক ফ্যাসিবাদ কায়েম হয় ২০১৪ সন থেকে: সলিমুল্লাহ খান

এই মামলায় ৫ দিন প্রসিকিউশন পক্ষে ও ৩ দিন আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শেষে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি মো.

গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় ঘোষণার দিন ধার্যের জন্য ১৩ নভেম্বর নির্ধারণ করেন। আজকের ট্রাইব্যুনালে অপর দুই সদস্য বিচারক হলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বহুল আলোচিত এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন প্রসিকিউশন পক্ষ।

অন্যদিকে আসামিদের নির্দোষ দাবি করে তাদের খালাস চেয়েছেন রাষ্ট্রনিযুক্ত তাদের আইনজীবী। এছাড়া রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনেরও খালাস চাওয়া হয়েছে।

ট্রাইবুনালের আজকের আদেশের আগে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আসামিপক্ষে উপস্থাপিত কিছু বিষয়ের জবাব দেন।

এছাড়া রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির মাধ্যমে ন্যায়বিচারের আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস. এইচ. তামিম শুনানি করেন। এছাড়া শুনানিতে প্রসিকিউটর বি. এম. সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যান্য প্রসিকিউটরা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। আর রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

ঐতিহাসিক এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের পিতাসহ স্বজনহারা পরিবারের অনেকে। এছাড়া স্টার উইটনেস হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। মোট ৫৪ জন সাক্ষী এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এক পর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

এটি ছাড়াও হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা চলছে। এর মধ্যে একটি হয়েছে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায়। অন্যটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার চলছে। খবর বাসসের।

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আস দ জ জ ম ন খ ন ক ম ল আবদ ল ল হ আল ম ম ন র স ব ক আইজ প আস ম দ র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

তদন্তকারী কর্মকর্তা বললেন পারব, এরপর ছয় মাস সময় দিলেন আদালত

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে আরও ছয় মাস সময় নিয়েছে বিভিন্ন এজেন্সির অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স। সময় চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

এর আগে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে বিভিন্ন এজেন্সির অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তদন্ত শেষে ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। আদালতের আদেশের পর উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়।

আগের ধারাবাহিকতায় গত ২২ এপ্রিল বিষয়টি আদালতে ওঠে। তদন্ত চলমান ও অগ্রগতি আছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষ সেদিন ৯ মাস সময়ের আরজি জানায়। শুনানি নিয়ে আদালত ছয় মাস সময় মঞ্জুর করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব। বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

দুই ছয় মাস পার হয়ে গেছে

শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, সর্বশেষ গত ২২ এপ্রিল টাস্কফোর্সকে ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছিল তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।

আদালত বলেন, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স কি গঠন হয়েছে? অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ বলেন, গঠন হয়েছে এবং কাজও করছে।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘সর্বশেষ আদেশের আগেও তারা সময় নিয়েছিল। সময় নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমিটি দায়িত্ব নিলেও কোনো প্রোগ্রেস (অগ্রগতি) দিতে পারছে না। প্রোগ্রেস না দিতে পারার কারণে আমরাও সংক্ষুব্ধ, দেশের মানুষও সংক্ষুব্ধ। ছয় মাস করে দুই ছয় মাস পার হয়ে গেছে। এখন তারা এসে এ বিষয়ে বলুক।’

রিট আবেদনকারী পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। আমরা কোনো এফিডেভিট (তদন্ত সম্পর্কে হলফনামা) পাইনি, হতে সময় লাগবে। আমরা কিছু পাচ্ছি না। এ জায়গায়তে আমরা অন্ধকারে আছি। তদন্ত সম্পর্কে লিখিত কিছু পাচ্ছি না, এত বড় টাস্কফোর্স গঠন করা হলো। কী হচ্ছে, না হচ্ছে না, সে বিষয়ে আদালতে অন্তত একটা রিপোর্ট আসুক।’

ছয় মাস সময় দেওয়া হলে তখন নতুন রেজিম থাকবে। বর্তমান সরকার সিরিয়াসলি নিয়েছে, আরেক সরকার এসে সিরিয়াসলি না–ও নিতে পারে— মোহাম্মদ শিশির মনির, বাদীপক্ষের আইনজীবী

বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন হয়েছে এক বছর আগে। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম আদেশ হয়। এই আদেশের মাধ্যমে কমিটি গঠিত হয় ও কমিটি দায়িত্ব নেয়। যাঁরা তদন্ত করছেন, তাঁরা এসে বলুক তদন্তের অবস্থা, এফিডেভিট (হলফনামা আকারে) দিয়ে। আপডেট (হালনাগাদ) মানুষ জানতে চান। হালনাগাদ কিছু যদি জানে এটাও তো কিছু একটা প্রোগ্রেস। হালনাগাদ জানাতে কারও অসুবিধা থাকার কথা নয়।

একটি রিপোর্ট তুলে ধরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ বলেন, টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে। অফিসার পরিবর্তন হয়েছে, ইটস অ্যা ভেরি ওল্ড কেস (এটি অনেক পুরোনো মামলা)। তাঁরা কাজ করছেন। কাজ করে অনেক দূর এগিয়েছেন। একটা রিপোর্ট অগ্রগতি বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা হচ্ছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘এর একটা কপি আমাদের দেন।’ এ সময় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ বলেন, রিপোর্টি অফিশিয়ালি আসুক, রেজিস্টার জেনারেলের মাধ্যমে।

আদালত বলেন, রিপোর্টটি কি অফিশিয়ালি দিচ্ছেন, নাকি আন–অফিশিয়ালি?

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ বলেন, আন–অফিশিয়ালি। রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে জমা হচ্ছে। নানা জায়গা থেকে তথ্য আসছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ ও এক্সামিন (যাচাই) করতে হচ্ছে।...তদন্ত তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে যাবে।

সময় বাড়ানো নিয়ে দীর্ঘ যুক্তিতর্ক

আদালত বলেন, আগে একটা রেজিম (সরকার) ছিল। বর্তমান রেজিম এ ব্যাপারে সিরিয়াস। তখন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অবশ্যই।

আদালত বলেন, মনে হয় বেশি সময় দেওয়া ঠিক না, তিন মাস দিচ্ছি। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ বলেন, তিন মাসে পারবে না, ছয় মাস দেন। ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। বারবার আসতে চাচ্ছি না।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, অনানুষ্ঠিকভাবে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, কোর্টে আসুক। বর্তমান সরকার আসার পর বিষয়টি ফোর্সফুল (জোরদার) হয়েছে। তবে এফিডেভিট দিয়ে যদি বলে এতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, আরও অগ্রগতি হবে, তাতে কার কী ক্ষতি আছে?

শুনানির এই পর্যায়ে আবার ছয় মাস সময় দেওয়ার আরজি জানান অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ। আদালত বলেন, এটা হবে লাস্ট টাইম (শেষবার)।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ বলেন, ‘ছয় মাস না, পারলে এক সপ্তাহে মধ্যে করে দিই।’

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ছয় মাস সময় দেওয়া হলে তখন নতুন রেজিম থাকবে। বর্তমান সরকার সিরিয়াসলি নিয়েছে, আরেক সরকার এসে সিরিয়াসলি না–ও নিতে পারে। এর মধ্যে একটা তারিখ দেন।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ বলেন, তদন্ত তদন্তের মতো চলবে। সরকার কি পরিবর্তন হলো, না হলো, তাতে কিছু আসে যায় না।

আদালত বলেন, ‘আমরা তিন মাস সময় দিচ্ছি।’ তখন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ বলেন, ‘তিন মাসে হবে না। বারবার আসা, এটি আমরা চাচ্ছি না।’

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, বারবার আসা মানেই তো ট্রাই (চেষ্টা) করছেন, যা পজিটিভ (ইতিবাচক)। নির্বাচনের (আসছে জাতীয় নির্বাচন) আগে একটা তারিখ দেন।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে দিলে পারবে না। আমরা বলেছি, এক মাসের মধ্যে দিতে। উনারা (টাস্কফোর্স) বলছেন সম্ভব নয়। যেটি সম্ভব নয়, সেটি বলে লাভ কী?’

একপর্যায়ে তিন মাস সময় দেওয়ার অভিপ্রায় আবার ব্যক্ত করেন আদালত। তখন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আগেই বলছি তিন মাসে সম্ভবপর হবে না। আদালত বলেন, সম্ভব না হলে তারা এসে বলুক।

তখন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তাঁরা এসেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত আছেন।

এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক আদালত কক্ষের ডায়াসের সামনে আসেন। তাঁর উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, আর কত বছর লাগবে? তের বছর হয়ে গেল। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ বলেন, উনাদের কাছে কিন্তু এক বছর। তের বছরের ইতিহাস টানতে হলে অনেক কিছুই বলতে হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তার উদ্দেশে আদালত বলেন, কবে পারবেন? কতটুকু এগিয়েছেন? কত পার্সেন্ট? অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক বলেন, ‘অনেকটুকুই এগিয়েছি। রিপোর্টটি আপনাদের সামনে।’

এ সময় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ বলেন, অনেকেই নাই–বা বাইরে চলে গেছে, অনেকে অ্যাড্রেস চেঞ্জ (ঠিকানা পরিবর্তন) করেছে। তাঁদের খুঁজে বের করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হচ্ছে। ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) সোজা জিনিস নয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তার উদ্দেশে আদালত বলেন, তিন মাসে পারবেন না? অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক বলেন, ছয় মাস লাগবে। আদালত বলেন, ‘পজিটিভলি দিতে পারবেন? তাহলে আমরা ছয় মাস সময় দেব। আর যদি বলেন আরও সময় লাগতে পারে, তাহলে তিন মাস দেওয়া হবে।’ আজিজুল হক বলেন, ইনশা আল্লাহ পারব। পরে আদালত ছয় মাস সময় মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুনসাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১২০ বার পেছাল১১ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জে বার ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ঠিকাদারের মৃত্যু
  • তদন্তকারী কর্মকর্তা বললেন পারব, এরপর ছয় মাস সময় দিলেন আদালত
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে
  • কিশোরগঞ্জের সাবেক বিএনপি নেতা যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে
  • ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সাবজেলে রাখা হবে: আইনজীবী
  • টাঙ্গাইলে জালিয়াতির মামলায় অধ্যক্ষ কারাগারে
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতার কারাদণ্ড
  • শেখ হাসিনার ‘মেটিকুলাস প্ল্যান’ ছিল: ট্রাইব্যুনাল
  • ৫ মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন সাবেক প্রধান বিচারপতির