পাবনায় হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
Published: 13th, January 2025 GMT
পাবনায় চার বছর পর গৃহবধূ হামিদা বেগম হত্যা মামলার রায়ে তার স্বামী তেজেম মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. তানবির আহমেদ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তেজেম মোল্লা পাবনার সদর উপজেলার ফলিয়া গ্রামের মৃত বাজর উদ্দিনের ছেলে। নিহত হামিদা বেগমের বাড়ি একই গ্রামে। রায়ে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।
মামলা সুত্র জানা গেছে, ঘটনার ২০-২২ বছর আগে তেজেম মোল্লার সঙ্গে বিয়ে হয় হামিদা বেগমের। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুটি সন্তান জন্ম হয়। এরই মধ্যে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর ভোরে এ কলহের জের ধরে তেজেম মোল্লা তার স্ত্রী হামিদা বেগমকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলাকেটে এবং উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করেন।
আরো পড়ুন:
চিন্ময়কাণ্ডে আসামি হওয়া ৬৩ আইনজীবীর জামিন
পরিবেশ আইনে শাহ সিমেন্টকে ৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড
পাবনার পিপি গোলাম সরয়ার খান জুয়েল জানান, এ মামলায় মোট ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। বিচারক ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছেন।
মামলায় সরকার পক্ষে ছিলেন এপিপি আশরাফুল ইসলাম এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রথযাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপিতে সমন্বয় সভা
আসন্ন রথযাত্রা ও উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে রাজধানীর নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমন্বয় সভা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার বেলা ১১টায় ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সভায় জানানো হয়, ২৭ জুন রথযাত্রা ও ৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে ঢাকা শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রথযাত্রায় থাকবে টহল দল, সিসিটিভি ক্যামেরা, ফুট পেট্রোল, রুফটপ পার্টি, হোন্ডা মোবাইল টিম, গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), সাদাপোশাকে গোয়েন্দা, সোয়াট, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও ট্রাফিক পুলিশ।
ডিএমপি জানায়, সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে রথযাত্রা নির্ধারিত রুট ও সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। নামাজ ও আজানের সময় মাইক ব্যবহার না করা, ব্যাগ-পোঁটলা নিয়ে রথযাত্রায় অংশ না নেওয়া, নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং সন্দেহজনক ব্যক্তি বা বস্তু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকায় রথযাত্রা একটি বড় ধর্মীয় শোভাযাত্রা। শুক্রবার বিকেলে জনসমাগম বেশি হয়, তাই সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই উৎসব সুন্দর ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন হবে।
সভায় ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। সভায় ডিএমপির বিভিন্ন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম ও উপপুলিশ কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন, গোয়েন্দা সংস্থাসহ রথযাত্রা উদ্যাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।