অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ, জেনে নিন বিস্তারিত
Published: 11th, March 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ার এখন বিদেশে শিক্ষার্থীদের অন্যতম গন্তব্য। দেশটির অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম এই বিশ্ববিদ্যালয়। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে ১৯৭১ সালে এই পাবলিক রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের দিচ্ছে বৃত্তি। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গবেষণা প্রোগ্রামে অধ্যয়নে এ স্কলারশিপ দিচ্ছে গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়। কোর্সভেদে আবেদনের সময়সীমায় ভিন্নতা আছে।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ, আইএলটিএসে ৬.৫ প্রয়োজন৩১ আগস্ট ২০২৪সুযোগ-সুবিধা—
আংশিক টিউশন ফি মিলবে
স্বাস্থ্যবিমা
প্রোগ্রাম অনুযায়ী গবেষণা ভাতা পাবেন প্রার্থীরা
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ার স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় কী কী০৮ এপ্রিল ২০২৪আবেদনের যোগ্যতা—একাডেমিকে ভালো ফল হতে হবে
গবেষণায় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
আইইএলটিএসে ন্যূনতম ৬ দশমিক ৫ পেতে হবে
প্রয়োজনীয় নথিপত্র—আবেদনকারীর জীবনবৃত্তান্ত (সিভি)
আবেদনকারীর বৈধ পাসপোর্ট
অ্যাকাডেমিক পেপারস
রিসার্চ প্রপোজাল
রেফারেন্স লেটার
মোটিভেশনাল লেটার।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ার হাজারো স্কলারশিপের খুঁটিনাটি জেনে নিন০৮ আগস্ট ২০২৩আবেদন প্রক্রিয়া—অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদনপদ্ধতি ও আবেদনের বিস্তারিত তথ্যর জন্য এখানে ক্লিক করতে হবে
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক
পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা বাংলা সাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। ১৯২৫ সালে লেখা অমর এ কবিতার শতবর্ষ এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ‘কবর’ কবিতা তৎকালীন সময়ের সমাজের চিত্রকে তুলে ধরেছে।
‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত ‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে এ কথা বলেন বক্তারা। শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন মফিজ ইমাম মিলন। ৪৮ জন লেখকের লেখা নিয়ে প্রকাশিত এই গ্রন্থ প্রকাশ করেছে নয়নজুলি প্রকাশনাী।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্যে উঠে আসে জসীমউদ্দীনের অবিস্মরণীয় সৃষ্টি ‘কবর’ কবিতার নানান প্রসঙ্গ। কবিতাটি ১৯২৫ সালে ‘গ্রাম্য কবিতা’ পরিচয়ে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কল্লোল পত্রিকার তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যায়।
আলোচকেরা বলেন, ‘কবর’ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল। কবিতাটি দীনেশচন্দ্র সেন, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। এমনকি ‘কবর’ পড়ে দীনেশচন্দ্র সেন ‘অ্যান ইয়াং মোহামেডান পোয়েট’ শিরোনামে একটি আলোচনাও লিখেছিলেন ফরওয়ার্ড পত্রিকায়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আববার বলেন, ‘কবর’ কবিতার শত বছর পূর্তির ঘটনা একটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কবিতাটির শতবর্ষ নিয়ে বই প্রকাশ ব্যতিক্রমী প্রয়াস।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি শহরে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের মতো সংগঠন থাকা উচিত। একটা বৃহত্তর পরিবারের মতো কাজ করে তারা। তিনি বলেন, এ ধরনের নাগরিক সমাজ রাষ্ট্রের বাইরে থেকে দেশ ও সমাজ সম্পর্কে ভাবে। এটা বিশাল শক্তি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জালাল আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক আন্দালিব রাশদী, পক্ষিবিশারদ ইনাম আল হক, কথাসাহিত্যিক ফারুক মঈন উদ্দীন। গবেষক, সাংবাদিক ও ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন নয়নজুলি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী খান, অধ্যাপক এম এ সামাদ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায়, ডেইলি স্টারের সাহিত্য সম্পাদক ইমরান মাহফুজ প্রমুখ।
‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘কবর’ কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে। স্বাগত বক্তব্য দেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন।