এশিয়ার দেশ মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমি থেকে দুই নখের বিরল প্রজাতির ডাইনোসরের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকেরা।

গবেষকেরা জানান, দুনোয়চুস সোগতবাতারি নামের অনন্য এ প্রজাতি থেরিজিনোসরস ডাইনোসরদের দলভুক্ত। এই প্রজাতির ডাইনোসর পেছনের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াত। সাধারণত এ প্রজাতির ডাইনোসরের তিনটি নখ ছিল।

সন্ধান পাওয়া ডাইনোসরের জীবাশ্মটি মাঝারি আকারের। এই ডাইনোসরের আনুমানিক ওজন ২৬০ কেজি।

আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যে সাড়ে ১৬ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের ২০০টি পায়ের ছাপের সন্ধান১৪ জানুয়ারি ২০২৫

গবেষকেরা ধারণা করছেন, এই ডাইনোসরের লম্বা আর বাঁকানো নখ প্রজাতিটিকে দৃঢ়ভাবে গাছের ডাল বাঁকাতে ও আঁকড়ে ধরতে দক্ষ করে তুলেছিল।

গবেষণা প্রতিবেদনের লেখকদের একজন এবং কানাডার ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক দারলা জেলেনিটস্কি বলেন, এ প্রজাতির ডাইনোসর দেখতে বিশাল আর অদ্ভুত। ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডমিনিয়ন’ চলচ্চিত্রে এ প্রজাতিকে দেখানো হয়েছে।

মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমির বায়ানশিরি গঠনে জীবাশ্মটির সন্ধান মিলেছে। এটা ক্রিটেসিয়াস যুগের শেষ ভাগের। ১০ কোটি ৫ লাখ বছর থেকে ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগের সময়কালকে এ যুগ ধরা হয়।

আরও পড়ুনডাইনোসর ফিরিয়ে আনতে চান বিজ্ঞানীরা২৫ নভেম্বর ২০২৪

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) পক্ষ থেকে মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমিকে বিশ্বে ডাইনোসরের জীবাশ্মের সবচেয়ে বড় আধার বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এ অঞ্চল পরবর্তী ক্রিটেসিয়াস যুগের জীবাশ্মের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটিকে ডাইনোসর যুগের প্রধান তিন সময়কালের শেষ ভাগ ধরা হয়, যা ডাইনোসর বিবর্তনের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় এক ফুট লম্বা নখগুলো এ প্রজাতির ডায়নোসরের কিছু হাড়ের চেয়ে বড়। এই নখ গাছের ডাল আঁকড়ে ধরার পাশাপাশি মাটি খোঁড়া ও ভয়ংকর অস্ত্র হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। এই নখ ডাইনোসরের প্রতিরক্ষা, চলাচল আর শিকার ধরার জন্য সহায়ক ছিল।

আরও পড়ুননিলামে উঠছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাইনোসরের কঙ্কাল, দাম কত জানেন১৫ জুলাই ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম চালু

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রকৌশল অনুষদের অধীনে ডিপার্টমেন্ট অব রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নামে নতুন বিভাগ চালু করেছে। স্প্রিং ২০২৬ সেমিস্টার থেকে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম চালু হচ্ছে। ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং—একটি ভবিষ্যৎমুখী প্রোগ্রাম, যা বাংলাদেশকে বিশ্ব মঞ্চে ইনোভেশন, অটোমেশন এবং ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেমের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এ প্রোগ্রামে বিভিন্ন বিশেষায়িত বিষয়ে মূল কোর্সেও পাশাপাশি মেজর ও মাইনর কোর্সেও পাঠদান করা হবে।

রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের রোবোটিকস, ইলেকট্রনিকস, মেকানিক্স, কন্ট্রোল সিস্টেম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং এমবেডেড কম্পিউটিং-এর সমন্বয়ে অত্যাধুনিক জ্ঞান এবং বাস্তব-জগতের দক্ষতা প্রদান করবে। রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ৪ বছরের একটি ১৫৪-ক্রেডিট কোর্স এবং পরবর্তী সেমিস্টার (স্প্রিং -২০২৬) থেকে এটি চালু হতে চলেছে। এটি একটি তিন সেমিস্টারের প্রোগ্রাম (স্প্রিং, সামার এবং ফল) ।

স্প্রিং সেমিস্টারের সময়কাল জানুয়ারি থেকে এপ্রিল, সামার সেমিস্টারের সময়কাল মে থেকে আগস্ট এবং ফল সেমিস্টারের সময়কাল সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর। এ প্রোগ্রামে বিভিন্ন বিশেষায়িত বিষয়ে মূল কোর্সের পাশাপাশি মেজর ও মাইনর কোর্সও পাঠদান করা হবে।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে জেমিনি ব্যবহার: সিঙ্গাপুর–অস্ট্রেলিয়া–কানাডার শিক্ষার্থীদের মতো সুযোগ বাংলাদেশিদেরও১৩ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম চালু