ঢাকার ধামরাইয়ে সৈয়দা শিরিন আক্তার (৫০) নামের এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা করার আট ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামিসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে সেলিম শিকদার (২০) ও তার বাবা কামরুল শিকদারকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ধামরাইয়ের সানোড়া ইউনিয়নের মহিশাষী এলাকার বাসিন্দা।

গত ২৮ মার্চ দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের মহিশাষী এলাকায় শিরিন আক্তারের ওপর হামলা হয়। গত ১ এপ্রিল সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

পুলিশ জানায়, গত গত ২৮ মার্চ দুপুর ২টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সেলিম শিকদার ও কামরুল শিকদার ধারালো ছ্যান দা, লোহার রড, বাঁশের লাঠি নিয়ে শিরিন আক্তারের বাড়িতে ঢুকে তার ছেলে সিয়াম হোসেনের (২০) ওপর হামলা করেন। তারা সিয়ামকে এলোপাথারি কিল-ঘুষি মারেন। সিয়ামের চিৎকার শুনে তার মা সৈয়দা শিরিন আক্তার এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাথারি কিল- ঘুষি মারা হয়। এ সময় প্রধান আসামি সেলিম শিকদার লাঠি দিয়ে শিরিন আক্তারের মাথায় আঘাত করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে পালিয়ে যান সেলিম ও কামরুল। আশপাশের লোকজন এসে শিরিন আক্তারকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ এপ্রিল বিকেলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেন।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মনিরুল ইসলাম বলেছেন, এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/সাব্বির/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

দক্ষিণ কোরিয়ায় কমছে পুরুষ, আকারে ছোট হচ্ছে সামরিক বাহিনী

বিশ্বে সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। এর ওপর আবার দেশটির সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার উপযুক্ত বয়সী পুরুষের সংখ্যা দ্রুত কমছে। এর জেরে গত ছয় বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর আকার ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে বাহিনীতে সেনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার।

আজ রোববার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীতে পুরুষের সংখ্যা কমায় কর্মকর্তা পর্যায়ের সদস্যে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এমনটি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে কোনো অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর আকার কমতে শুরু করে চলতি শতাব্দীর শুরু থেকে। তখন বাহিনীতে ৬ লাখ ৯০ হাজার সদস্য ছিলেন। ২০১০-এর দশকের শেষের দিকে এই কমার গতি বাড়তে থাকে। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, তখন সামরিক বাহিনীতে প্রায় ৫ লাখ ৬৩ হাজার সক্রিয় সেনা ও কর্মকর্তা ছিলেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে হয়। দেশটির সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দেশটিতে ২০ বছর বয়সী পুরুষের সংখ্যা ৩০ শতাংশ কমেছে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে এই বয়সে বেশির ভাগ পুরুষ সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। তাঁদের ১৮ মাস সামরিক বাহিনীতে থাকতে হয়।

১৯৫৩ সালে যখন কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হয়েছিল, ওই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার একজন সক্ষম ব্যক্তিকে ৩৬ মাস পর্যন্ত সামরিক বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করতে হতো। দেশটির সামরিক বাহিনী বলেছে, সামরিক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে তাদের সক্ষমতা বেড়েছে। তাই সেনাসদস্যদের বাহিনীতে থাকার মেয়াদ কমানো হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক রয়েছে। উত্তর কোরিয়ায় প্রায় ১২ লাখ সক্রিয় সেনাসদস্য রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রয়োজনের তুলনায় তাদের ৫০ হাজার সেনাসদস্য কম রয়েছে। আর নন-কমিশন্ড অফিসার পদে ঘাটতি রয়েছে ২১ হাজার জনের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ