গত ১০ বছর ছিল ম্যানচেস্টার সিটির সোনালি সময়। এই সময়ে তারা ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ, একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ মোট ১৬টি শিরোপা জিতেছে। এই সোনালি সময়ের অন্যতম রূপকার কেভিন ডি ব্রুইনা গত শুক্রবার সিটি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ৩৩ বছর বয়সী বেলজিয়ান তারকার নতুন ঠিকানা নিয়ে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা দুই তারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সতীর্থ হওয়ার গুঞ্জন রয়েছে তাঁর।
বায়ার্ন মিউনিখের সোনালি প্রজন্মের তারকা থমাস মুলার ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন গতকাল। জার্মান তারকার নতুন গন্তব্য নিয়েও রয়েছে কৌতূহল। দু’জনই চলতি মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন বলে ট্রান্সফার ফি ছাড়াই তাদের দলে নেওয়া যাবে।
ডি ব্রুইনার সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে বেশি শোনা যাচ্ছে সৌদি ক্লাব আল নাসরে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগের ক্লাব ইন্টার মায়ামির নাম। তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাখও তারকা এ মিডফিল্ডারকে দলে নিতে চাইছে। তুর্কি ক্লাবটির কোচ হোসে মরিনহো। পর্তুগিজ এ কোচের আগ্রহেই তারা ব্রুইনাকে মোটা বেতনে দলে চাইছে। জানা গেছে, সপ্তাহে তারা আড়াই লাখ পাউন্ড বেতন দিতে রাজি ডি ব্রুইনাকে। তবে বেলজিয়ান এ তারকার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
কদিন আগেই থমাস মুলারের বায়ার্ন ছাড়ার খবর প্রকাশ্যে আসে।
গতকাল এক বিবৃতিতে বায়ার্নের সঙ্গে ২৫ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি, ‘আজকের দিনটি আমার জন্য অন্য সব দিনের মতো নয়। বায়ার্ন মিউনিখের খেলোয়াড় হিসেবে আমার ২৫ বছরের পথচলা এই গ্রীষ্মে শেষ হতে চলেছে। এটা এক অবিশ্বাস্য যাত্রা ছিল, যা অনন্য সব অভিজ্ঞতা, দুর্দান্ত সব লড়াই এবং অবিস্মরণীয় সব জয়ে পরিপূর্ণ।’
তবে বিদায়ের ঘোষণা দিলেও সম্ভাব্য গন্তব্য নিয়ে নিশ্চুপ মুলার। বায়ার্ন কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে কিছু বলছে না। তাঁর সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে মেজর সকার লিগের ক্লাবের কথা শোনা যাচ্ছে। সে সঙ্গে সৌদি আরবেও যেতে পারেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ভ ন ড ব র ইন ব র ইন
এছাড়াও পড়ুন:
ভূতের ভয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন সোনাক্ষী!
বর্ষার রাত, শহরজুড়ে এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা। বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি, আর ভেতরে বিলাসবহুল বাড়ির ঘরে ঘন অন্ধকার। এমনই এক রাতে ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। ক্লান্ত সোনাক্ষী সেদিন শুটিং শেষে বাড়ি ফিরে সরাসরি ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু হঠাৎ গভীর রাতে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। চোখ বন্ধ, কিন্তু মন যেন জেগে আছে– ঠিক তখনই টের পান, কিছু একটা অদৃশ্য সত্তা যেন তাঁকে জোরে চেপে ধরছে।
সোনাক্ষীর কথায়, ‘মনে হচ্ছিল, দুটো শক্ত হাত আমার গা চেপে ধরেছে। একটুও নড়তে পারছিলাম না। এতটাই ভয় পেয়েছিলাম যে, চোখ খুলে তাকাতেও সাহস পাইনি। নিথর হয়ে পড়েছিলাম।” আস্তে আস্তে জানালার ফাঁক দিয়ে ভোরের আলো ঢুকতেই সেই চাপ কমে আসে, কিন্তু আতঙ্কটা থেকে যায়। সোনাক্ষী বলেন, “আমি তখন বুঝতেই পারছিলাম না, এটা স্বপ্ন নাকি বাস্তব। কিন্তু একটা ব্যাপার নিশ্চিত– ঘরে আমি একা ছিলাম না।’
ঘটনার পর দিনও সেই ভয় তাঁকে তাড়িয়ে বেড়ায়। শুটিংয়ে গেলেও মন পড়ে ছিল আগের রাতের অভিজ্ঞতায়। রাতে ফেরার পর নিজের ঘরের দরজা খুলেই সোজা বলে ওঠেন, “কাল রাতে যেটা এসেছিলে, প্লিজ আর এসো না! যদি কিছু বলার থাকে, স্বপ্নে এসো। সামনে এসে আর ভয় দেখিয়ো না।” এরপর কিছুদিনের মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে দেন সোনাক্ষী। অনেকে বলেন, ওই ঘটনার পর থেকেই তিনি প্রাসাদোপম সেই বাড়ি ছেড়ে নতুন ঠিকানায় চলে যান।
‘নিকিতা রায়’ সিনেমার প্রচারে গিয়ে সোনাক্ষী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি আগে ভূতে বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু ওই রাতটার পর থেকে আমার ধারণা পাল্টে গেছে। এটা যদি সত্যিই কোনো অশরীরী আত্মা হয়ে থাকে, তবে হয়তো বন্ধুসুলভ ছিল, কারণ এরপর আর কখনও ফিরে আসেনি।”
হীরামন্ডি-খ্যাত এই অভিনেত্রীর এই অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে ঝড়ের বেগে। অনেকেই বলেছেন, এমন অভিজ্ঞতা তারাও পেয়েছেন। কেউ কেউ তো বিশ্বাস করেন, তারকা হওয়া মানেই যেমন গ্ল্যামার, তেমনি অলৌকিক কিছু ঘটনা ঘিরেও চলতে হয় তাদের জীবন। যা-ই হোক, সোনাক্ষীর সেই এক রাতের অভিজ্ঞতা আজও তাঁর মনে গেঁথে আছে। গল্পটা যেন ঠিক হরর ফিল্মের চিত্রনাট্য। কিন্তু বাস্তবে যেটা ঘটেছে, সেটা সিনেমা থেকেও বেশি গা ছমছমে।
আর এই গল্পই প্রমাণ করে– তারকা হলেও ভয়টা সবারই থাকে, আর ভূত… সেটা বিশ্বাস না করলেও, মাঝেমধ্যে ঠিকই এসে পড়ে জীবনের মাঝখানে! সোনাক্ষীর সেই এক রাতের অভিজ্ঞতা যেন কোনো হরর সিনেমার চিত্রনাট্য। অথচ ঘটনাটি বাস্তব এবং সেই কারণেই হয়তো আরও বেশি ভয়াবহ। তারকা হলেও ভয় সবারই থাকে। আর ভূত… তারা বিশ্বাসের তোয়াক্কা না করেই মাঝেমধ্যে হঠাৎ করে জীবনের মাঝখানে এসে পড়ে!