লা লিগার শীর্ষস্থান দখলের লড়াইয়ে বার্সেলোনার ওপর চাপ বজায় রাখলো রিয়াল মাদ্রিদ। রোববার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচে সেল্টা ভিগোকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। এই জয়ে ৩৪ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ দাঁড়াল ৭৫ পয়েন্টে, যেখানে শীর্ষে থাকা বার্সার পয়েন্ট ৭৯। পরবর্তী ম্যাচে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি লড়াইয়ে নির্ধারিত হতে পারে চলতি মৌসুমের শিরোপার ভাগ্য।

এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু গোলের দেখা পেতে ৩৩ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় স্বাগতিকদের। লুকাস ভাসকেজের সঙ্গে ছোট পাসে বল আদানপ্রদান করে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন তুর্কি তরুণ আরদা গুলার। এর মাত্র ছয় মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। জুড বেলিংহ্যামের দারুণ এক পাস পেয়ে ডান পায়ের ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় রিয়াল।

দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে সেল্টা ভিগো, কিন্তু প্রতি-আক্রমণে রিয়াল আরও একটি গোল আদায় করে নেয়। ৪৮ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পান এমবাপ্পে, এবার আরদা গুলারের দুর্দান্ত থ্রু বল পেয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।

তবে সেল্টাও সহজে হাল ছাড়েনি। ৬৯ মিনিটে জাভি রদ্রিগেজের গোলে ব্যবধান কমায় তারা। এরপর ৭৬ মিনিটে আসপাসের অ্যাসিস্ট থেকে উইলিয়ট সোয়েডবার্গ আরও একটি গোল করলে ম্যাচ জমে ওঠে। শেষ সময়ে রিয়াল কিছুটা চাপে থাকলেও ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।

এই জয়ে শিরোপার দৌড়ে টিকে রইল রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের পরবর্তী ম্যাচ ‘এল ক্লাসিকো’—যেখানে মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও রিয়াল।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আবারো বন্ধ করে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট

তৃতীয় দফায় কাপ্তাই বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার ১১ দিন পর হ্রদের পানি কিছুটা কমে আসায় শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাঁধের সবকটি জলকপাট।

এর আগে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছায় গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় পানি ছাড়ার পরিমাণ সর্বোচ্চ সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

পরবর্তীতে পানির স্তর কিছুটা কমে আসায় শুক্রবার সকাল আটটায় সবকটি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এখনো কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী এলাকার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। 

কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, “উজান থেকে পানির ঢল কমে আসায় এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ সব বিষয় চিন্তা করে বাঁধের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”

বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর রয়েছে ১০৮.২২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। হ্রদে সবোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। তাই ধীরে ধীরে পানির স্তর আরো কমে আসবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে প্রথম দফায় গত ৫ আগস্ট কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় সবকটি গেট এক সপ্তাহ পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। এরপর ২০ আগস্ট আবারো হ্রদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছলে জলকপাট তিন দিন খোলা রাখা হয়।

ঢাকা/শংকর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সোভিয়েত–পরবর্তী দুনিয়ায় জেমস বন্ডের অভিযোজন
  • আবারো বন্ধ করে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট