শিবচরে নদীতে নিখোঁজ তরুণীর মরদেহ উদ্ধার
Published: 5th, May 2025 GMT
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ জান্নাতুল আক্তারের (১৬) মরদেহ উদ্ধার করেছে তার স্বজনেরা। সোমবার (৫ মে) ভোরে উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের চরকামারকান্দি এলাকায় নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
গত শনিবার (৩ মে) দুপুরে ফুপাত বোনকে নিয়ে গোসল করতে এসে জান্নাতুল আক্তার স্রোতে তলিয়ে যায়।
চরকামারকান্দি এলাকায় মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে নৌপুলিশ এবং নিহতের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে আসে। মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের লোকজন শনাক্ত করে।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে ব্যাংক কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ভেড়ামারায় রেললাইনের পাশে থেকে মরদেহ উদ্ধার
নিহত জান্নাতুল উমেদপুর ইউনিয়নের কাঁচিকাটা এলাকার প্রবাসী গনি ফকিরের মেয়ে। গত শুক্রবার নদীর পাড় সংলগ্ন চরশ্যামাইল এলাকায় ফুপু বাড়িতে বেড়াতে আসে জান্নাতুল। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের ছাত্রী ছিল।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ জানান, শনিবার নদীতে নিখোঁজ তরুণীর মরদেহ সোমবার ভোরে নৌপুলিশ নদী থেকে উদ্ধার করেছে।
ঢাকা/বেলাল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি: ১৮ ইঞ্চি খুলে দেওয়া হয়েছে গেট
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় বৃষ্টিপাতের কারণে হ্রদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি থেকে বাড়িয়ে ১৮ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩০ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আরো ৩২ হাজার কিউসেক পানি নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।
কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, “হ্রদের পানি ১০৮ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) অতিক্রম করার পর বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় সোমবার মধ্যরাত থেকে বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। এসময় পানির স্তর ছিল ১০৮.০৫ এমএসএল। গেট ৬ ইঞ্চি খোলা রাখার পরও ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মঙ্গলবার রাত ১১টায় হ্রদে পানির স্তর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৮.৫৫ এমএসএল। পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএলের একেবারেই কাছাকাছি চলে আসায় ঝুঁকি এড়াতে গেট ৬ ইঞ্চি থেকে বাড়িয়ে ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “যে পরিমাণ পানি ছাড়া হচ্ছে তাতে জনসাধারণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বলতে পারি, ৩ ফুট পর্যন্ত গেট খুললে বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে এর বেশি হলে বন্যার আশঙ্কা থাকে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে, যেন তিন ফুটের বেশি খুলতে না হয়।”
ব্যবস্থাপক জানান, বর্তমানে হ্রদের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইনফ্লো বেশি হলে অর্থাৎ পানির লেভেল অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের (জলকপাট) গেট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে।
ঢাকা/শংকর/এস