গতকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে লিভারপুল সমর্থকদের হাহাকার। দলের অন্যতম সেরা তারকাদের একজন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার–আরনল্ডের ক্লাব ছাড়া নিয়েই মূলত এই হাহাকার। লিভারপুলের সঙ্গে আরনল্ডের সম্পর্ক ২০ বছরের।

ক্লাব সমর্থকদের আবেগের অংশও হয়ে উঠেছিলেন এই রাইটব্যাক; কিন্তু সব আবেগ পেছনে ফেলে এবার নতুন ঠিকানায় নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে চান এই ইংলিশ তারকা। এখনো চূড়ান্ত ঘোষণা না এলেও আরনল্ডের রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়া একরকম নিশ্চিত।

আরনল্ডের ক্লাব ছাড়ার ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন লিভারপুল সমর্থকেরা। কেউ কেউ তাঁর ক্লাব ছেড়ে যাওয়াকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবেও দেখছেন। এমনকি ক্লাব ছাড়ার কারণে সিবিল রোডে আরনল্ডের বিখ্যাত দেয়ালচিত্রটিও মুছে দেওয়ার গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছিল।

তবে একাধিক ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আপাতত আরনল্ডের দেয়ালচিত্র নষ্ট করার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে দেয়ালচিত্র থাকুক বা না থাকুক, আরনল্ডের ক্লাব ছাড়ার ঘটনা লিভারপুল সমর্থকদের মনে ক্ষত হয়েই থাকবে।

এদিকে আরনল্ডকে হারানোর ক্ষত সারার আগেই অন্য আতঙ্ক ভর করেছে লিভারপুল সমর্থকদের মনে। চলতি মৌসুমে লিভারপুলের লিগ শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক অ্যালেক্সিস ম্যাক আলিস্টারও নাকি ক্লাব ছেড়ে যেতে পারেন। তাঁকেও কিনতে চায় সেই মাদ্রিদ।

আরও পড়ুন‘জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত’ নিয়ে লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা আরনল্ডের, যাচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদে০৫ মে ২০২৫

কিছুদিন ধরে একাধিক সংবাদমাধ্যম ম্যাক আলিস্টারের সঙ্গে রিয়ালকে জড়িয়ে খবর প্রকাশও করেছে। গুঞ্জন আছে, ম্যাক আলিস্টারের জন্য রিয়াল নাকি প্রস্তাবও তৈরি করছে। বিশেষ করে এই মৌসুমে মিডফিল্ডে যে ঘাটতি ছিল আগামী মৌসুমে ম্যাক আলিস্টারকে দিয়ে তা মেটাতে চায় তারা।

লিভারপুলের শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক অ্যালেক্সিস ম্যাক আলিস্টার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম য ক আল স ট র সমর থকদ র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের আপত্তি সত্ত্বেও রাশিয়ার তেল কিনতে কেন অনড় নরেন্দ্র মোদি

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সঙ্গে এক কঠিন ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। একদিকে ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন, অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ভারতের এ দ্বিমুখী নীতি হতাশার।

মস্কোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশ নানাভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও ভারতের মতো বিশাল অর্থনীতির একটি দেশ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখায় তাদের সেসব নিষেধাজ্ঞা অনেকটা দুর্বল হয়ে যায় বলে মনে করে তারা। আর এসব নিয়েই চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নয়াদিল্লির এমন নীতি নিয়ে আর ধৈর্য ধরতে পারছেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ফলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে তাঁর স্পষ্ট দাবি, ভারতকে নির্দিষ্ট একটি পক্ষ নিতে হবে।

নিজের এ দাবি জোরদার করতে রাশিয়া থেকে ভারতের সস্তায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার বিষয়টিকে কাজে লাগাচ্ছেন ট্রাম্প। আর এখানে তিনি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন তাঁর বহুল আলোচিত বাণিজ্যনীতি। ফলে এত দিন পরস্পর ‘বন্ধু’ দাবি করে এলেও ধীরে ধীরে মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাচ্ছেন ট্রাম্প ও মোদি।

শুধু বিপুল পরিমাণে রুশ তেল কিনেই থেমে থাকছে না ভারত। তারা সেই তেলের বড় একটি অংশ খোলাবাজারে বিক্রি করে বিশাল মুনাফা করছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাস্ত্র কত মানুষকে হত্যা করছে, এ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেইডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্ট

রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে গত বুধবার ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। ফলে আগের ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কসহ ভারতীয় পণ্যে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র। ২১ দিন পর এ নতুন শুল্কহার কার্যকর হবে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে প্রথম দফায় আরোপ করা ২৫ শতাংশ শুল্ক।

বাড়তি শুল্ক আরোপ করার বিষয়ে আগেই ভারতকে হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তখন তাঁর অভিযোগ ছিল, রাশিয়া থেকে তেল কিনে ইউক্রেনে হামলায় মস্কোকে সহায়তা করছে ভারত।

সামাজিক যোগাযাগামাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘শুধু বিপুল পরিমাণে রুশ তেল কিনেই থেমে থাকছে না ভারত। তারা সেই তেলের বড় একটি অংশ খোলাবাজারে বিক্রি করে বিশাল মুনাফা করছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাস্ত্র কত মানুষকে হত্যা করছে, এ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।’

এদিকে অন্যান্য দেশ শুল্ক কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যেখানে উঠেপড়ে লেগেছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপকে ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়েছে নয়াদিল্লি। কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে এখনো সার, রাসায়নিকসহ অন্যান্য পণ্য কিনছে বলে দাবি করেছে ভারত।

বসফরাস প্রণালী হয়ে ইস্তাম্বুলে যাচ্ছে রাশিয়ার তেলবাহী জাহাজ। ৪ এপ্রিল ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ