জ্ঞনাথ কুন্ডু এতোটাই কৃপণ স্ত্রী ও পূত্রবধুর অসুস্থতায়ও ওষুধ কিনতে চান না
Published: 7th, May 2025 GMT
বাঙালির মানবিক আবেগ, অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা ও অভিব্যক্তির অতুলনীয় প্রকাশ ঘটেছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনায়। ৮ মে, ২৫ বৈশাখ রবিঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রচারিত হবে আলেখ্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, আলোচনানুষ্ঠান, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি, কাব্যনাট্য ও নাটক।
কাব্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রচারিত হবে রাত ১১টা ০৫ মিনিটে। এল রুমা আকতারের প্রযোজনায় কাব্যনাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।
‘চিত্রাঙ্গদা’য় অভিনয় করেছেন সোনালী, জুয়েনা, শিশির, শ্যামল, অর্ক, জেবু, সুমাইয়া, সামাদ, নিসর্গ, হাসান, অনিন্দ্য, শফিক, জাওয়াদ, আলী, বিপুল, বিমল, অহন প্রমুখ।
রাত ৯টায় প্রচারিত হবে নাটক ‘সম্পত্তি সমর্পণ’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘সম্পত্তি সমর্পণ’-এর নাট্যরূপ দিয়েছেন আবুল হায়াত। মাহবুবা ফেরদৌসের প্রযোজনায় নাটকটির গল্পে দেখা যাবে- যজ্ঞনাথ কুন্ডু অত্যন্ত কৃপণ ব্যক্তি তার কৃপণতার বহর এমনই যে অসুস্থতার সময়ে খরচের ভয়ে তার স্ত্রী ও পূত্রবধুর ওষুধ পর্যন্ত কিনতে চাননা। যজ্ঞনাথের পুত্রবধূ মারা যাবার পরে তার একমাত্র ছেলে দামোদরও তাকে ছেড়ে চলে যায়। সঙ্গে নিয়ে যায় তার নাতি গোকুলকে। একমাত্র এই ছোট্ট শিশুটির প্রতি কিছুটা স্নেহ-ভালোবাসা ছিল যজ্ঞনাথের।
কিন্তু তিনি জগতে সবচেয়ে ভালোবেসেছিলেন ঐশ্বর্য ও টাকা পয়সাকে। কয়েক বছর পরে নিতাই নামের একটি অনাথ ছেলেকে তিনি আশ্রয় দেন। কিন্তু তিনি নিতাইকে প্রায়ই লোভ দেখাতেন এই বলে যে তার টাকাপয়সা সবই তাকে দিয়ে যাবেন। হঠাৎ একদিন রাতে ছোট্ট নিতাইকে নিয়ে যজ্ঞনাথ এক গুহার মধ্যে প্রবেশ করেন, যেখানে রাখা আছে তার সঞ্চিত ধন-সম্পদ।
এরপর নানা নাটকীয়তায় এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।
নাটকে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, তৌকির আহমেদ, ফারজানা ছবি, মোহাম্মদ বারী, কাজী জাহাঙ্গীর, সোহেল রশীদ, তুর্য, তামিমসহ আরো অনেকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ট ভ ন টক
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে থাকা লালনের গানের পাণ্ডুলিপি ফেরত চাইলেন কুষ্টিয়ার ডিসি
কুষ্টিয়ার আশ্রম থেকে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ৩১৪টি গানের মূল পাণ্ডুলিপি ভারতের কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিলেন শিলাইদহের তৎকালীন জমিদার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ঐতিহাসিক সেই গানের পাণ্ডুলিপি বর্তমানে দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার ভোলপুর শহরে অবস্থিত শান্তি নিকেতন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পাণ্ডুলিপি ফেরত আনার দাবি জানাচ্ছিলেন লালন ভক্ত, অনুরাগী, অনুসারী ও গবেষকরা। তবে তা ফেরত পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন একাডেমিতে পাণ্ডুলিপিগুলো ফেরত চেয়েছেন। এ জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন তিনি। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এ আবেদন পাঠানো হয়েছে।
লিখিত আবেদনে ডিসি উল্লেখ করেছেন, কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াস্থ লালন আশ্রম থেকে লালন শাহের গানের একটি খাতা কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিলেন কুষ্টিয়ার শিলাইদহের তৎকালীন জমিদার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যা বর্তমানে শান্তি নিকেতনে সংরক্ষিত আছে। প্রায় ১৩৫ বছরের পুরোনো উক্ত খাতায় লালন শাহের ৩১৪টি গান রয়েছে। ইতোপূর্বে শান্তি নিকেতন থেকে লালন শাহের গানের পাণ্ডুলিপির একটি অনুলিপি প্রেরণ করা হলেও, মূল পাণ্ডুলিপি সেখানেই রয়ে গেছে।
প্রতি বছর লালন তিরোধান দিবস ও লালন স্মরণোৎসব উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াস্থ লালন একাডেমিতে লক্ষ লক্ষ দেশ-বিদেশি লালন ভক্ত, অনুরাগী, অনুসারী ও লালন গবেষকদের আগমন ঘটে। তাদের সবার পক্ষ থেকে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের গানের মূল পাণ্ডুলিপি শান্তি নিকেতন থেকে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াস্থ লালন একাডেমিতে ফেরত আনার দাবি উঠেছে। তদুপরি সরকার ১৭ অক্টোবর লালন তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণির দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং জাতীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় লালন তিরোধান দিবসের গুরুত্ব আরো বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভক্ত, অনুরাগী, অনুসারী ও লালন গবেষকদের দাবির প্রেক্ষিতে লালন গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য ফকির লালন শাহের গানের মূল পাণ্ডুলিপি শান্তি নিকেতন থেকে সংগ্রহ করে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াস্থ লালন একাডেমিতে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
এমতাবস্থায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের গানের মূল পাণ্ডুলিপি শান্তি নিকেতন থেকে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াস্থ লালন একাডেমিতে ফেরত এনে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, “লালনের ৩১৪টি গানের মূল পাণ্ডুলিপি ফেরত আনার জন্য আমরা সার্বিকভাবে চেষ্টা করছি। আমরা কলকাতা থেকে সেগুলো দ্রুত কুষ্টিয়ায় ফেরত আনতে চাই। এ জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ