‘রেইড ২’ মারল সেঞ্চুরি, টিকল না ‘দ্য ভূতনি’র ভূতের ভয়
Published: 7th, May 2025 GMT
বলিউডে যখন একের পর এক ছবির বক্স অফিসে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে, তখন ব্যতিক্রমী সাফল্য দেখাচ্ছে অজয় দেবগন অভিনীত ‘রেইড ২’। মুক্তির পর মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যেই ছবিটি বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ১০৮ কোটি ৪০ লাখ রুপি, যা এ বছর বলিউডের অন্যতম সফল শুরুর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
অন্যদিকে একই দিনে মুক্তি পাওয়া সঞ্জয় দত্ত অভিনীত হরর-কমেডি ‘দ্য ভূতনি’ একেবারে হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। মুক্তির প্রথম দিন থেকেই ছবি ঘিরে দর্শকের আগ্রহ ছিল শীতল, আর কয়েক দিনের মধ্যেই প্রেক্ষাগৃহ থেকে বিদায়ের পথে সে ছবি।
‘রেইড ২’: সফলতার ধারাবাহিকতা
২০১৮ সালের ব্লকবাস্টার ‘রেইড’ ছবির সিকুয়েল হিসেবে ‘রেইড ২’ মুক্তি পেয়েছে ১ মে। রাজকুমার গুপ্তার পরিচালনায় এ ছবিতে আবারও আয়কর বিভাগের অফিসার অময় পটনায়কের চরিত্রে দেখা গেছে অজয় দেবগনকে। এবার তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বাণী কাপুর ও রিতেশ দেশমুখ।
মুক্তির প্রথম দিনেই ছবিটি আয় করে ১৯ কোটি ২৫ লাখ রুপি, যা এ বছরের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী ওপেনিং হিসেবে ধরা হচ্ছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বক্স অফিসে এখন পর্যন্ত আয় দাঁড়িয়েছে ৮৫ কোটি ৫০ লাখ রুপি। তবে বিশ্বব্যাপী আয় মিলিয়ে ছবিটি ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে ১০৮ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে।
‘রেইড ২’ সিনেমার পোস্টার থেকে। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পর্কে পিঙ্ক ফ্ল্যাগগুলোই পরবর্তী সময়ে বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে না তো?
পিঙ্ক ফ্ল্যাগ কী
সম্পর্কে রেড ফ্ল্যাগগুলো নিয়ে আমরা সবাই কমবেশি সচেতন হয়ে উঠছি। সঙ্গীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, অসম্মান, মূল্যায়ন না করা, সারাক্ষণ সন্দেহ করতে থাকা, চাপে রাখা—এসবকে এককথায় রেড ফ্ল্যাগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আবার আপনি ঠিক যেমন সম্পর্ক আশা করেন, সম্পর্কে যা যা চান, তা মিলে যাওয়াকে বলে গ্রিন ফ্ল্যাগ। তবে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যেসব ঠিক রেড বা লাল নয়, আবার গ্রিন বা সবুজও নয়, মাঝামাঝি বলা চলে। আপাতদৃষ্টে প্রাথমিকভাবে সেসবকে ‘পাত্তা দেওয়ার মতো’ বড় সমস্যা মনে না হলেও সময়ে বা পরিস্থিতিতে সেসব রেড ফ্ল্যাগের মতোই মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এমনকি হতে পারে বিচ্ছেদের কারণও। রোমান্টিক বা দাম্পত্য সম্পর্কে সেই পিঙ্ক ফ্ল্যাগগুলো কী?
১. দুজনের ‘লাভ ল্যাঙ্গুয়েজ’ ভিন্নএকজনের কাছে হয়তো সম্পর্কে শারীরিক আকর্ষণটা মুখ্য, অন্যজনের কাছে ভালোবাসা হলো সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, নানান অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা, সঙ্গীর জন্য নানান কিছু করা বা হতে পারে ভালো ভালো রেঁধে খাওয়ানো। এখন একজন যদি অন্যজনের ভালোবাসার ভাষাকে মূল্যায়ন না করেন, তাহলে সেটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমস্যায় পরিণত হতে পারে।
আরও পড়ুনকেন শারীরিক স্পর্শের মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করবেন২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫২. দুজনের জীবনের লক্ষ্য ভিন্ন হওয়াধরুন, দুজনার একজন সন্তান চাইছেন। আরেকজন সন্তানের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত নন। এই দ্বিমত সম্পর্ক ভেঙে ফেলার জন্য যথেষ্ট।
৩. ঝগড়া এড়িয়ে চলাসম্পর্কে দুটি মানুষের দ্বিমত, ভিন্নমত, মান-অভিমান থাকাটাই স্বাভাবিক। ‘আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া হয় না’—এর মানে দুজনের কোনো একজন অথবা দুজনই ঝগড়া এড়িয়ে যাচ্ছেন, চেপে যাচ্ছেন, নীরবে সইছেন, নিজেকে প্রকাশ করছেন না বা চুপচাপ সবকিছু মেনে নিচ্ছেন। এ রকম ছোট ছোট অমীমাংসিত ইস্যু একসময় এত বড় আকার ধারণ করবে যে সেটা আর কোনোভাবেই সমাধান করা সম্ভব হবে না। আর ঠিক এ কারণেই ‘আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই’ মানে সেই জুটির বড় কোনো সমস্যা আছে! কেননা কোনো একজন অথবা দুজন সমস্যা প্রকাশই করছেন না বা করাটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না।
৪. প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্বআপনি যদি প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চালিয়ে যান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপনার সঙ্গী বাহ্যিক উদারতা দেখিয়ে মুখে কিছু না বললেও মনে মনে মেনে নিতে পারেন না। আর সেটা অন্যভাবে প্রকাশ পেতে থাকে। তাই সম্পর্কবিশেষজ্ঞরা প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখাটাকেই শ্রেয় মনে করেন।
আরও পড়ুনপ্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কি বুদ্ধিমানের কাজ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫৫. অর্থনৈতিক বিষয়ে দ্বিমতধরুন, আপনি ‘একটু কম খেয়ে কম পরে’ টাকা জমিয়ে আগে একটা বাড়ি কিনতে বা বানাতে চান। আর আপনার সঙ্গী ‘ইউ অনলি লিভ ওয়ান্স’ মতবাদে বিশ্বাসী। তিনি তাঁর সব ছোটখাটো শখ-আহ্লাদ পূরণ করে বাঁচতে চান। তিনি বাড়ি–গাড়ি চান না। বিশ্ব ঘুরে দেখাই তাঁর ইচ্ছা। প্রাথমিকভাবে এটিকে বড় সমস্যা মনে না হলেও পরবর্তী সময়ে তা জটিল আকার ধারণ করে সম্পর্কে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
৬. মনের ভাব সঠিকভাবে প্রকাশ না করাআপনি যদি সঙ্গীর সঙ্গে নিজের অনুভূতি যথাযথভাবে প্রকাশ না করেন, তখন শুরু হয় ‘গেসিং গেম’। এর ফলে সম্পর্কে ভুল–বোঝাবুঝির অবকাশ তৈরি হয়।
কী করবেনএসব ক্ষেত্রে পিঙ্ক ফ্ল্যাগগুলো জমে জমে গাঢ় হয়ে রেড ফ্ল্যাগ হয়ে ওঠার আগেই সেসবের মোকাবিলা করতে হবে। সম্পর্কটাকে যদি দুজনেই সবার আগে প্রাধান্য দেন, তাহলে দুজনকেই সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হতে হবে। তবে সবার আগে নিজের মনের গভীরের কথা শোনার কোনো বিকল্প নেই। অনেক সময় আপনার মন আপনাকে বারবার সতর্ক করে দেয়। কিন্তু আপনি প্রেমে পড়ার প্রাথমিক আবেগে বা শারীরবৃত্তীয় রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার প্রভাবে সেসবে পাত্তা দেন না। বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজের মনের কথা শুনুন। নিশ্চিত হয়ে তবেই আগান।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট
আরও পড়ুনএই ১০ রেড ফ্ল্যাগের কয়টি আপনার মধ্যে আছে০১ মে ২০২৫