জামায়াত নেতার বাড়িতে সেনাবাহিনীর অভিযান, প্রতিবাদ
Published: 8th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দেলোয়ার হোসেন নামে এক জামায়াতে ইসলামী নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী।
তবে সেনাবাহিনী বলছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে এ অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। পর দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মো.
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাঞ্চনা ইউনিয়ন শাখার অন্যতম ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি টিম অভিযানের উদ্দেশে যায় বলে জানা গেছে। আমরা ধারণা করছি, আমাদের অন্যতম শুভাকাঙ্ক্ষী দেলোয়ার হোসেনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও সংগঠনের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টির লক্ষে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে এ ষড়যন্ত্র করা হতে পারে। ষড়যন্ত্র করে সংগঠনের নিবেদিত শক্তি দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমাদের কখনও দূরত্ব সৃষ্টি করা যাবে না। এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে অতিদ্রুত ঘটনার মূল হোতাদের চিহ্নিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মো. আবু তাহের বলেন, ‘দেলোয়ার হোসেন কাঞ্চনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে সেনাবাহিনীকে ভুল তথ্য দিয়েছে। সেই ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনা ঘটেছে। আমি দেলোয়ারকে নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সেনা ক্যাম্পে যাব। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
সাতকানিয়া সেনা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন পারভেজ বলেন, ‘সম্প্রতি কাঞ্চনা ইউনিয়নে অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, সেখানে তার সংশ্লিষ্টতা আমরা পেয়েছি। পাশাপাশি বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্রের যোগানদাতা হিসেবেও তার নাম আমরা পেয়েছি। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের সময় তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব পালন করছি সন্ত্রাস দমনে। আমাদের কাছে দল-মতের কোনো প্রাধান্য নেই। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড যেখানেই সংঘটিত হবে অথবা সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে আমরা সেখানেই অভিযান পরিচালনা করব। আমরা যেকোনো মূল্যে এ দেশকে নিরাপদ ও শান্তিতে রাখতে বদ্ধপরিকর।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম অভ য ন ইসল ম র ইউন য ন এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে না: গঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় গাজীপুর চৌরাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বিকালেই তিনি গাজীপুর চৌরাস্তায় ফুটপাতে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ করেছিলেন। সন্ধ্যায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। দেশের চাঁদাবাজরা কত নৃশংস ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তার আরেকটি ভয়ংকর দৃষ্টান্ত এটা। এই ন্যক্কারজনক নৃশংস হত্যাকাণ্ড থেকে এটা প্রমাণ হয় যে, ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে দেশ এখন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের দখলে চলে গেছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বাদ জুমআ নগরীর ডিআইটি চত্বর থেকে গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর সহ-সভাপতি মুহা. নুর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. শামসুল আলম, অর্থ সম্পাদক মুহা. ইসমাইল, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মাও. সাইয়্যেদ রিদওয়ান, সহ প্রচার ও দাওয়া সম্পাদক মোস্তফা তালুকদার প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, ফুটপাতে কারা চাঁদাবাজি করে তা সবাই জানে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট। অবিলম্বে এদের গ্রেফতার করতে হবে এবং শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, একের পর এক এরকম হত্যাকাণ্ড, জুলুম করেই যাচ্ছে। অপরদিকে প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। দেশের জনগণ আইনের শাসন পাচ্ছে না।
নেতৃবৃন্দ হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, একটি মহলের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেশ আরও অশান্ত করে তুলছে। প্রকাশ্যে তারা মানুষকে দা, কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এটা কোন সভ্য মানুষের বক্তব্য হতে পারে না। এমন বক্তব্য কেবল উগ্র সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকেই আসতে পারে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।