সিলেটের গোয়াইনঘাটে সীমান্ত পিলার সংলগ্ন খেলার মাঠ জরিপ করতে এসে বাংলাদেশিদের বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন ভারতীয় জরিপকারী দল ও বিএসএফ সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে উপজেলার নলজুরি খাসি হাওর ১২৭৮-৭৯ পিলার এলাকায় ছিটমহল বিনিময় চুক্তির আওতাধীন খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিজিবি সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে সীমান্তের বিরোধপূর্ণ এলাকা ও ছিটমহল বিনিময় হয়। তবে, কিছু ভূখণ্ডে এখনো পিলার স্থাপন করে দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। জৈন্তাপুরের নলজুরি এলাকার ওই অংশ এ রকমই একটি ভূখণ্ড। যে খেলার মাঠে আজ জরিপকারী দল জায়গা পরিমাপ করতে গিয়েছিল, এটি বাংলাদেশের দখলে রয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, এ স্থানের কিছু অংশ ভারতের অভ্যন্তরে যাওয়ার কথা। মূলত জরিপের অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ ও ভারতের জরিপকারী একটি দল জায়গা পরিমাপ করতে সেখানে যায়। বিজিবি ও বিএসএফের সদস্যরা নিরাপত্তা দিতে গিয়েছিলেন।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের দখলে থাকা জায়গা ভারত নিয়ে নিচ্ছে—এমন আশঙ্কায় গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা দিয়ে জরিপ দলের সদস্যদের বাধা দেন। গ্রামবাসী এ সময় বিএসএফ সদস্যদের নিজেদের সীমানায় চলে যাওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে, বিজিবি জরিপের বিষয়টি বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। আপাতত জরিপকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লে.

কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘‘জরিপকাজের বিষয়টি গ্রামবাসী জানতেন না। তাই ভুল–বোঝাবুঝি থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।’’

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, ‘‘যতটা জেনেছি, সীমান্তে যৌথ সমীক্ষা চলছিল। তবে, কে বা কারা সমীক্ষা চালিয়েছেন তা জানি না। এই বিষয়ে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি।’’

ঢাকা/নূর/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

তামাবিল সীমান্তে যৌথ জরিপের সময় বিএসএফের সঙ্গে স্থানীয়দের উত্তেজনা 

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল সীমান্তে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত জরিপ চলার সময় বিএসএফ সদস্যদের বাংলাদেশি ভূখণ্ডে প্রবেশে বাধা দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। বাংলাদেশের ভূখণ্ড বিএসএফ দখল করে নিচ্ছে- এমন অভিযোগে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে মাঠে হাজির হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সীমান্ত পিলার ১২৭৮ ও ১২৭৯ এর মধ্যবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক সমকালকে বলেন, কিছুদিন ধরে যৌথ জরিপ চলছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার নলজুরি খাসি হাওর ১২৭৮-১২৭৯ পিলারের মধ্যে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলার মাঠে আজ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে জরিপ কাজ শুরু হয়। জরিপ চলার সময় বাংলাদেশি কিছু লোক আবেগপ্রবণ হয়ে ভিড় করেন। বিএসএফের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। পরবর্তীতে কবে জরিপ হবে তা এখন বলা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, তামাবিল সীমান্তে বাংলাদেশের জায়গা (খেলার মাঠ এলাকা) অপদখলীয় ভূমি হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময় চুক্তির আলোকে সীমান্ত এলাকায় সম্প্রতি জরিপ কাজ শুরু করে বাংলাদেশ ও ভারত। বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক জরিপের অংশ হিসেবে জরিপ শুরু হলে সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

জরিপ শুরু হলে বিএসএফের কয়েকজন সদস্যের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খাসি হাওর এলাকায় প্রবেশ করা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানান। ওই সময় স্থানীয় লোকজন হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতেও দেখা যায়। এক বিএসএফ সদস্যকে হিন্দিতে বলতে শোনা যায়, ‘এ হামারা মুল্লুক হ্যা। সমস্যা কিয়া হ্যায় তুম লোগকো।’  

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, যতটা জানতে পেরেছি সীমান্তে যৌথ সমীক্ষা চলছিল। তবে কে বা কারা সমীক্ষা চালিয়েছে তা আমরা জানি না। 

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএসএফের ‘পুশ-ইন’ ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি খেলাফত মজলিসের
  • তামাবিল সীমান্তে যৌথ জরিপের সময় বিএসএফের সঙ্গে স্থানীয়দের উত্তেজনা 
  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ জরিপকাজে গ্রামবাসীর বাধা
  • এবার কমলগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে পুশইন
  • উপকূলে সরকারি পানিবণ্টনে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি
  • সীমান্তে পরিচয়পত্রহীন ৯৬ জনকে পুশইন
  • ভারত যেভাবে পুশইন করেছে তা ঠিক নয়: নিরাপত্তা উপদেষ্টা
  • ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ৪ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিএসএফ
  • খাগড়াছড়িতে ৬৬ ভারতীর অনুপ্রবেশ