সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের এ কথা বলেন তিনি। 

এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। 

তিনি বলেন, যারা এই ঘটনা জড়িত তাদের শুধু পদত্যাগ নয়, তদন্ত করে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবো। এটা নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কোনো অবস্থাতেই এটা ছাড় দেওয়া যাবে না। এই ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি। 

‘সব আসামিদের ঘটনার পরে ধরা হচ্ছে’ শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঘটনার আগেও ধরা হচ্ছে, ঘটনার পরেও ধরা হচ্ছে। আমি তো অস্বীকার করিনি। আমি এটা এখানে আসার পর জানতে পারছি। আমি সঙ্গে সঙ্গেই এটা নিয়ে কথা বলেছি।’  

 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

গোপালগঞ্জের পুকুরে ভাই-বোনের মৃত্যু

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পুকুরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের নৈয়ারবাড়ি গ্রামে তারা মারা যায়।

কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মারা যাওয়ারা হলেন- সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের নৈয়ারবাড়ি গ্রামের পংকজ জয়ধরের ছেলে সজল জয়ধর (২০) এবং শংকর জয়ধরের মেয়ে অনুছোয়া জয়ধর (৭)। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।

আরো পড়ুন:

মানিকগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু

‘জীবন গাড়ির নাইরে ব্যাকগিয়ার’ 

ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “শুক্রবার দুপুরে চাচাতো বোন অনুছোয়া জয়ধরকে নিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে নামেন সজল জয়ধর। এক পর্যায়ে অনুছোয়া ডুবে গেলে তাকে উদ্ধার করতে যান সজল। এসময় তিনিও পানিতে ডুবে যান। পরে পরিবারের লোকজন পুকুরে তাদের পুকুরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক  সজল ও অনুছোয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।”

ওসি আরো বলেন, “আমরা হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ দুইটি হেফাজতে নেই। মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে কি না সেটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ