জড়িতদের শাস্তি দিতে না পারলে চলে যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 8th, May 2025 GMT
সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা এই ঘটনা জড়িত তাদের শুধু পদত্যাগ নয়, তদন্ত করে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবো। এটা নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কোনো অবস্থাতেই এটা ছাড় দেওয়া যাবে না। এই ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
‘সব আসামিদের ঘটনার পরে ধরা হচ্ছে’ শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঘটনার আগেও ধরা হচ্ছে, ঘটনার পরেও ধরা হচ্ছে। আমি তো অস্বীকার করিনি। আমি এটা এখানে আসার পর জানতে পারছি। আমি সঙ্গে সঙ্গেই এটা নিয়ে কথা বলেছি।’
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সীমান্তের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ভারতের সেনাঘাঁটির ভিত্তি স্থাপন
বাংলাদেশের সীমান্তের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে আসাম রাজ্যের ধুবড়ি শহরে একটি সেনাঘাঁটি করছে ভারত সরকার।
ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংযোগ স্থাপনকারী কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ‘চিকেনস নেক’ করিডরের কাছেই এটি স্থাপিত হচ্ছে।
ভারতের সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি গত বৃহস্পতিবার এই ঘাঁটির ভিত্তি স্থাপন করেন। এর নাম রাখা হয়েছে ‘লাচিত বোরফুকান মিলিটারি স্টেশন’। এটি এসেছে আসামের ১৭ শতকের কিংবদন্তি কমান্ডার লাচিত বোরফুকানের নাম থেকে। বলা হয়ে থাকে, তিনি মোগল বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি কাজের সর্বোত্তম মান বজায় রেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ ঘাঁটিকে কার্যকর করে তোলার নির্দেশনা দেন বলে ভারতের সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের এক এক্স পোস্টে জানানো হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, স্থানীয় বিধানসভা সদস্য হামিদুল রহমানও ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি সীমান্তবর্তী এলাকায় আভিযানিক প্রস্তুতি এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। পাশাপাশি চলমান অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগগুলোর অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন।
ভারতের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম রাওয়াত বলেছেন, স্টেশনটি স্থাপন ভারতীয় সেনাদের আঞ্চলিক অপারেশনাল সক্ষমতা এবং অবকাঠামো আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
স্টেশনটি তেজপুরভিত্তিক চতুর্থ কোরের অধীন থাকবে। এটি বনুমনি পার্ট-১ এবং বনুমনি পার্ট-২ গ্রামের সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। দ্য আসাম ট্রিবিউনের তথ্যমতে, বিলাসীপাড়া রেভিনিউ সার্কেলের সপ্তগ্রামে নির্মিত স্টেশনটি হচ্ছে ১৯৬ বিঘা জমির ওপর।
এই স্টেশনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি বিশেষায়িত ইউনিট ‘প্যারা এসএফ ইউনিট’সহ প্রায় ১ হাজার ৫০০ সেনাসদস্য থাকবেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এই স্টেশন (কোনো ঘটনায়) দ্রুত প্রতিক্রিয়া, নজরদারি এবং উচ্চ প্রভাবযুক্ত ট্যাকটিক্যাল অভিযানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ইস্টার্ন কমান্ডের সাবেক সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) রানা প্রতাপ কালিতা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, তামুলপুর, রাঙ্গিয়া ও গুয়াহাটি ছাড়িয়ে পশ্চিম আসামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোনো ঘাঁটি বা স্টেশন নেই। তিনি বলেন, তাদের (সেনাবাহিনীর) এই স্থানটি অধিগ্রহণ করা দরকার ছিল। এটি আসামে বাংলাদেশ সীমান্তের সবচেয়ে কাছাকাছি স্থানে অবস্থিত। তিনি আরও বলেন, ‘এই সীমান্ত অঞ্চলে যদি স্থায়ী কোনো সেনাঘাঁটি থাকে, লজিস্টিক দিক থেকে প্রয়োজনের সময় তা আমাদের জন্য অনেক কিছু সহজ করে দেবে।’
আসামে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তের সবচেয়ে কাছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সামরিক স্টেশনটি শিলচরের মাসিমপুরে অবস্থিত। যার অবস্থান বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে। সেই তুলনায় নির্মিত লাচিত বোরফুকান মিলিটারি স্টেশন বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে বেশ কাছাকাছি।