কমিউনিটি ক্লিনিক হবে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র
Published: 9th, May 2025 GMT
কমিউনিটি ক্লিনিকের নাম পাল্টে ‘গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র’ করার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন। মাঠপর্যায়ের কর্মীদের পদবি ও কাজের ক্ষেত্রও পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে। তারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবারও একটি সংজ্ঞা ও সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন বলেছে, সংবিধানে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে অধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে। দেশের সব নাগরিককে বিনা মূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে আইনগতভাবে সরকার বাধ্য থাকবে। এ জন্য নতুন আইন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
৫ মে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সংজ্ঞা ও আওতা নির্ধারণ করে দিয়েছে কমিশন।
মোটাদাগে পাঁচ ধরনের সেবা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় থাকবে: যোগাযোগ সেবা; স্বাস্থ্য উন্নয়ন; সীমিত পর্যায় রোগের চিকিৎসা; পরিবার পরিকল্পনা সেবা এবং রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সেবা।
তিন স্তরের সেবা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব। সব মাঠকর্মীর নাম হবে গ্রামীণ স্বাস্থ্য উন্নয়নকর্মী।নাগরিক সংগঠন সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ কাজী সাইফউদ্দীন বেননূর এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াকে আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে আনার সুপারিশটি জনমুখী। প্রাথমিক স্বাস্থ্যের আওতা স্পষ্ট করেছে সংস্কার কমিশন। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসতন্ত্রের রোগের মতো বিষয়কে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় রাখা ঠিক হবে না। এই রোগ শনাক্তে এবং চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন। এটা প্রাথমিক স্তরে করা সম্ভব নয়।
কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র হিসেবে নামকরণের পাশাপাশি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রগুলোর নাম ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাম প্রাথমিক রেফারেল স্বাস্থ্যকেন্দ্র করার প্রস্তাব করেছে কমিশন।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক আছে ১৩ হাজার ৯২৬টি। এসব ক্লিনিক থেকে দৈনিক ছয়-সাত লাখ মানুষ সেবা নেয়। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি), তিন দিন কাজ করেন স্বাস্থ্য সহকারী এবং বাকি তিন দিন কাজ করেন পরিবারকল্যাণ সহকারী। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো এখন পরিচালিত হয় কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসহায়তা ট্রাস্টের আওতায়।
শুধু নাম নয়, কমিউনিটি ক্লিনিকের সঙ্গে জড়িত তিন স্বাস্থ্যকর্মীর পদবি পরিবর্তনেরও সুপারিশ করেছে কমিশন। সিএইচসিপি, স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবারকল্যাণ সহকারী—এই তিন পদের নাম হবে একটাই, গ্রামীণ স্বাস্থ্য উন্নয়নকর্মী।
তাঁদের কাজের ক্ষেত্রও কিছুটা পরিবর্তন হবে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে) অধ্যাপক মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আবারও বিশ্ব রেকর্ড ডুপ্লান্টিসের, এবার লাফালেন তিনতলা বাড়ির উচ্চতা
আরমান্দ ‘মোন্দো’ ডুপ্লান্টিসের হাতে পোল মানেই যেন বিশ্ব রেকর্ড!
হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট মিটে গতকাল যেমন করলেন। পোল ভল্টে গড়া নিজের বিশ্ব রেকর্ড ভাঙলেন নিজেই। পোল নিয়ে ৬.২৯ মিটার উঁচুতে লাফিয়ে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন সুইডিশ কিংবদন্তি। মাত্র এক সেন্টিমিটার ব্যবধানে ভেঙেছেন গত জুনে স্টকহোমে গড়া নিজের বিশ্ব রেকর্ড (৬.২৮ মিটার)। বুদাপেস্ট মিটে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় এই উচ্চতার বেশি লাফিয়ে ১৩তম বারের মতো বিশ্ব রেকর্ড ভাঙলেন ডুপ্লান্টিস।
আরও পড়ুন৩২ কেজি ওজনের মাছ শিকার করে ৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা জিতলেন বাস্কেটবল কিংবদন্তি১১ আগস্ট ২০২৫চলতি বছর পোল ভল্টে এ নিয়ে তৃতীয় রেকর্ড গড়লেন ডুপ্লান্টিস। গত ফেব্রুয়ারিতে ক্লেরমন্ট–ফেরান্ডে ৬.২৭ মিটার উচ্চতা টপকে যান ২৫ বছর বয়সী এ অ্যাথলেট। বুদাপেস্টে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বিশ্ব রেকর্ড গড়া লাফটি দেওয়ার সময় ডুপ্লান্টিসের একটি পা ও পেট বারের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল। তবে লাফানোটি আইনসিদ্ধ ছিল।
১৯৮৫ সালের ১৩ জুলাই ইতিহাসের প্রথম পোল ভল্টার হিসেবে ৬ মিটার উচ্চতা লাফিয়ে পার হয়েছিলেন ইউক্রেনের কিংবদন্তি সের্গেই বুবকা। এরপর মোট ২৬ বার ভেঙেছে বিশ্ব রেকর্ড—বুবকা ভাঙেন ১২ বার, ডুপ্লান্টিস ভেঙেছেন ১৩ বার এবং একবার ভেঙেছেন রেঁনাদ লাভিলেনি। ডুপ্লান্টিস ২০২০ সালে ৬.১৭ মিটার লাফিয়ে প্রথম বিশ্ব রেকর্ড ভাঙেন।
বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পর ডুপ্লান্টিসের উদ্যাপন