Prothomalo:
2025-06-27@14:30:14 GMT

মানুষের চেয়ে ভেড়া বেশি

Published: 10th, May 2025 GMT

নিউজিল্যান্ড বলতে আমাদের অনেকের তুষারঢাকা পর্বতের পেছনে সবুজ মাঠে ঘুরে বেড়ানো ভেড়ার ছবি বা চলচ্চিত্র সিরিজ ‘লর্ড অব দ্য রিংস’–এর কথা মনে পড়ে। প্রশান্ত মহাসাগরের দেশটি অনেকাংশে এখনো তা–ই। দেশটিতে এখনো মানুষের চেয়ে ভেড়ার সংখ্যা বেশি। তবে মানুষ ও ভেড়ার ব্যবধান কমতে শুরু করেছে।

সাম্প্রতিক সরকারি তথ্য বলছে, নিউজিল্যান্ডে বর্তমানে ভেড়ার সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৩৬ লাখ। মানুষের সংখ্যা ৫৩ লাখের মতো। মানে, গড়ে প্রত্যেক নিউজিল্যান্ডবাসীর জন্য এখনো ৪ দশমিক ৫টি করে ভেড়া আছে। তবে একসময় তা অনেক বেশি ছিল।

সময়টা ছিল ১৯৮২ সাল। তখন একেকজন মানুষের বিপরীতে ভেড়া ছিল ২২টি। ভেড়া পালন, বিশেষ করে পশম ও মাংস রপ্তানি ছিল দেশটির অর্থনীতির প্রধান ভরসা। তখন সাত কোটির বেশি ভেড়ার বিপরীতে মাত্র ৩২ লাখ মানুষ হওয়ায় অনেকে দেশটিকে বিশাল খামার বলে মজা করতেন।

কিন্তু সময় বদলেছে। বদলেছে মানুষের চাহিদাও। সারা বিশ্বে পশমের দাম পড়ে গেছে। কৃত্রিম তন্তুর (সিনথেটিক ফাইবার) চাহিদা বেড়েছে। নিউজিল্যান্ডেও এসবের প্রভাব পড়েছে। তাই দেশটির একসময়ের ‘সাদা সোনা’ এখন আর ততটা দামে কেউ কেনে না। ফলে অনেক খামারিই ভেড়া ছেড়ে অন্যদিকে ঝুঁকছেন। এখন দেশটির প্রধান রপ্তানি খাত হয়ে উঠেছে দুগ্ধজাত পণ্য ও ফুল-ফল-সবজির চাষ।

ভেড়ার সংখ্যা কমে যাওয়া ঠেকাতে নানা পরিকল্পনা নিচ্ছে নিউজিল্যান্ড সরকার। ২০২৪ সালে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে কার্বন ফরেস্ট্রি (জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বনায়ন) সীমিত করার জন্য জমির ব্যবহারে নতুন নিয়ম আসছে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সরকারি ভবনে স্থানীয় পশমজাত পণ্য ব্যবহারের নির্দেশনা চালু হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞের মতে এসব উদ্যোগ খুব একটা ফলপ্রসূ না–ও হতে পারে।

শুধু নিউজিল্যান্ড নয়, প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়ায়ও একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই দেশেও মানুষের চেয়ে ভেড়া বেশি। তবে সেখানেও ভেড়ার সংখ্যা কমছে। অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানে মাথাপিছু নাগরিকের জন্য প্রায় তিনটি ভেড়া আছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আগামীর রাজনীতি যেন ফ্যাসিবাদের জন্ম না দেয়: জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর রাজনীতি যেন ফ্যাসিবাদের জন্ম না দেয়। জনপ্রত্যাশা পূরণ রাজনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলে যারা আছেন, তারা যেন সত্যিকার অর্থে মুখে যেভাবে বলেন, সেভাবে স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করেন।

শুক্রবার সকালে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সাবেক আমির প্রয়াত দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিবের পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন তিনি। শফিকুল রহমান শহরের শাহ মোস্তফা রোডে দেওয়ান মঞ্জিলে মরহুমের সন্তানদের খোঁজখবর নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দেওয়ান সিরাজুল ইসলামের ছেলে দেওয়ান শরীফুজ্জামান, দেওয়ান কামরুজ্জামান শিবলী, দেওয়ান মাশকুরুজ্জামান, দেওয়ান মুয়াজ উজ্জামানসহ অনেকে। জামায়াত আমির পরে সিরাজুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার গিয়াস নগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে যান। সেখানে মরহুমের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন।

কবর জিয়ারত শেষে তিনি বেলা ১১টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে যান। সেখানে সম্প্রতি হত্যার শিকার স্কুলছাত্রী নাফিজা জান্নাত আনজুমের কবর জিয়ারত করে তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় খুনি জুনেল মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান জামায়াত আমির।

তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই। আমরা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বলছি, তাদের কলম যেন ন্যায়ের পক্ষে চলে। আমরা ছাড় দেব না। কারণ, এই জুনেল আত্মস্বীকৃত খুনি। সে আনজুমকে জুলুম করে খুন করেছে, সে নিজে সাক্ষী দিয়েছে। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে বিচার করবে। স্বাধীন বিচারকের ওপরে পরাধীনতা করার চেষ্টা কাম্য নয়। শুনেছি, এই হত্যা মামলা নিয়ে অনেকেই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। এ রকম যদি হয়ে থাকে, আমরা তা প্রতিহত করব। ন্যায়বিচারের জন্য সবাইকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ