সোনালী ব্যাংকের নিজস্ব পেমেন্ট সুইচ চালু
Published: 14th, May 2025 GMT
গ্রাহকদের দ্রুত, নিরাপদ ও সার্বক্ষণিক নিরবচ্ছিন্ন কার্ড লেনদেনের সুবিধা দিতে নিজস্ব পেমেন্ট সুইচ বাস্তবায়ন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক। এই সুইচ বাস্তবায়নের ফলে ডেবিট, ক্রেডিট, প্রিপেইড বা ভার্চ্যুয়াল কার্ডে লেনদেন আরও নির্ভরযোগ্য হবে। তৃতীয় পক্ষের সহযোগিতা ছাড়া স্বতন্ত্র নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
এ ছাড়া নিজস্ব পেমেন্ট সুইচ চালুর মাধ্যমে লেনদেনের তথ্য অধিকতর সুরক্ষিত থাকবে। সেই সঙ্গে ব্যাংক ও গ্রাহকের খরচ সাশ্রয় হবে এবং ব্যাংক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কম সময়ের মধ্যে কার্ড ইস্যু ও প্রক্রিয়াকরণ করতে পারবে। খবর বিজ্ঞপ্তি।
সোনালী ব্যাংকের কার্ড ব্যবহারের মাশুল দেশের অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় সাশ্রয়ী। বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের প্রায় ১৪ লাখ ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক আছে। এত দিন গ্রাহকদের এসব সেবা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পরিচালনা করা হতো। এতে ব্যাংকের কার্ড সেবা দিতে সময় বেশি লাগত এবং খরচও হতো বেশি। এখন নিজস্ব পেমেন্ট সুইচ চালুর মাধ্যমে সময় ও খরচ কমে যাবে এবং গ্রাহককে কম সময়ে কার্ড সেবা দিতে পারবে ব্যাংক।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.
মো. শওকত আলী খান আরও বলেন, ডিজিটালাইজেশন ব্যাংকিং খাতকে আরও উন্নত, নিরাপদ, টেকসই ও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে। তাই এমন গ্রাহকবান্ধব নিজস্ব ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যাতে গ্রাহক ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড ও বাংলা কিউআর কোডের মাধ্যমে দ্রুত লেনদেন করতে পারেন। তা ছাড়া গ্রাহককে তাঁর চাহিদা অনুযায়ী দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্ড দেওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ছাড়া গ্রাহকদের ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সারা দেশে এটিএম বুথ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ বছর বিভিন্ন স্থানে আরও ১৫৫টি এটিএম বুথ স্থাপন করা হচ্ছে। ২০২৩ সাল থেকে চালু হওয়া বাংলা কিউআর কোড ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে নগদবিহীন লেনদেনে অগ্রগতি হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।