শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে চান ট্রাম্প
Published: 14th, May 2025 GMT
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনের সঙ্গে ওয়াশিংটনের একটি ‘খুব, খুব জোরালো’ বাণিজ্যচুক্তির খসড়া রয়েছে, যার মাধ্যমে মার্কিন ব্যবসাগুলোর জন্য চীনের অর্থনীতি উন্মুক্ত হবে।
তিনি আরো বলেছেন, মার্কিন-চীন বাণিজ্য চুক্তির চূড়ান্ত বিবরণ নিয়ে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে পারেন।
ফক্স নিউজের বরাত দিয়ে বুধবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
আরো পড়ুন:
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
সৌদি আরব পৌঁছেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ফক্স নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তিনি মার্কিন-চীন বাণিজ্য চুক্তির চূড়ান্ত বিবরণ নিয়ে তার চীনা প্রতিপক্ষ শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে পারেন।
ট্রাম্প ফক্স নিউজ চ্যানেলের শন হ্যানিটিকে বলেন, “হ্যাঁ, আমি তা দেখতে পাচ্ছি। আমি বলতে চাচ্ছি, আমি নিশ্চিত নই যে, এটি প্রয়োজনীয় হবে কিনা, তবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এটি ঘটেছে।”
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, শি’র সঙ্গে তার সমসময় ‘ভালো সম্পর্ক’ রয়েছে। ট্রাম্প বলেন, শির প্রতি তার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, “আমার মনে হয় এটি আমাদের জন্য এবং চীনের জন্যও সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে যে, আমরা চীনকে উন্মুক্ত করার চেষ্টা করছি। কারণ আপনি জানেন, বহু বছর আগে, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এখন চীনের উন্মুক্ত করার সময় এসেছে এবং এটি আমাদের চুক্তির অংশ। আমরা চীনকে উন্মুক্ত করতে যাচ্ছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের একটি খুব, খুব শক্তিশালী চুক্তির সীমারেখা নির্ধারিত হয়েছে। এই চুক্তির সবচেয়ে উত্তেজনাকর অংশ হচ্ছে- চীনকে আমাদের ব্যবসার জন্য খুলে দেওয়া।”
তিনি বলেন, “এবং এটি একটি সম্পূর্ণ নতুন বিশ্ব উন্মুক্ত করার মতো হবে। আমি মনে করি এটি চীনের জন্য আরো ভালো হবে।
গত সপ্তাহান্তে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন ম্যারাথন বাণিজ্য আলোচনা সম্পন্ন করেছে।
আলোচনায় প্রাথমিকভাবে ৯০ দিনের জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে শুল্ক হ্রাস করার একটি চুক্তি হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্য আমদানির উপর মার্কিন শুল্ক ১৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করবে এবং চীন আমেরিকান পণ্যের উপর তার আমদানি শুল্ক ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করবে।
উভয় পক্ষের বিবৃতিতে ‘গঠনমূলক’ হিসাবে বর্ণনা করা এই আলোচনা, এই বছরের শুরুতে ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক বৃদ্ধির পর কয়েক মাস ধরে সম্পর্কের অবনতির পরে একটি বড় অগ্রগতি।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ট র ম প বল র জন য আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
৮ ঘণ্টা ধরে কাকরাইলে আন্দোলনে জবি শিক্ষার্থীরা, মেলেনি সাড়া
তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আট ঘণ্টা ধরে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে আন্দোলন করছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বার্তা পাননি তারা। বুধবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় প্রবেশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। তবে এখন পর্যন্ত সেখান থেকে কোনো বার্তা আসেনি।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদের বেলায় লাঠিচার্জ করা হয়। আর ঢাবি থেকে কেউ আসলে তার জন্য ঠান্ডা পানি ছিটানো হয়। আমাদের দাবি যৌক্তিক, দাবি মেনে নিতে হবে।
আরেক শিক্ষার্থী তৈমুর মবিন বলেন, শুক্রবার থেকে পুরান ঢাকার সকল মোড় ব্লক করে দেওয়া হবে। সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমাদের দাবি না মানার সুযোগ নেই।
বিকাল তিনটার দিকে আলোচনার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন যমুনায় যান। দেড় ঘণ্টা পরে আলোচনায় অংশ নিতে যমুনায় যান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন।
কাকরাইলে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রায় টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড
বেলা পৌনে ১২টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে রওনা হন। প্রথমে গুলিস্তান মাজার গেটে তাদের পদযাত্রা বাধার সম্মুখীন হয়। পরে মৎস ভবনে ফের পুলিশের বাধা অতিক্রম করে যমুনা অভিমুখে এগিয়ে যেতে থাকেন জবি শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা কাকরাইল ক্রসিং মোড়ে আসতেই টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করতে শুরু করে পুলিশ। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক জন আহত হন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, আমরা মোড়ে আসা মাত্রই অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমাদের ওপর গুলি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে কোনো বার্তা আসেনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করার দাবিতে কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।