ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যকে শেষবারের মতো একনজর দেখার অপেক্ষায় স্বজনেরা। সাম্যের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচির ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়নের সড়াতৈল মধ্যপাড়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার ব্যবসায়ী মো. ফারহাদ হোসেনের ছোট ছেলে। ২০১৫ সালে মাকে হারান সাম্য।   

বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সাম্যের অকাল মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান গ্রামবাসী। গণমাধ্যমকর্মীরা সকাল থেকেই ভিড় করলেও দুপুর তিনটা পর্যন্ত তার মরদেহ আসেনি। সন্ধ্যার পর মরদেহ আসার কথা রয়েছে। আজ বাদ এশা সড়াতৈল মাদ্রাসা ও ঈদগাহ মাঠে সাম্যের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে পাশের কবরস্থানে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।

সাম্যের ছোট চাচা বলেন, সাম্য উল্লাপাড়া বিজ্ঞান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তার এই অকাল মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না। 

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা সেকেন্দার আলী পাকিস্তান আমলের দারোগা ছিলেন। আমাদের পরিবারের প্রায় সবাই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। আমাদের বংশে উচ্ছৃঙ্খল কেউ নেই। এমনকি এলাকায় মারামারি বা হানাহানির সঙ্গেও আমরা কখনও জড়াই না। আর আমার মা হারা ভাতিজাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হলো। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। 

স্থানীয় বাসিন্দা মামুন বিশ্বাস বলেন, সাম্যদের পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকেন। ঈদ ও বিশেষ কোনো আয়োজনে তারা গ্রামে আসেন। সাম্য অনেক মেধাবী ছিলেন। এলাকার কারোর সঙ্গে তার কোনো ঝামেলার খবর শুনিনি। আর সেই সাম্য এভাবে ঝড়ে যাবে, আমরা কখনই ভাবিনি। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য। তিনি ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। স্যার এএফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তিনি হল ছাত্রদলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য

এছাড়াও পড়ুন:

সাম্যকে একনজর দেখার অপেক্ষায় স্বজনেরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যকে শেষবারের মতো একনজর দেখার অপেক্ষায় স্বজনেরা। সাম্যের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচির ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়নের সড়াতৈল মধ্যপাড়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার ব্যবসায়ী মো. ফারহাদ হোসেনের ছোট ছেলে। ২০১৫ সালে মাকে হারান সাম্য।   

বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সাম্যের অকাল মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান গ্রামবাসী। গণমাধ্যমকর্মীরা সকাল থেকেই ভিড় করলেও দুপুর তিনটা পর্যন্ত তার মরদেহ আসেনি। সন্ধ্যার পর মরদেহ আসার কথা রয়েছে। আজ বাদ এশা সড়াতৈল মাদ্রাসা ও ঈদগাহ মাঠে সাম্যের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে পাশের কবরস্থানে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।

সাম্যের ছোট চাচা বলেন, সাম্য উল্লাপাড়া বিজ্ঞান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তার এই অকাল মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না। 

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা সেকেন্দার আলী পাকিস্তান আমলের দারোগা ছিলেন। আমাদের পরিবারের প্রায় সবাই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। আমাদের বংশে উচ্ছৃঙ্খল কেউ নেই। এমনকি এলাকায় মারামারি বা হানাহানির সঙ্গেও আমরা কখনও জড়াই না। আর আমার মা হারা ভাতিজাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হলো। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। 

স্থানীয় বাসিন্দা মামুন বিশ্বাস বলেন, সাম্যদের পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকেন। ঈদ ও বিশেষ কোনো আয়োজনে তারা গ্রামে আসেন। সাম্য অনেক মেধাবী ছিলেন। এলাকার কারোর সঙ্গে তার কোনো ঝামেলার খবর শুনিনি। আর সেই সাম্য এভাবে ঝড়ে যাবে, আমরা কখনই ভাবিনি। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য। তিনি ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। স্যার এএফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তিনি হল ছাত্রদলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ