সাতক্ষীরার লক্ষ্মীদাঁড়ি সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে শেখ আলমগীর হোসেন (৩৫) নামের এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সীমান্তের বিজিবির পোস্টের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

আহত আলমগীরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীদাঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা শেখ সাঈদ হোসেনের ছেলে।

আলমগীর হোসেন বলেন, সীমান্তের শূন্যরেখা বরাবর কুমড়োর খালের পাশে তাঁর একটি মাছের ঘের রয়েছে। বৃষ্টিতে ঘেরটি তলিয়ে গেছে। তিনি আজ ভোরে জাল দিয়ে ঘেরটি ঘিরতে যান। তখন ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাঁর দিকে গুলি ছোড়েন। ছররা গুলি তাঁর মুখ, মাথা ও চোখের ভুরুতে লাগে।

তবে আলমগীর হোসেনের ভাষ্য নাকচ করে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সম্পর্কে বিজিবির ভোমরা ক্যাম্পের সুবেদার মো.

জহিরউদ্দিন বলেন, নিজেদের সোর্স থেকে জানতে পরেছেন আলমগীর গত ৩০ জুলাই অবৈধভাবে ভারতের বসিরহাট মহকুমায় আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। আজ ভোরে ফেরার সময় ভারতীয় ভূখণ্ডে ঘোজাডাঙা এলাকায় বিএসএফ গুলি ছোড়ে।  

আলমগীরের ভাগনে বেলাল হোসেন বলেন, মামা ফোন করে জানান, তাঁর গায়ে গুলি লেগেছে। পরে ভোমরা বাজারে তাঁর সঙ্গে দেখা হলে দেখি মুখে ছররা গুলির চিহ্ন। স্থানীয় একজন মোটরসাইকেল চালক আবু হোসেন জানান, সকালে জাহাঙ্গীর মার্কেট এলাকা থেকে আলমগীরকে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ বি এম আক্তার মারুফ বলেন, আলমগীরকে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর মুখমণ্ডল ও মাথায় ছররা গুলির চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।

সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আলমগ র ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাকিমপুর সীমান্ত থেকে আটক ১৫ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। 

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে ৮০ শতাংশ মাদক আসে সাগরপথে: বিজিবি 

অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তথ্য সহায়তার আহ্বান বিজিবির

ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের মধ্যে আটজন নারী, দুইজন পুরুষ ও পাঁচজন শিশু। তারা সাতক্ষীরা সদর, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দা। তাদের রাতে সাতক্ষীরা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত পার হওয়ার সময় বাংলাদেশি নাগরিকরা বিএসএফের কাছে আটক হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী গ্রামের মো. শাহীন সানা, তার স্ত্রী নিলুফা ও কন্যা শাহিনা সুলতানা, একই উপজেলার নওয়াবেকি গ্রামের মিস সুরাইয়া ইয়াসমিন, মোছা. রাবিয়া বেগম, বড়কুপট গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, লিপিকা খাতুন, নাজমা খাতুন, জিম তরফদার, বয়ারসিং গ্রামের মোছা. ফারহানা আক্তার ও তার ছেলে ফারহান ঢালী, উত্তর আটুলিয়া গ্রামের সেমিনা খাতুন, আশাশুনি উপজেলার হিজলিয়া গ্রামের রাবিয়া খাতুন ও রিয়াদ হাসান এবং সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ফুলমতি খাতুন।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামিনুল হক বলেন, “ভারতের হাকিমপুর সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকরা বিএসএফের হাতে আটক হন। পরবর্তীতে বিএসএফের আমুদিয়া কোম্পানি কমান্ডার বিকাশ কুমার সাতক্ষীরার তলুইগাছা কোম্পানি কমান্ডার আবুল কাশেমের নিকট পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এসব বাংলাদেশিদের হন্তান্তর করেন।”

তিনি আরো বলেন, “বিজিবি ফেরত আনা নারী-পুরুষ ও শিশুদের সাতক্ষীরা থানায় হন্তান্তর করেছে। পরিচয় যাচাই শেষে তাদের পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিজিবিতে চাকরি পেলেন ফেলানীর ছোট ভাই
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর