পণ্য খালাস করতে ১৭টি সই লাগে: অ্যামচেম সভাপতি
Published: 17th, May 2025 GMT
আমদানি করা পণ্য শুল্ক বিভাগ থেকে খালাস করতে ১৭টি সই ও ৭ থেকে ৮ দিন সময় লাগে বলে অভিযোগ করেছেন আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ।
আজ শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য পুনর্গঠন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন সৈয়দ এরশাদ আহমেদ। সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
সেমিনারে সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, ‘দেশে পণ্য খালাসে অনেক সময় লাগলেও ভিয়েতনামে লাগে এক দিনেরও কম। ফলে আমরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছি। এই পরিস্থিতিতে শুল্ক বিভাগের আধুনিকায়ন প্রয়োজন। বাংলাদেশ যেসব পণ্য রপ্তানি করে, তার অধিকাংশ কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। ফলে পণ্য খালাসের সময় কমানোর বিকল্প নেই।’
সৈয়দ এরশাদ আরও বলেন, ‘শুধু প্রচার-প্রচারণা, শোভাযাত্রা (রোড শো) করলেই হবে না; রপ্তানি কেন বাড়ছে না, তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। দেশে ৫০টির বেশি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, কিন্তু সেখানে গবেষণা নেই। এসব দিকে নজর দিতে হবে। নীতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে শতাধিক বাংলাদেশি আটক
ভারতে অনুপ্রবেশ এবং অবৈধভাবে বসবাসের চেষ্টার অভিযোগে শতাধিক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে উত্তর প্রদেশে থেকেই আটক করা হয়েছে ৯০ জনকে।
শুক্রবার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সন্ধানে উত্তর প্রদেশজুড়ে অভিযান শুরু হয়। রাজ্যটির মথুরা জেলা থেকে ৯০ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। নৌঝিল থানার সীমানার খাজপুর গ্রামের স্থানীয় ইটভাটা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ, ২৭ জন মহিলা এবং ২৮ জন শিশু রয়েছে।
মথুরা জেলার এসএসপি শ্লোক কুমার জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় আটককৃতরা জানিয়েছেন, তাদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। তারা নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিক বলে স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানায়, আটককৃতরা তিন থেকে চার মাস আগে প্রতিবেশী এক রাজ্য হয়ে মথুরায় চলে এসেছিল। পুলিশ তাদের যোগসূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। কথা বলা হচ্ছে তাদের কাজের ঠিকাদার এবং অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গেও। এই বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে কিছু আধার কার্ডও উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো সম্ভবত অন্য কোনো রাজ্যে জাল নথির ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই জানা যাবে কার হাত ধরে ভারতে ঢুকল তারা। কীভাবেই বা পেল কাজ, কোথা থেকে জাল নথি বানায় তারা।
এদিকে উত্তর প্রদেশের পাশাপাশি দিল্লিতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে ১৫ বাংলাদেশিসহ ২৮ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন নাইজেরিয়ার, ১৫ জন বাংলাদেশের এবং একজন আইভরি কোস্টের নাগরিক। আটককৃত বাংলাদেশিদের মধ্যে পাঁচ শিশুও রয়েছে।
ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপি আদিত্য গৌতম জানান, এই বাংলাদেশিরা প্রত্যেকেই অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে রাজ্যটির কোচবিহার জেলা থেকে ট্রেনে করে দিল্লিতে আসে এবং হরিয়ানার খারখোদা এলাকায় ইটভাটায় কাজ নেয়। পরিচয় যাচাই-বাছায়ের কাজ শুরু করে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করেছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
পশ্চিমবঙ্গেও শুক্র থেকে শনিবার অবৈধ অনুপ্রবেশ ও স্থায়ী বসবাসের অভিযোগে আটক করা হয়েছে একাধিক বাংলাদেশিকে। রাজ্যটির কোচবিহার , শিলিগুড়ি থেকে দুজন, হুগলি থেকে দুজন, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে তিনজন ও মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য ছত্রিশগড়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করা হয়েছে এক বাংলাদেশি দম্পতিকে।
ঢাকা/শাহেদ