আমদানি করা পণ্য শুল্ক বিভাগ থেকে খালাস করতে ১৭টি সই ও ৭ থেকে ৮ দিন সময় লাগে বলে অভিযোগ করেছেন আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ।

আজ শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য পুনর্গঠন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন সৈয়দ এরশাদ আহমেদ। সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) আনিসুজ্জামান চৌধুরী।

সেমিনারে সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, ‘দেশে পণ্য খালাসে অনেক সময় লাগলেও ভিয়েতনামে লাগে এক দিনেরও কম। ফলে আমরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছি। এই পরিস্থিতিতে শুল্ক বিভাগের আধুনিকায়ন প্রয়োজন। বাংলাদেশ যেসব পণ্য রপ্তানি করে, তার অধিকাংশ কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। ফলে পণ্য খালাসের সময় কমানোর বিকল্প নেই।’

সৈয়দ এরশাদ আরও বলেন, ‘শুধু প্রচার-প্রচারণা, শোভাযাত্রা (রোড শো) করলেই হবে না; রপ্তানি কেন বাড়ছে না, তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। দেশে ৫০টির বেশি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, কিন্তু সেখানে গবেষণা নেই। এসব দিকে নজর দিতে হবে। নীতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামের ফিশারি ঘাটে ক্রেতা বেশি, মাছ কম

সামনে মাছের স্তূপ। চারপাশ ঘিরে আছেন ক্রেতারা। মাঝখানে দাঁড়িয়ে নিলামে দাম হাঁকছেন বিক্রেতা। ক্রেতারা চুপ হয়ে গেলে সর্বোচ্চ দাম আবার বলছেন বিক্রেতা। ক্রেতারাও একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ধাপে ধাপে বাড়াচ্ছেন দাম। এই চিত্র চট্টগ্রামের মাছের বৃহত্তম আড়ত নগরের ফিশারি ঘাটের।

প্রতিদিন ভোররাত থেকে এখানে বিক্রির উদ্দেশ্যে মাছ নিয়ে আসেন জেলেরা। কর্ণফুলীর তীরঘেঁষা এ বাজারে নদীর পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছও ওঠে। তবে গত কয়েক দিন সাগর উত্তাল থাকায় আজ বুধবার সকালে মাছের সরবরাহ কম দেখা গেছে এ বাজারে। আড়তদার ও জেলেরা জানান, আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় মাছ তেমন নেই। বিশেষ করে ইলিশের দেখা মিলছে হাতেগোনা।  

আড়তদারেরা বলছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী এখনো মাছ আসছে না ঘাটে। ছোট আকারের মাছ পাওয়া গেলেও বড় মাছ হাতেগোনা। বাজারে লইট্টা, বোয়াল, কোরাল, রুপচাঁদা, কই, কাতলা, পোয়া—এসব মাছ আসছে। তবে সংখ্যা কম। অধিকাংশ মাছ আকারে ছোট। ক্রেতাদের চাহিদা থাকলেও ইলিশের সরবরাহ খুবই কম।

ফিশারি ঘাটের মূল বেচাকেনা হয় ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টার মধ্যে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টায় ফিশারি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। তবে ক্রেতা অনুপাতে মাছ তেমন নেই। ঘাটের একটি স্থানে ক্রেতাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে দাম হাঁকছেন মোহাম্মদ সেলিম। তাঁর সামনে লইট্টা মাছের স্তূপ। ক্রেতাদের তর্ক চলছে দাম নিয়ে। একজনের চেয়ে অন্যজন কিছুটা বাড়িয়ে দাম হাঁকছেন। ৫ হাজার ৮০০ টাকা তিনবার হাঁক দিয়ে ক্রেতার কাছে মাছ বুঝিয়ে দিলেন সেলিম।  

চট্টগ্রামের ফিশারি ঘাটে মাছ কিনতে ক্রেতাদের ভিড়। আজ সকালে তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ