১৫৫ টাকার জন্য হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন
Published: 18th, May 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাওনা ১৫৫ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দোকানি রমজান আলীকে হত্যা করা হয়। আর এ হত্যার দায়ে আসামি নুর আমিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৮ মে) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রাজরামপুর মিস্ত্রিপাড়া মহল্লার আব্দুস সাত্তারের ছেলে নুর আমিন (২৯)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওদুদ জানান, ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ রাজরামপুর-মিস্ত্রিপাড়ায় পাওনা ১৫৫ টাকা চাওয়ায় দোকানি রমজান আলীর সঙ্গে বিবাদে জড়ায় নুর আমিন। এ সময় তিনি রমজনানের মাথায় আঘাত করলে গুরুতর জখম হয়। আহত দোকানি রমজান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার এসআই নাজমুল হক ওই যুবককে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানী ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
জমি নিয়ে বিরোধে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন, ভাবি গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে হত্যার দায়ে মা ও মেয়ের যাবজ্জীবন
শিয়াম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য প ইনব বগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মানিকগঞ্জের ক্যাথল্যাব যাবে চমেক হাসপাতালে
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপনের চার বছর পরও চালু করা যায়নি দুটি ক্যাথল্যাব। এরই মধ্যে একটি ক্যাথল্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম। তারা ক্যাথল্যাবটি যারা চালু করতে পারেননি, তাদেরকেই এ জন্য দায়ী করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হৃদরোগীদের সুবিধার জন্য এই হাসপাতালে ১৯ কোটি টাকা খরচে দুটি ক্যাথল্যাব স্থাপন করা হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এইচটিএমএস ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ট্রেড হাউস এখানে ক্যাথল্যাব দুটি স্থাপন করে। যদিও তারা সেগুলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়নি। এ ছাড়া নির্মাণ করা হয়নি ওয়াশরুম। দক্ষ লোকবলের না থাকায় চার বছরেও ক্যাথল্যাব দুটি চালু করা যায়নি।
এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ক্যাথল্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার উপসচিব মো. শাহাদত হোসেন কবির ৮ মে এক পরিপত্রে এ নির্দেশ দেন। এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বিপুলসংখ্যক রোগীকে নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসাসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুটি ক্যাথল্যাবের মধ্য থেকে উপযুক্ত একটি চমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে চিফ টেকনিক্যাল ম্যানেজার, নিমিউ অ্যান্ড টিসি প্রয়োজনীয় কারিগরি পরামর্শ ও সহায়তা দেবেন।
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ হাসপাতালে ৮০ শয্যার সিসিইউ রয়েছে। এখানে হৃদরোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের জন্য ২০১৮-১৯ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ক্যাথল্যাব স্থাপন করা হয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও দক্ষ লোকবল সংকটে ক্যাথল্যাবগুলো চালু করা যায়নি। একটি ক্যাথল্যাব চালু হলে মাসে ৫০-৬০ জন মুমূর্ষু হৃদরোগীর এনজিওগ্রাম করা সম্ভব। এতে সরকারি খরচেই তারা হার্টে রিং পরাতে পারবেন।
এমনিতেই এই হাসপাতালে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই। এর মধ্যে অব্যবহৃত দুটি ক্যাথল্যাবের একটি সরিয়ে নেওয়াকে মহাবিপদ হিসেবে দেখছেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সদস্য অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এ ঘটনার দায়ভার তাদের ওপরই পড়ে, যারা দীর্ঘদিনেও ক্যাথল্যাব দুটি চালু করতে পারেননি।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিকুল ইসলামের দাবি, তিনি যোগ দেওয়ার পর ক্যাথল্যাব দুটি চালুর উদ্যোগ নেন। ইতোমধ্যে তিনজন নার্স ও দু’জন টেকনিশিয়ানকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ক্যাথল্যাব চালুর আশ্বাস দেন। সেটি দিয়েই রোগীদের সেবা দেওয়া সম্ভব। একটি ক্যাথল্যাব মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী চমেক হাসপাতালে পাঠানো হবে।