ভারত থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে লোকজনকে ঠেলে পাঠানোর (পুশইন) ঘটনায় দেশটির সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করে এক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। 
ভারতের মানবাধিকারকর্মী কিরীটি রায় রোববার এ বিবৃতি দেন। 

এতে বলা হয়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিশেষ করে গুজরাট এবং রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশিদের সঙ্গে আচরণের বিষয়ে আমি গভীর উদ্বেগ। এখানে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ভারতের বাধ্যবাধকতাগুলোর পাশাপাশি ভারতীয় সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা অধিকারগুলিও লঙ্ঘন করে বলে মনে হয়৷

বিবৃতিতে বলা হয়, অবৈধ অভিবাসী হওয়ার অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের শারীরিক নির্যাতন, তাদের পরিবার থেকে জোরপূর্বক বিচ্ছেদ এবং আদালতে হাজির না করেই অবৈধ আটকসহ গুরুতর দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে মুসলিম পুরুষদের বিরুদ্ধে এ ধরনের গভীরভাবে উদ্বেগজনক। 

এতে আরও বলা হয়, গত ৮ মে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ক্রিয়াকলাপের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং ভারতকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াগুলি মেনে চলার আহ্বান জানায়।

এছাড়া বিবৃতিতে অভিবাসন-সম্পর্কিত অভিযোগে আটক সকল ব্যক্তিকে আইন অনুসারে একটি সময়মত আদালতে উপস্থাপন করার আহ্বান জানানো হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প শইন

এছাড়াও পড়ুন:

জাদুঘরে নির্মোহভাবে ভালো-মন্দ সবকিছু তুলে ধরা উচিত: উপদেষ্টা ফারুকী 

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, আমাদের জাদুঘরটা নির্মোহ। এখানে কোনো দলমতের পক্ষ নেই। নির্মোহভাবে আমাদের ভালোমন্দ সবকিছু তুলে ধরা উচিত এবং এটা করাটা আমাদের জন্য খুব জরুরি। 

গতকাল রোববার আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। 

এর আগে সকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। দিবসটি ঘিরে এই আয়োজনে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে ‘ফেয়ার ওয়াটার’ শীর্ষক বিশেষ প্রদর্শনী। 

ফারুকী বলেন, আমি বিশ্বাস করি সবাই যদি কমিটেড হন, তাহলে আমরা যাওয়ার আগে পরিবর্তনের সূচনা করতে পারব। প্রতিটি জাদুঘরের নিজস্ব চরিত্র থাকে। আমাদের জাতীয় জাদুঘরে ‘আমরা কারা’, এ বিষয়টি আমি মনে করি না সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে এখন পর্যন্ত। 

তিনি বলেন, জাদুঘরের সঠিকভাবে কিউরেশন করা প্রয়োজন। এখানে শুধু পেশাদার কিউরেশন করলেই হবে না, এখানে সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরতে হবে। আমি আশা করব, স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমদের নেতৃত্বে বোর্ড যখন একটি সম্পূর্ণ দল পাবে, তখন তারা সঠিক লোকদের নিয়োগ দেবেন, যেন এই কাজগুলো ঠিকঠাক মতো হয়। 

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ সদস্য লুভা নাহিদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আজকের এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রাসঙ্গিক থাকার জন্য জাদুঘরগুলোকে অবশ্যই বিকশিত হতে হবে। সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে প্রযুক্তির বিকাশ এবং মানুষের প্রত্যাশা পরিবর্তিত হওয়ার সঙ্গে জাদুঘরকেও আধুনিক সমাজের চাহিদা পূরণের জন্য খাপ খাইয়ে নিতে হবে। এ জন্য জাদুঘরকে সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া অত্যাবশ্যক। জাদুঘরের ভবিষ্যৎ শুধু অতীত সংরক্ষণের মধ্যেই নয়, বরং একটি উন্নত-জ্ঞাত এবং ঐক্যবদ্ধ সমাজ গঠনের মধ্যেও নিহিত। 

জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. ফরহাদ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ সভাপতি মেরিনা তাবাসসুম। আলোচক ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ সদস্য ড. সৈয়দ মোহম্মদ কামরুল আহছান। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. সাদেকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কিপার আসমা ফেরদৌসি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ