শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে প্রাধান্য দিয়ে উন্নয়ন বাজেট পুনঃপ্রস্তাবের দাবি ইসলামী আন্দোলনের
Published: 19th, May 2025 GMT
আসন্ন বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে প্রাধান্য দিয়ে উন্নয়ন বাজেট পুনঃপ্রস্তাবের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
রোববার এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম এ দাবি জানান। তাঁর পক্ষে দলটির প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ সংবাদমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠিয়েছেন।
বিবৃতিতে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারসহ অতীতের সরকারগুলো শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে অবহেলা করে পরিবহন ও যোগাযোগের মতো খাতগুলোতে উন্নয়ন বাজেটের বড় অংশ ব্যয় করেছে। এর ফলে চকচক রাস্তা ও সেতু দেখা গেলেও জনমিতির সুবিধার (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের) স্বর্ণসময়ে দেশের তারুণ্য সম্পদের বদলে বোঝায় পরিণত হয়েছে এবং স্বাস্থ্য সেবায় মানুষকে নাকাল হতে হয়েছে।
বিবৃতিতে চরমোনাই পীর বলেন, তারুণ্য নির্ভর অভ্যুত্থানের পরে জাতি আশা করেছিল এই সরকার অতীতের সরকারগুলোর পাপমোচন করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে প্রাধান্য দিয়ে বাজেট প্রস্তাব করবে। কিন্তু এই সরকারও অতীত পাপ প্রবাহকে জারি রাখছে।
শিক্ষা খাতে মোট মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ শতাংশ ব্যয় করা প্রয়োজন হলেও বাংলাদেশে উন্নয়ন ও পরিচালনা মিলিয়ে মাত্র ২ শতাংশ খরচ হয় উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, এবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নিয়ে সরকারের চিন্তাও হতাশ করেছে। বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ করতে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই।
সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, বিনিয়োগ আকর্ষণ, শিল্পায়ন এবং অর্থনীতিকে গতিশীল করার জন্য পরিবহন, যোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মানব সম্পদ উন্নয়ন না হলে এবং নাগরিকেরা সুস্থ ও সবল না হলে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও অর্থনীতির মূল লক্ষ্যই ব্যর্থ হবে। একই সঙ্গে বিগত বছরগুলোর মতো আসন্ন বাজেটেও যোগাযোগ ও জ্বালানি খাতকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
ইসলামী আন্দোলন আশা করে, গণশিক্ষা, গণস্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে প্রধান বিবেচ্য করে বাজেট প্রস্তাব করা হবে এবং প্রস্তাবিত বাজেট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে পাশ করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ত ব ল কর ম সরক র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াডের ২০তম আসর শুরু ১১ জুলাই থেকে
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে মেধা যাচাই কর্মসূচি ‘এপেক্স অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াড’–এর ২০তম আসর। স্কুল ও কলেজের ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নিতে পারবে। বাছাই করা ৫ জন শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আফতাব নগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক শামস রহমান এবং এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রায়হান কবির।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মশহুরুল আমিন। তিনি জানান, এবার দুটি গ্রুপে স্কুল-কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে। জুনিয়র গ্রুপে থাকবে ২০১০-২০১১ সালে জন্ম নেওয়া শিক্ষার্থীরা (১৪-১৫ বছর), সিনিয়র গ্রুপে ২০০৭-২০০৯ সালে জন্ম নেওয়া শিক্ষার্থীরা (১৬-১৮ বছর)।
প্রথম রাউন্ডের প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে ১১ থেকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এ রাউন্ড থেকে নির্বাচিত ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে হবে জাতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় রাউন্ড এবং পরে ক্লোজড ক্যাম্প।
ক্লোজড ক্যাম্পের শেষ দিনে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত পাঁচজন শিক্ষার্থী যাবে রাশিয়ায়। তারা আগামী ২০ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় ওপেন ওয়ার্ল্ড অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডে প্রতিযোগিতা করবে। একই সঙ্গে ২৯তম আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াড এবং এশিয়ান-প্যাসিফিক অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডেও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে।
অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন ফি ১০০ টাকা, যা বিকাশ নম্বর ০১৯১৫-৬৫৩৬০৭–এ পাঠাতে হবে।
গত বছরের মতো এবারের আয়োজনেও টাইটেল স্পনসর হিসেবে রয়েছে এপেক্স। আয়োজনটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড, পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, এডিএন টেলিকম, কেদারপুর টি স্টেট ও ওয়াচেস ওয়ার্ল্ড।
সহযোগী গণমাধ্যম হিসেবে থাকছে প্রথম আলো, দুরন্ত টেলিভিশন, চ্যানেল আই, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকা।