ওটিটির দর্শকের সবচেয়ে সহজে আকর্ষণের উপায় বোধ হয় অ্যাকশন থ্রিলার নির্মাণ। না হলে ফি সপ্তাহে এত এত এই ঘরানার সিনেমা-সিরিজের ছড়াছড়ি কেন। এই ঘরানার এত এত সিনেমা হয়েছে যে এখন নির্মাতারা বোধ হয় নতুন গল্প খুঁজে পাচ্ছেন না। গল্প নতুন না হোক, নির্মাণে তো অভিনবত্ব আনা যায়। তবে তাঁদের সে কষ্টও করতে হয় না। কারণ, যা-ই বানান, তা-ই হিট। সমালোচকেরা হয়তো রেটিং কম দেন, কিন্তু সারা দুনিয়ার দর্শক যখন হুমড়ি খেয়ে পড়েছে, তখন সমালোচকদের আর কে পাত্তা দেয়। কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া ফরাসি সিনেমা ‘এড ভিটাম’ ছিল গড়পড়তা মানের কিন্তু সে সিনেমাটিও নেটফ্লিক্সের মুক্তির পর ঝড় তুলেছিল। এবার সেটা হয়েছে জার্মান সিনেমা ‘এক্সটেরিটোরিয়াল’-এর ক্ষেত্রে। গত ৩০ এপ্রিল মুক্তির পর থেকে প্ল্যাটফর্মটির অ-ইংরেজিভাষী সিনেমার তালিকার শীর্ষে রয়েছে সিনেমাটি, ভাঙছে একটার পর একটা রেকর্ড।

একনজরে
সিনেমা: ‘এক্সটেরিটোরিয়াল’
ধরন: অ্যাকশন-থ্রিলার
স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স
পরিচালনা: ক্রিশ্চিয়ান জুবার্ট
অভিনয়ে: জিন গার্সো, লিরা অ্যাবোভা ও ডুগ্রে স্কট
রানটাইম: ১ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট

রেকর্ড আর রেকর্ড
মুক্তির প্রথম দুই সপ্তাহেই সিনেমাটি ঝড় তুলেছে নেটফ্লিক্সের গ্লোবাল চার্টে। প্রথম সপ্তাহে দর্শকসংখ্যা ৩৮.

৩ মিলিয়ন, দ্বিতীয় সপ্তাহে ২৩.৭ মিলিয়ন—মোট ৬২ মিলিয়ন ভিউ নিয়ে ইতিমধ্যে এটি জায়গা করে নিয়েছে নেটফ্লিক্সের সর্বকালের সবচেয়ে বেশি দেখা অ-ইংরেজিভাষী সিনেমার তালিকার ৮ নম্বরে।

গল্প কী নিয়ে
নারীপ্রধান সিনেমা ‘এক্সটেরিটোরিয়াল’ মূলত সন্তানকে ফিরে পেতে এক মায়ের মরিয়া লড়াইয়ের গল্প। সারা উলফ (জিন গার্সো) সাবেক সেনা কর্মকর্তা। অংশ নিয়েছিলেন আফগানিস্তান যুদ্ধেও। সারার স্বামী ছিলেন মার্কিন নাগরিক, আফগানিস্তানে তিনি নিহত হন। কেবল তিনিই নন, ওই টিমের সব সেনাসদস্যই তালেবানের হামলায় মারা যান; কেবল সারাই বেঁচে ফেরেন। একমাত্র শিশুসন্তানকে নিয়ে সারার জীবন। হঠাৎই যুক্তরাষ্ট্রে একটি কাজের প্রস্তাব পান তিনি।

‘এক্সটেরিটোরিয়াল’ সিনেমার দৃশ্য। নেটফ্লিক্স

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সংলগ্ন মিরপুর সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

দুপুরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছেন র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা শক্ত অবস্থানে আছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর দেখা যায়।

পরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এক্সকাভেটর ঢোকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করে।

কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের অন্তত এক সদস্য আহত হন।

আরও পড়ুনএক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ৪ ঘণ্টা আগে

পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের আবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

বিক্ষোভকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা এবং তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুনরায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন৫ ঘণ্টা আগে

বিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি সরে না যাওয়ায়, বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে আসার চেষ্টা করায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’

গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনআড়াই ঘণ্টা ধরে পড়া হলো রায়, এরপর এল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ