বিসিবির প্রস্তাবে সাড়া, লিটনদের সঙ্গে আরও এক ম্যাচ খেলবে আমিরাত
Published: 19th, May 2025 GMT
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে অতিরিক্ত একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ফলে মূল সূচিতে থাকা দুটি ম্যাচের বাইরে আরও একটি বাড়তি ম্যাচ খেলবে দুই দল।
আমিরাতের সিরিজ শেষে পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ। সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক হওয়ায় উভয় সরকার চাচ্ছে ক্রিকেট সফরটি হোক। তাই খেলোয়াড়দের ভিভিআইপি নিরাপত্তা দেওয়া ছাড়াও ম্যাচের সূচি অনুমোদনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বিসিবিকে।
পিসিবি থেকে দুটি সম্ভাব্য সূচি পাওয়া গেছে- কোরবানি ঈদ পালনের সুবিধার্থে প্রথমটি ২৭ মে থেকে ৩ জুন পাঁচটি ম্যাচ খেলার প্রস্তাবনা। ২৭, ২৮ মে ফয়সালাবাদে হবে প্রথম দুই ম্যাচ। ৩১ মে এবং ১ ও ৩ জুন হবে বাকি তিন ম্যাচ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় প্রস্তাবনা হলো ২৭, ২৮ মে ফয়সালাবাদ, ৩১ মে তৃতীয়, ২ ও ৪ জুন চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচ খেলবে লাহোরে।
আট দিনে পাঁচটি ম্যাচ খেললে শরীরের ওপর বেশি চাপ পড়বে বলে মত ক্রিকেটারদের। তবে ভেতরের খবর হলো ঈদের অন্তত তিন দিন আগে দেশে ফিরতে চান খেলোয়াড়রা। সেক্ষেত্রে পিসিবি রাজি হলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ চার ম্যাচে করার প্রস্তাব দিতে পারে বিসিবি। শেষ কথা হলো ইসিবি তৃতীয় টি২০ ম্যাচ খেলতে রাজি কিনা। তারা রাজি না হলে লিটনদের দেশে ফিরে বিরতি দিয়ে যেতে হবে পাকিস্তান। সেটা সফরের ব্যয় বাড়িয়ে দেবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র প রস ত ব আম র ত
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটে নতুন মেরুকরণ, দুই গ্রুপে বিভক্ত শিক্ষার্থীরা
দুই সপ্তাহেও ক্লাসে ফেরেননি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকরা। লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তির দাবিতে আজ সোমবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। এই আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়ে অংশ নেয় শিক্ষার্থীদের একাংশ।
আজ দুপুর ১২টায় কুয়েটের শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপাচার্যের কক্ষে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। কিছু সময় পর তারা প্রশাসনিক ভবনের নিচে আসেন এবং বেলা ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষকদের আন্দোলনস্থলে এসে একাত্মতা প্রকাশ করেন ১৯ ব্যাচের প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থী শাফতি আশারি, জিহাদ, ইউসুফ ও শিহাব বলেন, ‘আর এক মাস একাডেমিক কার্যক্রম চালু থাকলে আমরা পাস করে বেরিয়ে যেতাম। কিন্তু তিন মাস ধরে অচলাবস্থার মধ্যে পড়েছি। আমরা চাই, দ্রুত ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হোক।’
তারা বলেন, ‘যারা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করেছে, তাদের শাস্তি চাই। তদন্ত কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তার ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সঙ্গে আমরা একমত। তবে নিরপরাধ কেউ যেন শাস্তি না পায়।’
অন্যদিকে তিন মাস ধরে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মো. মহিরুজ্জামান উপল, সৈকত ও ঝলক জানান, তারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ও শিক্ষকদের লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তি চান। কিন্তু অপসারিত উপাচার্যের সময়ে করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী নয়। নতুন করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা জানান, আপাতত তাদের কোনো কর্মসূচি নেই।
তারা আরও জানান, বিচার বিভাগীয় তদন্তে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ও শিক্ষকদের লাঞ্ছনাকারী হিসেবে দোষী সাব্যস্তদের পক্ষে কেউ দাঁড়াবে না।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন জানান, লাঞ্ছনাকারী শিক্ষার্থীদের শাস্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস-পরীক্ষা নেবেন না। গত ৪ মে থেকে তারা ক্লাস বর্জন ও গত রোববার থেকে প্রশাসনিক কাজ বর্জন করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচির কথা আগেই উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে জানিয়েছিলাম। তিনি শিক্ষকদের না জানিয়ে ঢাকায় গেছেন। একজন শিক্ষককে উপাচার্যের রুটিন কাজ চালানোর জন্য মৌখিকভাবে বলেছেন। মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে ফিরবেন।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম জানান, আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তারা প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বাইরে গিয়ে প্রশাসন দোষীদের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে। এ কারণে কুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম সংকটের মধ্যে পড়েছে।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক পক্ষ শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। আর যারা বিভিন্ন দাবিতে গত তিন মাস আন্দোলন করেছে, তারা আপাতত চুপচাপ রয়েছে। কিছুটা চাপেও পড়েছে। এখন তারা কী করবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, সংকট নিরসনের জন্য কুয়েট কর্তৃপক্ষ সাধ্যমতো চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের জের ধরে কুয়েটে বন্ধ রয়েছে ক্লাস ও পরীক্ষা। তিন মাস অচলাবস্থা চলায় সেশনজট বেড়েছে। নতুন ব্যাচের ক্লাস এখনও শুরু হয়নি। ফলে বিপাকে পড়েছেন কুয়েটের ৭ হাজার ৫৬৫ জন শিক্ষার্থী।