গাছে অটোরিকশার ধাক্কা, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ও ব্যবসায়ী নিহত
Published: 20th, May 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছে ধাক্কা লেগে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক (৩৮) ও ব্যবসায়ী ওসমান গণি (৫০) নিহত হয়েছেন। তারা অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে উপজেলার করইতলা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় রিজভী ও আকাশ নামে দুইজন আহত হয়।
নিহত রফিক ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ও কমলনগর উপজেলার চরফলকন গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে। অপর নিহত ওসমান একই উপজেলার কাদিরপন্ডিতের হাট এলাকার হাজী নোয়াব আলীর ছেলে ও পেশায় মুরগি ব্যবসায়ী। আহত রিজভী চরফলকন গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে ও আকাশ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন
ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে যানজট নিরসনে মতবিনিময়
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রফিক বাড়ির উদ্দেশে ঢাকা থেকে বাসযোগে এসে লক্ষ্মীপুরের ঝুমুর এলাকায় নামেন। সেখান থেকে অটোরিকশাযোগে তিনিসহ অন্য যাত্রীরা কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট রওয়ানা দেন। পথে অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আহত অবস্থায় রফিকসহ তিনজনকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতাল নিলে রফিককে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপরজন ওসমান গণিও ঢাকা থেকে আসেন। তিনি একই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান।
ওসমানের মৃত্যুর বিষয়টি তার মামাত ভাই মোস্তাফিজুর রহমান টিপু নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওসমান ঢাকায় হার্নিয়া অপারেশন করতে যান। দুর্ঘটনায় তিনি মারা গেছেন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবীর স্বপন জানান, রফিক ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ছিলেন। তিনি বাড়ি যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তিনি হাসপাতালের গিয়ে রফিকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল জানান, সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত রফিক নামে একজনকে হাসপাতাল আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে গিয়ে ধাক্কা লাগে। এতে দুই জন মারা গেছেন। এরমধ্যে একজনের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। দুর্ঘটনা কবলিত অটোরিকশা আটক করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন উপজ ল র ওসম ন ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ভাবিকে হত্যার সাজা খেটে বাড়ি ফিরেছিলেন, এবার ভাতিজিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার
বরগুনার তালতলী উপজেলায় ছয় বছরের এক শিশুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে তার চাচাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ইদুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম নাহিল আক্তার। সে ওই গ্রামের বাসিন্দা দুলাল খানের মেয়ে। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম হাবিব খান (২৭)। তিনি দুলালের ছোট ভাই ও নাহিলের চাচা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে দোকানে বিস্কুট আনতে যাচ্ছিল নাহিল। এ সময় শিশুটিকে পেছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন তার চাচা হাবিব খান। এতে শিশুটির মাথা ও হাত গুরুতর জখম হয়। এ অবস্থায় স্বজনেরা তাকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বরিশালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় নাহিলের মৃত্যু হয়। পুলিশ রাতেই মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ওই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা হাবিবকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এর আগে ২০১৫ সালে বড় ভাই দুলাল খানের প্রথম স্ত্রী তানিয়া বেগমকে হত্যার অভিযোগ ওঠে হাবিবের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় শিশু আইনে তাঁর কারাদণ্ড হয়। গত বছরের প্রথম দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান হাবিব। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দুলালের দ্বিতীয় স্ত্রী ফাহিমা আক্তারের মেয়ে নাহিলকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ সম্পর্কে দুলাল খান বলেন, ‘হাবিব আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছে। ২০১৫ সালে আমার প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করে। তখন ওর বয়স ছিল ১৭ বছর। হাজত খেটে সে বাড়ি ফিরে এসেছে। এর দেড় বছরের মাথায় আমার মেয়েকেও পিটিয়ে হত্যা করল। আমি হাবিবের ফাঁসি চাই।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, শিশুটিকে হত্যার ঘটনায় হাবিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা দুলাল খান বাদী হয়ে হাবিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।