বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলার প্রতিবাদে এবং পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, উপসচিব পদে কোটা বাতিলসহ কয়েকটি দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রশাসন ক্যাডার বাদে সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

‘আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের’ আহ্বানে আজ মঙ্গলবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এই কর্মসূচি পালিত হয়। বিকেল পাঁচটার পর শুরু হয়ে এই কর্মসূচি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত চলে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পরিষদ জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ মের মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা প্রত্যাহার করা না হলে ২৭ ও ২৮ মে অর্ধদিবস কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।

এর আগে পরিষদের পক্ষ থেকে একই দাবিতে গত ২ মার্চ পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। এ ছাড়া দাবি আদায়ে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে এক ঘণ্টার কলমবিরতি ও ২৬ ডিসেম্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখির জন্য ২৫ ক্যাডারের ১২ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টিকে আটকে রাখা হয়েছে। উপরন্তু সম্প্রতি কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অথচ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য করছেন, মন্ত্রণালয়ের ভেতরে মারামারি করছেন, তারপরও তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, পক্ষপাতদুষ্ট জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই একটি ক্যাডারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। জবাবদিহিমূলক জনবান্ধব সিভিল সার্ভিসের দাবিকে অগ্রাহ্য করে একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর স্বার্থে ৫৫ হাজার ক্যাডার কর্মকর্তার দাবিকে উপেক্ষা করা হলে, তা পরিষদ প্রত্যাখ্যান করবে বলে জানায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে মুকুলের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন  

বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলের উপর নেক্কার জনক হামলার নিন্দা জানিয়ে বন্দরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। 
এর ধারাবাহিকতা শুক্রবার (৪ জুলাই) বাদ জুম্মা বন্দরে সোনাকান্দা কিল্লা জামে মসজিদের সামনে ১৯,২০ ও ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে  মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন,“আতাউর রহমান মুকুল ভাই এই এলাকার মানুষের জন্য একজন নিবেদিতপ্রাণ । তিনি দুইবার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বন্দরবাসীর জন্য বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন এবং সকল শ্রেণির মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন।

বক্তারা  আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনামলে যখন বিএনপির নেতাকর্মীরা চরম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তখন মুকুল ভাই ছিলেন সবার ভরসার জায়গা। তিনি কারও পাশে দাঁড়াতে দ্বিধা করেননি, আইনি ও মানবিক সহায়তা দিয়ে বহু মানুষকে রক্ষা করেছেন। একজন অভিজ্ঞ, সাহসী ও সম্মানিত রাজনীতিবিদের ওপর এমন বর্বরোচিত হামলা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত।

বন্দরের ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা গোলাম নবী মুরাদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা আব্দুস সবুর খান সেন্টু, ফখরুল ইসলাম মজনু,  এড: বিল্লাল হোসেন, এড: আনিছ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক শিশু বিষয় সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, সদর থানা বিএনপি নেতা আব্দুর রাশেদ টিটু, ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ফারুক চৌধুরী,২০নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক  সভাপতি আঃ জব্বর পাঠান, ২০ নং ওয়ার্ড সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়া হান্নান, বিএনপির নেতা আরমান, মোঃ শাহিন, অলিদ মুন্সি, মোঃ এসাক আলী, মোঃ আসলাম, শহীদ হোসেন, ইয়া নবী, হাসান মৃধা, ও খোকন মির্জা প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুকুলের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি মানববন্ধন 
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ এলাকাবাসীর
  • দোহারে বিএনপি নেতা শিক্ষক হারুনুর রশিদের খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
  • সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা না থাকলে ভোট বর্জনের হুঁশিয়ারি হিন্দু মহাজোটের
  • চালিতাবুনিয়ায় নদীভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন
  • রূপগঞ্জে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সেচ্ছাসেবীদের মানববন্ধন
  • বন্দরে মুকুলের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন  
  • শহরে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ 
  • গাজীপুরে গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার বিচারের দাবিতে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন 
  • বিল্ডিংয়ের বাড়তি অংশ ভাঙার দাবিতে দক্ষিণখানে মানববন্ধন