সাত দফা দাবিতে বুধবার ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এবার বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

দেশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এসব সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে দুই দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। এবার সাত দফা দিয়েছেন তাঁরা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন–পীড়নের অভিযোগে আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করেছে পবিস। তা ছাড়া এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি ও পবিসকে একত্র করে অন্যান্য বিতরণ সংস্থার মতো পুনর্গঠন করার দাবি জানানো হয়েছে।

পবিসের দাবির মধ্যে আরও আছে মিটার রিডার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিত করা। মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল। হয়রানি ও শাস্তিমূলক আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে চলমান মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে গত ২১ জানুয়ারি ও ২৬ এপ্রিল দুই দফায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা। এ সময় ২৮ হাজার ৩০৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষর জমা দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো তৎপরতা দৃশ্যমান হয়নি।

আরইবি ও সমিতি একীভূত করা এবং সমিতির অনিয়মিত কর্মীদের চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে গত বছরের জানুয়ারি থেকে টানা কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন সময় নানা কর্মসূচি পালন করেছেন পবিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একপর্যায়ে চাকরিচ্যুতি ও আটকের প্রতিবাদে ১৭ অক্টোবর দেশের অন্তত ৩৩টি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।

পরে ওই দিন সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করেন তাঁরা। ওই দিন ২৪ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর সমিতির কর্মকর্তাদের নামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করে আরইবি। এতে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুনআরইবির করা মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবিতে স্মারকলিপি২৪ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ কর চ য ত কর ম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

এক কার্গো এলএনজি ও ব্ল্যাংক স্মার্ট কিনতে ব্যয় হবে ৯৯৩ কোটি টাকা

দেশের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে ১ কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি এবং ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৯৯২ কোটি ৯৬ লাখ ২৬ হাজার ৮৯৯ টাকা।

মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ দুই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

সভা সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করে। সাতটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। সব প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরভিত্তিক মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড এক কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১২.২২৮০ মার্কিন ডলার হিসেবে এক কার্গো (৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ) এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৫৮৬ কোটি ৪৬ লাখ ২৭ হাজার ৫৯ টাকা।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জন্য ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং সার্ভিসেস (আইডইএ) (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ লিমিটেড থেকে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্ল্যাংক কার্ড কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৪০৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৪০ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লোডশেডিংয়ে ‘নাকাল’ গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
  • এক কার্গো এলএনজি ও ব্ল্যাংক স্মার্ট কিনতে ব্যয় হবে ৯৯৩ কোটি টাকা
  • ইবিতে স্থাপিত হবে বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র
  • মসজিদে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা: ভালো হতে চেয়ে হলেন মাদক সম্রাট
  • ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান কো-অপ
  • তাহলে কি অ্যাপলের কারখানা আর চীন থেকে ভারতে যাচ্ছে না
  • ইয়ামাহা এফজেড ২৫ এর সরবরাহ শুরু
  • বস্তায় লবণের দাম বেড়েছে ৩০০ সিন্ডিকেটকে দুষছেন ব্যবসায়ী
  • পাকিস্তানের ‘পরমাণু বোমার জনক’ ড. আবদুল কাদির খান