পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ‘মার্চ টু ঢাকা’ বুধবার
Published: 20th, May 2025 GMT
সাত দফা দাবিতে বুধবার ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এবার বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
দেশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এসব সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে দুই দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। এবার সাত দফা দিয়েছেন তাঁরা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন–পীড়নের অভিযোগে আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করেছে পবিস। তা ছাড়া এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি ও পবিসকে একত্র করে অন্যান্য বিতরণ সংস্থার মতো পুনর্গঠন করার দাবি জানানো হয়েছে।
পবিসের দাবির মধ্যে আরও আছে মিটার রিডার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিত করা। মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল। হয়রানি ও শাস্তিমূলক আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে চলমান মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে গত ২১ জানুয়ারি ও ২৬ এপ্রিল দুই দফায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা। এ সময় ২৮ হাজার ৩০৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষর জমা দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো তৎপরতা দৃশ্যমান হয়নি।
আরইবি ও সমিতি একীভূত করা এবং সমিতির অনিয়মিত কর্মীদের চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে গত বছরের জানুয়ারি থেকে টানা কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন সময় নানা কর্মসূচি পালন করেছেন পবিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একপর্যায়ে চাকরিচ্যুতি ও আটকের প্রতিবাদে ১৭ অক্টোবর দেশের অন্তত ৩৩টি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।
পরে ওই দিন সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করেন তাঁরা। ওই দিন ২৪ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর সমিতির কর্মকর্তাদের নামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করে আরইবি। এতে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুনআরইবির করা মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবিতে স্মারকলিপি২৪ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ কর চ য ত কর ম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানকে মোকাবিলায় দেশীয় ড্রোন তৈরিতে বিপুল প্রণোদনা ভারতের
প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের চীন ও তুরস্কের সহায়তায় নির্মিত কর্মসূচির মোকাবেলায় ভারত বেসামরিক ও সামরিক ড্রোন নির্মাতাদের জন্য ২৩৪ মিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে ভারত। শুক্রবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলায় ইসলামাবাদকে দায়ী করে ৬-৭ মে রাতে নয়াদিল্লি পাকিস্তানে ধারাবাহিক বিমান হামলা চালায়। এ ঘটনায় দুই দেশ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতিতে রাজী হয় ভারত ও পাকিস্তান।
পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই দেশ এরপর থেকে ড্রোন অস্ত্র প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সরকারি এবং একজন শিল্প সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নয়াদিল্লি তিন বছরের জন্য ২৩৪ মিলিয়ন ডলারের একটি কর্মসূচি চালু করবে যা ড্রোন, যন্ত্রাংশ, সফটওয়্যার, কাউন্টার-ড্রোন সিস্টেম এবং পরিষেবা তৈরি করবে। এই কর্মসূচির ব্যয় ২০২১ সালে নয়াদিল্লির চালু করা ১২০ কোটি রুপির ড্রোন উৎপাদন-সংযুক্ত প্রণোদনা প্রকল্পের চেয়ে বেশি।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় এই প্রণোদনা কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছে। এ ব্যাপারে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য ই-মেইলের জবাব দেয়নি।
রয়টার্স এর আগে জানিয়েছিল, ভারত স্থানীয় শিল্পে ব্যাপক বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে এবং আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে মনুষ্যবিহীন বিমানবাহী যানবাহনে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে পারে।
অতীতে ভারত মূলত তার তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী ইসরায়েলের কাছ থেকে সামরিক ড্রোন আমদানি করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের নতুন ড্রোন শিল্প সামরিক বাহিনীর জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের ড্রোন সরবরাহের প্রস্তাব বাড়িয়েছে। তবে মোটর, সেন্সর এবং ইমেজিং সিস্টেমের মতো কিছু উপাদানের জন্য চীনের উপর নির্ভরতা অব্যাহত রয়েছে ভারতের। এই প্রণোদনার মাধ্যমে ভারত ২০২৮ অর্থবছরের (এপ্রিল-মার্চ) শেষ নাগাদ (এপ্রিল-মার্চ) ড্রোনের অন্তত ৪০ শতাংশ মূল যন্ত্রাংশ দেশে তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং গত সপ্তাহে বলেছিলেন, “(ভারত-পাকিস্তান) সংঘাতের সময় উভয় পক্ষই ড্রোন, যুদ্ধাস্ত্র এবং কামিকাজ ড্রোনের প্রচুর ব্যবহার ছিল। আমরা যে শিক্ষা পেয়েছি তা হল, একটি বৃহৎ, কার্যকর, সামরিক ড্রোন উৎপাদন বাস্তুতন্ত্র তৈরি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের দেশীয়করণ প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে হবে।”
ঢাকা/শাহেদ