তালেবানকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে দেওয়া তকমা পর্যালোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র
Published: 22nd, May 2025 GMT
আফগানিস্তানের শাসক তালেবানকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে যাওয়া হবে কি না, যুক্তরাষ্ট্র তা পর্যালোচনা করছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ কথা জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির এক শুনানিতে রুবিও বলেন, ‘আমি মনে করি, এই শ্রেণিবিন্যাস (তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেওয়া) এখন আরও একবার পর্যালোচনার আওতায় রয়েছে।’
রুবিও এ মন্তব্য এমন একসময় করলেন, যখন এক দিন আগেই মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশৃঙ্খল সেনা প্রত্যাহার নিয়ে এক ‘নিবিড় পর্যালোচনা’ করার নির্দেশ দেন। ওই আগস্টে দেশত্যাগে ইচ্ছুক আফগানদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর সময় কাবুল বিমানবন্দরে আইএসআইএল (আইএসআইএস)-এর বোমা হামলায় ১৩ মার্কিন সেনা ও ১৫০ জন আফগান নিহত হন।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাতারের দোহায় তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন ট্রাম্প। এটির লক্ষ্য ছিল, আফগানিস্তানে ১৮ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটানো। পরে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় চার হাজার সৈন্য প্রত্যাহারের মাধ্যমে যুদ্ধ অবসানের কাজটি শুরু হয়।গত মঙ্গলবার এক স্মারকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ বলেন, ওই বিশৃঙ্খল সেনা প্রত্যাহার বিষয়ে তিন মাস ধরে মূল্যায়নের কাজ চালানোর পর এ ঘটনার জবাবদিহি নিশ্চিত করতে একটি বিস্তৃত পর্যালোচনার প্রয়োজন।
‘এটি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এবং সামরিক পোশাক পরা ব্যক্তিদের আস্থা ও বিশ্বাস পুনরুদ্ধারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এ সিদ্ধান্ত সঠিক ও যুক্তিযুক্ত। কারণ, ওই প্রত্যাহার অভিযানে অনেকে নিহত হয়েছেন ও অনেক সরঞ্জাম খোয়া গেছে’, স্মারকে লেখেন হেগসেথ।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল। তারা ওই বিশৃঙ্খল সেনা প্রত্যাহার কার্যক্রমের জন্য পরিকল্পনার ঘাটতি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে সৈন্যসংখ্যা হ্রাসকে দায়ী করে। তালেবানের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের করা এক চুক্তির ভিত্তিতে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজটি ত্বরান্বিত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাতারের দোহায় তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন ট্রাম্প। এটির লক্ষ্য ছিল, আফগানিস্তানে ১৮ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটানো। পরে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় চার হাজার সৈন্য প্রত্যাহারের মাধ্যমে যুদ্ধের অবসানের কাজটি শুরু হয়।
প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির শুনানিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ক্যাপিটল হিল, ওয়াশিংটন, ২১ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন পরর ষ ট কর ছ ল মন ত র অবস ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইশরাককে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি দুপুরে
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি কার্যতালিকায় রয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য রয়েছে।
ইশরাক হোসেনের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
আরো পড়ুন:
যারা একটি দলের প্রতিনিধির কাজ করেছে, তাদের পদত্যাগ করতে হবে: ইশরাক
অবৈধ নির্বাচনের মেয়র হতে চাইলে সেটা কি বৈধ হয়, প্রশ্ন সারজিসের
এদিকে, আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করবেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।
সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক হোসেন।
গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম।
আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ রায় পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। সেই সঙ্গে রিটে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
রিটে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। বুধবার (১৪ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদের পক্ষে আইনজীবী কাজী আকবর আলী।
এদিকে, বিএনপির প্রয়াত নেতা ও অখণ্ড ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র হিসেবে পেতে গত কয়েকদিন ধরে নগর ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছেন তার সমর্থকরা।
ঢাকা/এম/ইভা