বিপদটা আসলে বাংলাদেশই বাড়াল। দুই ম্যাচের সিরিজটা থাকলেই ভালো হতো। দ্বিতীয় ম্যাচের হারটাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া যেত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে এখন টানা দুই হারের পর এমন কিছু বলার সুযোগও নেই। কেন যে বিসিবি থেকে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বাড়ানোর অনুরোধ করা হলো! এক অনুরোধের খেসারতে এখন মানসম্মান নিয়ে টানাটানি।

আরও পড়ুননিজেদের ফাঁদে পড়েই বাংলাদেশের সিরিজ হার১ ঘণ্টা আগে

আরব-আমিরাতের অবশ্য সম্মান অনেক বেড়ে গেছে। টেস্ট খেলুড়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় বলে কথা। এর চেয়ে বড় বিষয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় দিয়ে আমিরাত একটি তেতো স্বাদ হয়তো ভুলতে পারবে। দলটি যে গত ডিসেম্বরেই সৌদি আরবের কাছে হেরে গিয়েছিল!

গালফ টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের একটি ম্যাচে সৌদির দেওয়া ১৮২ রান তাড়া করতে পারেনি আমিরাত। এই ওয়াসিমরাই তখন খেলেছেন। সেই আমিরাত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ম্যাচে ২০০ রানের বেশি তাড়া করে জিতল। যুক্তিবিদ্যার সূত্র তো বলছে, সৌদি আরবও এখন বাংলাদেশের চেয়ে ভালো দল। এই যুক্তি দিয়ে অবশ্য বাংলাদেশকেও দুনিয়ার সেরা দল বানানো যায়।

আরব আমিরাতের বিপক্ষে গত ডিসেম্বরে জিতেছে সৌদি আরব.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম র ত

এছাড়াও পড়ুন:

মুদি দোকানে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল সাড়ে ১৩ লাখ টাকা!

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মো. আব্দুল হাকিম নামে এক মুদি দোকানির এক মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। গতকাল রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতায় থাকা তাড়াশ জোনাল অফিস থেকে পাঠানো বিলের কাগজ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

ভুক্তভোগী মুদি দোকানি আব্দুল হামিদ উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম খাসপাড়া গ্রামের মো. নজিবর রহমানের ছেলে। তিনি কৃষি কাজের পাশাপাশি গ্রামের বাজারে মুদি দোকান পরিচালনা করেন। 

আব্দুল হাকিম জানান, রোববার দুপুরে তাড়াশ জোনাল অফিস থেকে মে মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেওয়া হয়। বিল হাতে পেয়ে দেখতে পান, তার নামে মুদি দোকানের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। অথচ এত দিনে মাসে ৩০০-৩৫০ টাকার বেশি বিল কখনও আসেনি।

তিনি আরও বলেন, ‘ছোট দোকানে এত বড় অংকের বিদ্যুৎ বিল দেখে প্রথমে আমি বিস্মিত হই। পাশাপাশি ভয়ও পাই। পরে আমি তাড়াশ জোনাল অফিসে ফোন করি এবং অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে জানতে চাই। এ সময় তাড়াশ জোনাল অফিসে লোকজন আমাকে অফিসে যেতে বলেন।’

এ দিকে বিদ্যুৎ বিলের কপিটি দোকানি হামিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেন, যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়। নেটিজনরা নানা মন্তব্য করতে থাকেন। যা তাড়াশ জোনাল অফিসের নজরে আসে। পরে সন্ধ্যায় জোনাল অফিস থেকে বিলের কপি সংশোধন করা হয়।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মো. শামসুজ্জামান বলেন, মুদি দোকানি আব্দুল হাকিমকে দেওয়া বিলের কপিটিতে ‘প্রিন্ট মিসটেক’ হয়েছে। আমরা জানার পরপরই বিলটি সংশোধন করে দিয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ