সৌদি আরব যেভাবে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো দল
Published: 22nd, May 2025 GMT
বিপদটা আসলে বাংলাদেশই বাড়াল। দুই ম্যাচের সিরিজটা থাকলেই ভালো হতো। দ্বিতীয় ম্যাচের হারটাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া যেত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে এখন টানা দুই হারের পর এমন কিছু বলার সুযোগও নেই। কেন যে বিসিবি থেকে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বাড়ানোর অনুরোধ করা হলো! এক অনুরোধের খেসারতে এখন মানসম্মান নিয়ে টানাটানি।
আরও পড়ুননিজেদের ফাঁদে পড়েই বাংলাদেশের সিরিজ হার১ ঘণ্টা আগেআরব-আমিরাতের অবশ্য সম্মান অনেক বেড়ে গেছে। টেস্ট খেলুড়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় বলে কথা। এর চেয়ে বড় বিষয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় দিয়ে আমিরাত একটি তেতো স্বাদ হয়তো ভুলতে পারবে। দলটি যে গত ডিসেম্বরেই সৌদি আরবের কাছে হেরে গিয়েছিল!
গালফ টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের একটি ম্যাচে সৌদির দেওয়া ১৮২ রান তাড়া করতে পারেনি আমিরাত। এই ওয়াসিমরাই তখন খেলেছেন। সেই আমিরাত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ম্যাচে ২০০ রানের বেশি তাড়া করে জিতল। যুক্তিবিদ্যার সূত্র তো বলছে, সৌদি আরবও এখন বাংলাদেশের চেয়ে ভালো দল। এই যুক্তি দিয়ে অবশ্য বাংলাদেশকেও দুনিয়ার সেরা দল বানানো যায়।
আরব আমিরাতের বিপক্ষে গত ডিসেম্বরে জিতেছে সৌদি আরব.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম র ত
এছাড়াও পড়ুন:
শতবর্ষী করচের জলাবনে যেতে যেতে কত কী চোখে পড়ে
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাদিপুর গ্রামে সকালটা অন্য রকমভাবে আসে। এটি কাউয়াদিঘি হাওরপারের একটি গ্রাম। ওই গ্রামের পথ ধরে এগিয়ে গেলে সামনে পড়ে অন্তেহরি, এটি রাজনগর উপজেলার আরেকটি গ্রাম। অন্তেহরিও কাউয়াদিঘি হাওরের কোল ঘেঁষে শত বছর ধরে প্রাণ-প্রকৃতির অংশ হয়ে গেছে। বর্ষায় হাওরের উত্তাল ঢেউ সামলে এই গ্রামে মানুষের বাস। যত দূর চোখ যায় অবারিত রুপালি জলের ভাঁজ করা শীতলপাটি।
শীতে আরেক প্রকৃতি। দিগন্তজুড়ে শুধু বিস্তীর্ণ সবুজ। উড়ে যায় পরিযায়ী পাখির ঝাঁক। এই অন্তেহরি গ্রামকে ছুঁয়ে শত বছরের পুরোনো করচগাছে নীরবে-নিভৃতে তৈরি হয়েছে এক টুকরা ‘জলাবন’। ওখানে জলে শরীর ডুবিয়ে পুরো বর্ষাটাই পার করে এই গাছেরা।
মৌলভীবাজার শহরতলির মৌলভীবাজার-কুলাউড়া সড়কের চাঁদনীঘাট থেকে উত্তর দিকে একাটুনা-জগৎপুর হয়ে অন্তেহরির দিকে গেছে একটি পাকা সড়ক। অন্তেহরির ওই জলাবনের দিকে ‘যেতে যেতে পথে’ কাদিপুরে তখন মৌসুমি মাছের হাট জমে গেছে। এখানে হাটের মানুষ, ঘাটের মানুষ খুব বেশি না হলেও একরকমের প্রাণ আছে। কেউ রাতে কাউয়াদিঘি হাওর থেকে ধরা মাছ নিয়ে এখানে এসেছেন। কেউ এসেছেন পাইকারি দরে মাছ কিনে শহরে নিয়ে যেতে, কেউ গ্রামে গ্রামে ফেরি দিয়ে ওই মাছ বিক্রি করবেন। কিছু ক্রেতাও আছেন, যাঁরা হাওরের টাটকা মাছ কিনতে এখানে ছুটে এসেছেন।
একটা স্বল্পস্থায়ী হাট জমে কাদিপুরের ওই স্থানে। কারও ডোলায় চিংড়ি মাছ, কারও ডোলায় পুঁটি–টেংরাসহ বারো জাতের মাছ। কারও ডোলায় শিং-মাগুর, চ্যাং, কৈ, ভেদা, নানা রকম গুঁড়া মাছ।
ডোলায়–পাত্রে রাখা হাওরের নানা জাতের মাছ। মৌলভীবাজারের কাউয়াদিঘি হাওরপারের কাদিপুরে