নায়ক বেকার। চাকরির অভাবে বিয়ে করতে পারছে না। একটা চাকরি যা–ও মেলে, দুর্নীতির কারণে বাদ পড়ে। এমন গল্প নিয়ে ঢাকাই সিনেমার অভাব নেই। নারীর প্রতি সহিংসতাও উঠে এসেছে নানাভাবে। কিন্তু এবারের ঈদের সিনেমায় নির্মাতারা সমসাময়িক রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা তুলে এনেছেন বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। বিনোদনের মোড়কে বার্তা দিতে চেয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুনশাকিবের ‘তাণ্ডব’-এ কী আছে, কী নেই১১ জুন ২০২৫

শুরু করা যাক ‘তাণ্ডব’ দিয়ে। এ সিনেমায় রায়হান রাফী মূলত রাষ্ট্রীয় মদদে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম নিয়ে কড়া বার্তা দিতে চেয়েছেন। পুরো সিনেমায় উঠে এসেছে সাদাপোশাকে সাধারণ মানুষকে তুলে নিয়ে যাওয়া, আটক না দেখিয়েই রাষ্ট্রীয় বাহিনীর খুন, দুর্নীতিসহ নানা প্রসঙ্গ। সরাসরি নাম প্রকাশ না করেও নির্মাতা তুলে ধরেছেন আয়নাঘরের ভয়াবহতা, সিনেমায় যেটির নাম আয়রন সেল।

সিনেমার বেশ কয়েকটি প্রধান চরিত্রের কথা বলা, লুক, মেকআপের সঙ্গে গত সরকারের অনেক মন্ত্রীর ছায়া পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে বলা যায় এটি সাম্প্রতিক সময়ে নির্মিত সবচেয়ে রাজনৈতিক সিনেমা। ‘তাণ্ডব’-এও আছে বেকারত্ব, দুর্নীতি প্রসঙ্গ।

‘তাণ্ডব’ সিনেমার দৃশ্যে শাকিব খান।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

উইম্বলডনে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন: কোয়ার্টার ফাইনালে আলকারেজ

উইম্বলডনের ঘাসের কোর্ট যেন হয়ে উঠেছিল এক রোমাঞ্চকর নাটকের মঞ্চ। স্পেনের তরুণ তারকা কার্লোস আলকারেজ প্রথম সেট হারার পরও যেন নিজের টেনিস মন্ত্রে জয় ছিনিয়ে আনলেন। রাশিয়ার ১৪তম বাছাই আন্দ্রেই রুবলেভের বিপক্ষে শুরুটা ছিল ধাক্কামূলক। টাইব্রেকারে ৬-৭ (৫-৭) সেটে পিছিয়ে পড়ে সবাই যখন ভাবছিলেন হয়তো এবারের পথ এখানেই থেমে যাবে, তখনই পাল্টে যায় দৃশ্যপট।

পরবর্তী তিনটি সেটে সাহস, আত্মবিশ্বাস আর অসাধারণ কৌশলে তিনি ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন ৬-৩, ৬-৪, ৬-৪ গেমে। এক কথায় বলা যায়, চাপের মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রেখে পরিণত টেনিস উপহার দিয়েছেন এই স্প্যানিয়ার্ড।

শেষ আটে আলকারেজের প্রতিপক্ষ ব্রিটিশ তারকা ক্যামেরন নরি। সামনে অপেক্ষা করছে আরও একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ, তবে তার সাম্প্রতিক ফর্ম বলছে— এই তরুণ তারকা থামতে আসেননি। 

আরো পড়ুন:

ফ্রেঞ্চ ওপেনের নতুন রাণী গফ

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা অক্ষুন্ন রাখলেন সিনার

ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষের প্রশংসা করে আলকারেজ বলেন, “রুবলেভের বিরুদ্ধে আমাকে পুরো ম্যাচে সম্পূর্ণ মনোযোগী থাকতে হয়েছে। প্রতিটি পয়েন্টেই কিছু না কিছু শিখেছি।”  

পাঁচবারের গ্র্যান্ডস্লাম জয়ীর কথায় স্পষ্ট, আত্মবিশ্বাসই তার সবচেয়ে বড় অস্ত্র, “একটা বল বদলে দিতে পারে পুরো ম্যাচের গতিপথ। আমি শুধু জানতাম, নিজের সেরাটা দিলে জয় সম্ভব।”

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ