কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে নদীতে ডুবে নিখোঁজ পার্বতী রানী বিশ্বাসের (৫০) মরদেহ ৪৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার উপজেলার বেতেগা গ্রামের পাশে ধনু নদীতে পা পিছলে নিখোঁজ হন তিনি। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নম পাড়া এলাকায় তার মরদেহ ভেসে উঠে। 

জানা যায়, পার্বতী রানী বেতেগা গ্রামের রমাকান্ত বিশ্বাসের স্ত্রী। মঙ্গলবার দুপুরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সময় তিনি থালা-বাসন পরিষ্কার করতে বাড়ির পাশে ধনু নদীতে যান। দীর্ঘ সময় বাড়িতে না ফেরায় তার স্বামী রমাকান্ত বিশ্বাস নদীর তীরে গিয়ে দেখেন থালা বাসন পড়ে রয়েছে।

পরে স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করলেও পার্বতীর সন্ধান মেলেনি।

ইটনা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মুশফিকুর রহিম জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যাই, রাত হয়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড স্রোতে উদ্ধার কাজ বন্ধ করে দেওয়া। বুধবার দিন ভর খোঁজাখুঁজি করেও নিখোঁজ নারীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নদীতে মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বলে জানায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ