দেশের ৪ জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ অন্তত ৮৫ জন জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, মৌলভীবাজার ও ফেনী জেলায় এসব ঘটনা ঘটে। পরে এই ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে আটক করেছে বিজিবি।

বিজিবি জানিয়েছে, ঠেলে পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। আর প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের অধিকাংশই আগে থেকেই ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন কাজ করছিলেন। তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

পঞ্চগড়

পঞ্চগড় সদর উপজেলার জয়ধরভাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে আজ ভোরে নারী, শিশুসহ ২১ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন শিশু-কিশোর, ৬ জন নারী ও ১ জন তরুণ।

আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ বদরুদ্দোজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি জানান, গতকাল বিকেলে ভারতের গুজরাট এলাকা থেকে ওই ২১ জনকে আটক করে দেশটির পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা ভারতে ছিলেন এবং প্রাপ্তবয়স্করা সেখানে বিভিন্ন কাজ করতেন। গতকাল প্রথমে তাঁদের উড়োজাহাজ ও পরে বাসে করে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিএসএফের সদস্যরা তাঁদের সীমান্তে নিয়ে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে পাঠান।

গতকাল রাতে পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো হয় ২০ জনকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে পুশইন

পঞ্চগড়ে পৃথক দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন উপজেলা সদরের চাকলাহাট ইউনিয়নের খুনিয়াপাড়া ও অমরখানা ইউনিয়নের অমরখানা সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশ ইন করা হয়।

বিজিবি জানায়, সকালে খুনিয়াপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৬৪-এর ১৯ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে ১০ জনকে পুশইন করে ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কৈলাশ বিওপির সদস্যরা। পরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবির শিংরোড বিওপি সদস্যরা তাদের আটক করেন। আটকদের মধ্যে চারজন জন পুরুষ, তিনজন মহিলা ও তিনজন শিশু রয়েছে।

একই রাতে অমরখানা সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪৩-এর ৩ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে নারী, শিশুসহ ৫ জনকে পুশইন করে ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বালাচান ক্যাম্পের সদস্যরা। সকালে অমরখানা বিওপি সদস্যরা স্থানীয় বোর্ড বাজার এলাকায় তাদের আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান বিজিবি সদস্যরা। এদের মধ্যে দুই নারী, একজন পুরুষ ও দুইজন শিশু রয়েছে। আটকদের সদর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। 

আটককৃতরা খুলনা, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। তাদের মধ্যে খুনিয়াপাড়া সীমান্তে আটক ১০ জনকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অমরখানা সীমান্তের আটক ৫ জনকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় বিজিবি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান, বিজিপি পক্ষ থেকে সীমান্তে পুশইন হওয়া ১০ জনকে আমাদের কাছে হস্তান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন পুরুষ, তিনজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের নিরাপদ আশ্রয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা প্রকৃত বাংলাদেশী নাগরিক কিনা, এ বিষয়ে যাচাই বাছাই সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে গত দুই মাসে সাত দফায় নারী, শিশুসহ ১০১ জনকে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে জোর করে বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘সীমান্তে দাদাদের বাহাদুরির দিন শেষ’
  • ৩ দিন পর অর্ধগলিত লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
  • ৯৩ শিশু সেনাকে অব্যাহতি জান্তার
  • বাংলাদেশির লাশ ৩ মাস পর ফেরতদিল বিএসএফ
  • পীরগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন
  • পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ 
  • তিন মাস পর বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
  • আরও দুই সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৫ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে পুশইন