ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৬ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ শনিবার উপজেলার বৈরচুনা সীমান্তের ৩৩৫/৩ এস পিলার এলাকা দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে পুশইন করেন ভারতের পুরানগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা।
পুশইনকৃতদের সীমান্তে আটক করে বৈরচুনা বিওপি’র বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তারা হলেন- নড়াইল জেলার কালিয়া থানার সাতবাড়িয়া গ্রামের সিদ্দিক মোল্লার ছেলে ইকরাম মোল্লা (৩১) ও তার মেয়ে কোহিনুর বেগম (৩০) এবং একই থানার কালডাঙ্গা গ্রামের হাবিবুরের ছেলে সজীব (৩২), সজীবের স্ত্রী খাদিজা খাতুন (৩০), মেয়ে সাদিয়া (১৪) ও ছেলে ইয়ানুর ইসলাম (৮)।
বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটককৃতরা দীর্ঘ দিন ধরে ভারতে অবস্থান করছিল। গত ২৩ জুন ভারতের বেলাপুর থানা পুলিশ তাদের আটক করে। তাদের বিমানযোগে শিলিগুড়ি বিমানবন্দরে আনা হয় ৪ জুলাই। পরে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে। আটককৃতদের পীরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে জানায় বিজিবি।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম সমকালকে জানান, এখন পর্যন্ত আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করা হয়নি। হস্তান্তর করা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঠ ক রগ ও প রগঞ জ প শইন ব এসএফ প রগঞ জ প শইন
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী
অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প
বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।
বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ