পিঠের ইনজুরির কারণে পাকিস্তান সফরের দল থেকে ছিটকে গেলেন বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। তার পরিবর্তে দলে নেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে।

সৌম্য ডান পাশের নিচের অংশে ব্যথা অনুভব করছিলেন গত এক সপ্তাহ ধরে। জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, চিকিৎসা পর্যালোচনার পর দেখা গেছে চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে সৌম্যের অন্তত ১০ থেকে ১২ দিনের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার প্রয়োজন। ফলে আসন্ন তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে পাওয়া যাবে না নিশ্চিতভাবেই।

সৌম্যের জায়গায় জাতীয় দলে যুক্ত হয়েছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। পিএসএল খেলতে মিরাজ এখন পাকিস্তানেই অবস্থান করছেন। আজ খেলবেন লাহোর কালান্দার্সের হয়ে। পিএসএল শেষ হলেই তিনি যোগ দেবেন লাহোরে অবস্থানরত বাংলাদেশ দলের সঙ্গে।

আরো পড়ুন:

নাহিদ রানা ‘ট্রমাটাইজড’, যাচ্ছেন না পাকিস্তানে

পাকিস্তানে পাঁচ দিনে বাংলাদেশের তিন টি-টোয়েন্টি

মিরাজ এর আগে বাংলাদেশ দলের হয়ে ২৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তার অভিজ্ঞতা ও সাম্প্রতিক ফর্মের ওপর ভরসা রেখেই তাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড:
লিটন দাস (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব ও শরিফুল ইসলাম।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ