কক্সটুডে ও ডিমোরের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
Published: 7th, July 2025 GMT
দেশের পর্যটন খাতের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড কক্সটুডে ও এর চেইন প্রতিষ্ঠান ডি’মোরের যৌথ বিক্রয় ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) কক্সবাজারের ‘হোটেল দ্য কক্সটুডে’-তে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৈউম চৌধুরী। এছাড়া ডি’মোর ও কক্সটুডের পরিচালক (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) ও পর্যটন বিশেষজ্ঞ মহিউদ্দিন খান খোকন উপস্থিত থেকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
সভায় মহিউদ্দিন খান খোকন বলেন, “আমরাই দেশে প্রথমবারের মতো পর্যটন নগরীগুলোতে তিন তারকা ও পাঁচ তারকা মানের চেইন হোটেল চালু করেছি। ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য আমাদের প্রতিটি হোটেলেই মানসম্মত সেবা ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।”
তিনি আরো জানান, ডি’মোর মূলত কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী পাঁচ তারকা হোটেল ‘দ্য কক্সটুডে’র অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। কুয়াকাটা, বান্দরবান, সাজেক, শ্রীমঙ্গল ও চট্টগ্রামে এর তিন তারকা হোটেল চালু হয়েছে। বর্তমানে এসব হোটেলে রয়েছে বিশেষ মূল্যছাড় ও অগ্রিম রুম বুকিংয়ের সুবিধা।
হোটেলের সেবাসমূহের মধ্যে রয়েছে ওয়েলকাম ড্রিংক, বুফে ব্রেকফাস্ট, এসি ও গিজার সুবিধা, ইনরুম মিনারেল ওয়াটার, কফি-চা, আনলিমিটেড ওয়াই-ফাই, সুইমিং পুল, জাকুজি, বাগান, পুলসাইড লাইভ মিউজিক, বারবিকিউ, মানসম্মত খাবার, ২৪ ঘণ্টা রুম সার্ভিস, নিরাপত্তাকর্মী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, রেস্টুরেন্ট ও পার্কিং সুবিধা।
তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিটি ইউনিট করপোরেট ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়। প্রশিক্ষিত ও আন্তরিক কর্মীদের মাধ্যমে আমরা অতিথিদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সভায় বক্তারা বলেন, কক্সবাজারকে দেশের পর্যটন রাজধানী এবং কুয়াকাটাকে সাগরকন্যা বলা হয়ে থাকে। দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে কক্সটুডে ও ডি’মোর দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
ঢাকা/ ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাইকোর্ট বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থানান্তর না করতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন
হাইকোর্টের বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের উদ্যোগ না নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
প্রধান বিচারপতির কাছে লেখা আবেদনটি আজ সোমবার হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের (বিচার) কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী আইনজীবী সাইফুল ইসলাম।
সম্প্রতি হাইকোর্ট ডিভিশনের বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থানান্তরের সম্ভাবনার কথা আলোচনায় এসেছে বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম। তিনি আবেদনে লিখেছেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন। তাই তিনি এ বিষয়ে তাঁর মতামত ও আপত্তি সদয় বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করছেন।
আবেদনে এই আইনজীবী তাঁর পাঁচটি যুক্তি উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মূল আসন রাজধানী ঢাকায় থাকবে। হাইকোর্ট ডিভিশনের সেশন অন্যত্র বসানো গেলেও সেটি অস্থায়ী। এর স্থায়ী স্থানান্তর সাংবিধানিক চেতনার পরিপন্থী।
আইনজীবীর দ্বিতীয় যুক্তি হলো, বিভিন্ন বিভাগে আলাদা বেঞ্চ স্থাপন করা হলে একমুখী আইনপ্রয়োগে ভিন্নতা ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। এটি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এককতা ও নীতিনির্ধারণের ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
তৃতীয় যুক্তিতে বলা হয়, বিভাগীয় শহরে বিচারপতি, স্টাফ, অবকাঠামো ও নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা অত্যন্ত ব্যয়সাধ্য ও জটিল। এতে রাষ্ট্রের অর্থ, সময় ও দক্ষতার অপচয় হবে।
চতুর্থ যুক্তিতে বলা হয়, স্থানীয় প্রভাব, সামাজিক চাপ ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বিচারকার্যে প্রভাব ফেলতে পারে। এটি হাইকোর্টের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস করতে পারে।
পঞ্চম যুক্তিতে আইনজীবী বলেছেন, ঢাকায় হাইকোর্টের মামলার সংখ্যা অনেক বেশি। বিচারপতিদের বিভাগে পাঠানো হলে ঢাকায় বিচারিক জট আরও বেড়ে যাবে।
আবেদনের শেষ অংশে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, উল্লিখিত যুক্তির আলোকে হাইকোর্ট ডিভিশনের বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার জন্য তিনি বিনীতভাবে অনুরোধ করছেন।