চুক্তি শেষ হওয়ায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ছেড়েছে সাইফ পাওয়ারটেক। সোমবার (৭ জুলাই) থেকে এনটিসি পরিচালনা করবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড। গতকাল রবিবার (৬ জুলাই) এনসিটি থেকে সাইফ পাওয়ারটেক তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, সাইফ পাওয়ারটেক-এর সঙ্গে বন্দরের এনসিটি পরিচালনার চুক্তি রবিবার (৬ জুলাই) শেষ হয়েছে। এই চুক্তি নবায়ন হয়নি। 

আরো পড়ুন: রবিবার থেকে নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনা করবে নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান ড্রাইডক

আরো পড়ুন:

হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ 

আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

তিনি বলেন, “বন্দরের এনসিটি পরিচালনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন ড্রাইডকের সঙ্গে পরিচালনা-চুক্তি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় ইতোমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে। শুরুতে বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজে টার্মিনাল পরিচালনার পরিকল্পনা করলেও সরকারের পক্ষ থেকে নৌবাহিনীকে দায়িত্ব দিতে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। আইনি জটিলতার কারণে সরাসরি নৌবাহিনীকে না দিয়ে তাদের অধীনস্থ ড্রাইডককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ড্রাইডক আজ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিটি পরিচালনায় দায়িত্ব গ্রহণ করবে।”

এ প্রসঙ্গে সাইফ পাওয়ারটেক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো.

রুহুল আমিন বলেছেন, “আজ ৭ জুলাই নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে ড্রাইডক কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে।”

এনসিটি চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় টার্মিনাল। টার্মিনালটিতে পাঁচটি জেটি রয়েছে। এতে চারটি সমুদ্রগ্রামী জাহাজ এবং একটি অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী জাহাজ বার্থিং করতে পারে। ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৭ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করে। যার মধ্যে ১২ লাখ ৮১ হাজার টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে এনসিটিতে। যা বন্দরের মোট কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ৪৪ শতাংশ।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর চ ল ট ইন র এনস ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের অনুমতি না পাওয়ায় ভুটানের ট্রানশিপমেন্ট পণ্য বুড়িমারীতে আটকে

বাংলাদেশের সড়কপথ ব্যবহার করে ভারতের ভেতর দিয়ে ভুটানকে ট্রানশিপমেন্টের পণ্য নেওয়ার অনুমোদন দেয়নি প্রতিবেশী ভারত। ফলে থাইল্যান্ড থেকে জাহাজে করে ভুটানের আনা পরীক্ষামূলক ট্রানশিপমেন্টের পণ্যের চালান এখন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে আটকে আছে।

জানা গেছে, থাইল্যান্ডের ব্যাংককের আবিত ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড ৮ সেপ্টেম্বর ভুটানের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আবিত ট্রেডিংয়ের জন্য ছয় ধরনের পণ্য ফলের জুস, জেলি, শুকনা ফল, লিচু ফ্লেভারের ক্যান্ডি ও শ্যাম্পু কনটেইনারে করে পাঠায়। থাইল্যান্ডের ল্যাম চ্যাবাং বন্দর থেকে পাঠানো ওই চালান ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে এসে পৌঁছায়। এরপর বুড়িমারীর স্থলবন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনারটি আনা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে সড়কপথে ভারত হয়ে ভুটানে এসব ট্রানশিপমেন্টের পণ্য যেতে প্রয়োজনীয় অনুমোদন চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ পায়নি। ফলে সেখানেই পড়ে আছে ভুটানের ট্রানশিপমেন্টের পণ্য।

বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও বেনকো লিমিটেডের মালিক ফারুক হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে আসা ভুটানের পরীক্ষামূলক ট্রানশিপমেন্ট চালান বুড়িমারীতে রয়েছে। ভারত এখনো অনুমতি দেয়নি, তাই চালানটি পাঠানো যাচ্ছে না। অনুমতি মিললেই পাঠানো হবে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘গতকাল থেকে ট্রানশিপমেন্ট কনটেইনারটি বন্দরের মাঠে অবস্থান করছে।’ বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভুটানের পণ্যের চালানের সব কাস্টমস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ভারতীয় কাস্টমস থেকে অনুমতি পাওয়ামাত্রই আমরা চালানটি ভুটানের পথে পাঠাতে পারব।’

উল্লেখ্য, ২২ মার্চ ২০২৩ বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে একটি প্রটোকল চুক্তি সই হয়। এর এক বছর পর, ২০২৪ সালের এপ্রিলে ভুটানে আয়োজিত দুই দেশের বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়—বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ও সড়কপথ এবং ভারতের সড়কপথ ব্যবহার করে ভুটানে পরীক্ষামূলকভাবে দুটি ট্রানশিপমেন্ট চালান পাঠানো হবে।

এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রামে আসা পণ্যের প্রথম কনটেইনারটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এনএম ট্রেডিং করপোরেশন গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে পাঠায়। এরপর বুড়িমারীর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনকো লিমিটেড কয়েক দফা চেষ্টা করেও চালানটি ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতের অনুমতির অপেক্ষায় বুড়িমারীতে আটকা ভুটানের পণ্য 
  • ভারতের অনুমতি না পাওয়ায় ভুটানের ট্রানশিপমেন্ট পণ্য বুড়িমারীতে আটকে