ও.ইন্ডিজের আরেকটি ব্যাটিং ব্যর্থতা, অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়
Published: 7th, July 2025 GMT
বোলাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যতটা লড়াইয়ে রাখতে পারছেন, ব্যাটসম্যানরা ঠিক উল্টো। সহজ সুযোগগুলোকে হাতছাড়া করছেন। তাতে ম্যাচও ফসকে যাচ্ছে ।
গ্রেনাডায় অস্ট্রেলিয়া ১৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিয়েছে টেস্ট সিরিজ। নিশ্চিত করেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্রের ২৪ পয়েন্ট।
প্রথম ইনিংসে ২৫৩ রানে অলআউট হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায়। তাদের চতুর্থ ইনিংসে লক্ষ্য ছিল ২৭৭ রানের। ৭ উইকেটে ২২১ রান নিয়ে রোববার চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। হাতে ৩ উইকেট রেখে স্কোরবোর্ডে ২২ রান যোগ করতে পারে তারা। এর আগে প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছিল ৩৩ রানের।
২৭৭ রানের লক্ষ্য চতুর্থ ইনিংসে বড় কিছুই। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে দাঁড়ানোর মতো তেমন শক্তি ছিল না ক্যারিবীয়ানদের। উপরের দিকের কোনো ব্যাটসম্যানই ছন্দে নেই। বড় রান আসছিল না তাদের ব্যাটে। ব্যর্থতার বৃত্তেই তারা আটকে রইলেন।
সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন অধিনায়ক রস্টন চেজ। এছাড়া ২৪ রান আসে সামার জোসেফের ব্যাট থেকে। শাই হোপ ১৭, ব্রেন্ডন কিং, ১৪, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ১১ ও কেসি কার্টি ১০ রান করেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরেও যেতে পারেনি।
অস্ট্রেলিয়ার বোলিং ছিল একেবারেই নিয়ন্ত্রিত। নিখুঁত লাইন ও লেন্থ মেনে ধারাবাহিক বোলিং করে গেছেন পেসাররা। স্পিনার নাথান লায়ন পেসারদের দেওয়া ছন্দ ধরে রেখেছেন। ৪২ রানে ৩ উইকেট নেন লায়ন। ৩ উইকেট পেয়েচেন স্টার্কও। এছাড়া জ্যাজেলউড ২ এবং ১টি করে উইকেট নেন কামিন্স ও ওয়েবস্টার।
এর আগে সকালেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সমাপ্তি টানেন সামার জোসেফ ও আলজারি জোসেফ। সামার জোসেফ ইনিংসে পেয়েছেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সিলস, আলজারি ও গ্রেভস।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন অ্যালেক্স ক্যারি। বোলারদের দাপটের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৬৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ রান করেন তিনি।
১৩ জুলাই কিংসটনে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাইকোর্ট বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থানান্তর না করতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন
হাইকোর্টের বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের উদ্যোগ না নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
প্রধান বিচারপতির কাছে লেখা আবেদনটি আজ সোমবার হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের (বিচার) কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী আইনজীবী সাইফুল ইসলাম।
সম্প্রতি হাইকোর্ট ডিভিশনের বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থানান্তরের সম্ভাবনার কথা আলোচনায় এসেছে বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম। তিনি আবেদনে লিখেছেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন। তাই তিনি এ বিষয়ে তাঁর মতামত ও আপত্তি সদয় বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করছেন।
আবেদনে এই আইনজীবী তাঁর পাঁচটি যুক্তি উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মূল আসন রাজধানী ঢাকায় থাকবে। হাইকোর্ট ডিভিশনের সেশন অন্যত্র বসানো গেলেও সেটি অস্থায়ী। এর স্থায়ী স্থানান্তর সাংবিধানিক চেতনার পরিপন্থী।
আইনজীবীর দ্বিতীয় যুক্তি হলো, বিভিন্ন বিভাগে আলাদা বেঞ্চ স্থাপন করা হলে একমুখী আইনপ্রয়োগে ভিন্নতা ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। এটি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এককতা ও নীতিনির্ধারণের ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
তৃতীয় যুক্তিতে বলা হয়, বিভাগীয় শহরে বিচারপতি, স্টাফ, অবকাঠামো ও নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা অত্যন্ত ব্যয়সাধ্য ও জটিল। এতে রাষ্ট্রের অর্থ, সময় ও দক্ষতার অপচয় হবে।
চতুর্থ যুক্তিতে বলা হয়, স্থানীয় প্রভাব, সামাজিক চাপ ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বিচারকার্যে প্রভাব ফেলতে পারে। এটি হাইকোর্টের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস করতে পারে।
পঞ্চম যুক্তিতে আইনজীবী বলেছেন, ঢাকায় হাইকোর্টের মামলার সংখ্যা অনেক বেশি। বিচারপতিদের বিভাগে পাঠানো হলে ঢাকায় বিচারিক জট আরও বেড়ে যাবে।
আবেদনের শেষ অংশে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, উল্লিখিত যুক্তির আলোকে হাইকোর্ট ডিভিশনের বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার জন্য তিনি বিনীতভাবে অনুরোধ করছেন।