বড় ভাইকে খুনের পর লাশ গুমের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন, দম্পতি গ্রেপ্তার
Published: 22nd, May 2025 GMT
পারিবারিক বিবাদের জেরে বড় ভাই সাহেদের সঙ্গে ঝগড়া হয় ছোট ভাই জাহেদ আর তাঁর স্ত্রী তাসনিমের। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ভাঙচুর করা হয় ঘরের আসবাব। পরে সাহেদ ঘুমাতে গেলে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেন জাহেদ ও তাসনিম। পরে লাশ গুম করতে অ্যাম্বুলেন্সে করে নেওয়ার চেষ্টা করেন দুজনে। তবে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরে কাপ্তাই রাস্তা মাথা থেকে মো.
পুলিশ জানায়, স্বামী-স্ত্রী দুজনই মাদকাসক্ত। বুধবার রাতে বড় ভাইয়ের সঙ্গে তাঁদের ঝগড়া হয়। এর জেরেই তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেন তাঁরা। এরপর লাশ গুম করতে চট্টগ্রাম নগর থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন দুজন। খবর পেয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাহেদ ও জাহেদ রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের হাজি মীর হোসেন সওদাগর বাড়ির মৃত জালাল আহমেদের ছেলে। দুই ভাই-ই প্রবাসী।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন জানান, বড় ভাইকে হত্যার পর রাতের আঁধারে লাশ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর বড় ভ ই
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় আরও ৫১ ক্ষুধার্তকে হত্যা
ফিলিস্তিনের গাজায় খাদ্যের টোপ দিয়ে ক্ষুধার্ত মানুষ হত্যা চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে সোমবার গুলি চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এ সময় আহত হন ২০০ জনের বেশি ত্রাণপ্রত্যাশী।
হামাস পরিচালিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় খাদ্যকেন্দ্রে সংঘটিত সাম্প্রতিক হামলাগুলোর মধ্যে এটি সম্ভবত সবচেয়ে মারাত্মক। হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল খাদ্য সরবরাহের স্থানে হামলা চালাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের খাদ্যকেন্দ্রে গুলি চালিয়েছে। এক বেলার আটা পাওয়ার আশায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জড়ো হয়েছিল। ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে দুটি ইসরায়েলি ড্রোনও আঘাত হানে। ঘটনাস্থলের ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করা ট্যাঙ্ক থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হয়।
এই এলাকার প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র নাসের হাসপাতাল। এখানে বহু সংখ্যক আহতকে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। অনেক মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিল।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেন, খাদ্যকেন্দ্রে হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি ড্রোন নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়েছে। কয়েক মিনিট পরে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক থেকেও গোলা নিক্ষেপ করা হয়। ফলে বিপুলসংখ্যক ক্ষুধার্ত মানুষ হতাহত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই নৃশংস হামলার ব্যাপারে তারা তথ্য পেয়েছে। ডব্লিউএইচওর ট্রমা সার্জন ও জরুরি কর্মকর্তা থানোস গারগাভানিস বলেন, খাদ্য বিতরণ উদ্যোগের মধ্যে আরও একটি নৃশংস হামলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে প্রায়ই হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে ইসরায়েল। হত্যাকাণ্ডের পর জিএইচএফ প্রায়ই একই রকম ব্যাখ্যা দেয়। তাদের বক্তব্য, ক্ষুধার্ত জনতা সেনা সদস্যদের কাছাকাছি যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলেই গুলি চালানো হয়।
ফিলিস্তিনিদের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। অথচ বিকল্প কোনো পন্থায় তারা খাবার সংগ্রহ করতে পারে না। বিবিসি ও আলজাজিরার খবর।