পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও তীব্র ঝড়ের কারণে অন্তত ১৩ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরো ৯২ জন। শনিবার (২৪ মে) দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। খবর আনাদোলুর।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (পিডিএমএ) বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, পাঞ্জাবের বিভিন্ন স্থানে ‘জরাজীর্ণ বাড়ি ধসে পড়া ও অনিরাপদ স্থানে থাকার কারণে’ ১০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় পাকিস্তান টেলিভিশনের মতে, তীব্র বাতাসের কারণে স্থানীয় একটি কারখানার ছাদ ধসে একজন শ্রমিক নিহত এবং আরো পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরো পড়ুন:
আকাশসীমা বন্ধের মেয়াদ বাড়াল পাকিস্তান ও ভারত
পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ ভাগ হয়েছিল কেন?
এছাড়া একজন ব্যক্তি বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। ঝড়ের কারণে অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি ও পুরোনো দালান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে ১৩ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে পিডিএমএ।
শুক্রবারের শুরুতে, পিডিএমএ পাঞ্জাবের বিভিন্ন স্থানে তীব্র বাতাস, ধুলো ঝড় এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছিল।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাখাওয়াত স্যার, আপনার কাছে জাতির যত ঋণ
৩০ নভেম্বর ক্যালেণ্ডারের একটি গুরুত্বপূর্ণ তারিখ। কারণ এটি এমন একজন মহান শিক্ষকের জন্মদিন যিনি বাংলাদেশের সাংবাদিকতা শিক্ষার ইতিহাসের একটি বড় জায়গা দখল করে আছেন।
তিনি অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত আলী খান। তাঁর হাত ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় স্নাতক কোর্সের সূচনা হয়েছিল।
আসলে তিনি আমাদের কাছে শুধু একজন শিক্ষকই নন, তিনি ‘শান্তির জন্য সাংবাদিকতা’ চর্চার এক আলোকবর্তিকা।
তাঁর প্রজ্ঞা, সত্যান্বেষণ আর মানবিকতার দীপ্ত আলো তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন প্রজন্মের পর প্রজন্মের যোগাযোগ-সাংবাদিকতার পেশাগত জীবনে।
৩০ নভেম্বর ১৯৪১ সালে জন্মগ্রহণ করা আমাদের এই শিক্ষাগুরু একাধারে সত্যান্বেষী সাংবাদিক, সাহিত্যসাধক, সমাজ-সংগঠক, গবেষক এবং মানবিক ধারার সাংবাদিকতা শিখনচর্চার অগ্রপথিক।
তাঁর ভাষায়, ‘সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়, এটি একটি নৈতিক দায়িত্ব। যুদ্ধের সময় আমি শিখেছি—সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোই সাংবাদিকতার মূল শক্তি।’
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংস্কার দেখতে চাই১১ আগস্ট ২০২৪নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ধনুয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট সরকারি হাইস্কুল এবং ঢাকা কলেজ থেকে পর্যায়ক্রমে তিনি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। অধ্যাপক খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান), এমএ ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্রাবস্থাতেই সাখাওয়াত আলী খান সাংবাদিকতা শুরু করেন। প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি সাংবাদিকতার মূল স্রোতে কাজ করেছেন। প্রতিবেদক থেকে শুরু করে সম্পাদনা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই তাঁর পেশাদারি দক্ষতা তাঁকে অনন্য এক সংবাদসৈনিকের মর্যাদার আসনে আসীন করে।
সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতাচর্চার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতার সোনালি অধ্যায় থেকে পেশাগত জীবন-দর্শনের মর্ম সন্ধান করা যায়।
স্যারের ভাষায়, ‘দৈনিক বাংলায় কাজ করার সময় আমরা জানতাম, সত্য লিখতে গেলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। তবু লিখেছি, কারণ ইতিহাসের কাছে দায়বদ্ধতা ছিল।’
ছাত্রাবস্থাতেই সাখাওয়াত আলী খান সাংবাদিকতা শুরু করেন। প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি সাংবাদিকতার মূল স্রোতে কাজ করেছেন।