ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে নানা আয়োজনে গবেষণা দিবস উদ্যাপন
Published: 25th, May 2025 GMT
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে নানা আয়োজনে প্রথমবারের মতো ‘গবেষণা দিবস’ উদ্যাপন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর আফতাবনগরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য দেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য শামস রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য শেলী এ.
গবেষণা দিবসের আয়োজনের অন্যতম ছিল দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্যানেল আলোচনা। প্রথমটি ছিল ‘বাংলাদেশকে একটি উদ্ভাবনী জাতিতে রূপান্তরের জন্য গবেষণার গুরুত্ব’; যেখানে গবেষণার মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়।
দ্বিতীয় আলোচনার বিষয় ছিল ‘অ্যাকাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি যৌথ গবেষণা: সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’; যেখানে শিল্প ও শিক্ষাক্ষেত্রের অংশীদারত্বকে কেন্দ্র করে এ খাতের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন গবেষক হাসিনা খান, রাশিদুল হক, এ কে এম মাসুদ এবং শিল্প খাত থেকে হুমায়রা আজম, ফিরোজ মোহাম্মদ ও শিহাব আহমেদ।
দিবসের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘থ্রি-মিনিট প্রেজেন্টেশন’ সেশন, যেখানে বিভিন্ন বিভাগ থেকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা তাঁদের চলমান গবেষণা উপস্থাপন করেন। দিন শেষে আয়োজন করা হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের। এখানে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক আজাদ খানকে ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট’ সম্মাননাসহ ৭২ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মোহাম্মদ আশিক মোসাদ্দিক।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে না: গঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় গাজীপুর চৌরাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বিকালেই তিনি গাজীপুর চৌরাস্তায় ফুটপাতে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ করেছিলেন। সন্ধ্যায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। দেশের চাঁদাবাজরা কত নৃশংস ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তার আরেকটি ভয়ংকর দৃষ্টান্ত এটা। এই ন্যক্কারজনক নৃশংস হত্যাকাণ্ড থেকে এটা প্রমাণ হয় যে, ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে দেশ এখন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের দখলে চলে গেছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বাদ জুমআ নগরীর ডিআইটি চত্বর থেকে গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর সহ-সভাপতি মুহা. নুর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. শামসুল আলম, অর্থ সম্পাদক মুহা. ইসমাইল, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মাও. সাইয়্যেদ রিদওয়ান, সহ প্রচার ও দাওয়া সম্পাদক মোস্তফা তালুকদার প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, ফুটপাতে কারা চাঁদাবাজি করে তা সবাই জানে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট। অবিলম্বে এদের গ্রেফতার করতে হবে এবং শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, একের পর এক এরকম হত্যাকাণ্ড, জুলুম করেই যাচ্ছে। অপরদিকে প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। দেশের জনগণ আইনের শাসন পাচ্ছে না।
নেতৃবৃন্দ হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, একটি মহলের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেশ আরও অশান্ত করে তুলছে। প্রকাশ্যে তারা মানুষকে দা, কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এটা কোন সভ্য মানুষের বক্তব্য হতে পারে না। এমন বক্তব্য কেবল উগ্র সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকেই আসতে পারে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।