বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি জনগণের অধিকার হরণ করে নয়, বরং বিনয়ী হয়ে ভোট চাইবে। আওয়ামী লীগের মতো ভোট কারচুপি করবে না এবং আইন ভঙ্গ করবে না।

বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে উত্তরায় বিএনপির সদস্য নবায়ন এবং প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচির ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আওয়ামী লীগের সময় ভোটকেন্দ্রে কেউ যেতে পারেনি। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই তার ভোট দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা এটি চাই না। আমরা নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিলাম, যাতে সবাই তার নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।”

তিনি বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একই কথা বলেছেন যে,  মানুষকে শাসিয়ে বা তাদের অধিকার হরণ করে ভোট পাওয়া যাবে না; বরং বিনয়ী হয়ে ভোট চাইতে হবে।”

বিএনপির মহাসচিব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিচক্ষণতার প্রশংসা ও অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে লন্ডনের বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক’ উল্লেখ করে বলেন,  “আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বলেছিলাম, আর প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন এপ্রিলে। এখানে এক প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু তারেক রহমানের বিচক্ষণতা দেখেন, তিনি দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন, যাতে কোনো বিপদ না আসে। এমন বিচক্ষণ নেতা খুব কমই আছে।”

গতকাল জামায়াতে ইসলামীর ঐকমত্য কমিশনে অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এত কিছুর পরও অনেকের মন ভালো নেই, যে কারণে গতকাল তারা আসেইনি।”

সদস্য নবায়ন কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল সতর্ক করে বলেন, “আজকে যে সদস্য নবায়ন করা হচ্ছে সেখানে যেন কোনো আওয়ামী লীগ না থাকে। কারণ এটা পরীক্ষিত, আওয়ামী লীগের কেউই ভালো না। আওয়ামী লীগ নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কারো স্বার্থ দেখতে পারে না। তাই তাদের কাউকে দলে নেওয়া যাবে না। তবে নিরপেক্ষ কেউ থাকলে তাকে অবশ্যই দলে আসার জন্য আহ্বান জানানো হবে।”

তুরাগ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায হারুন অর রশীদ খোকনের সভাপতিত্বে ও থানার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাজী মো.

জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

ঢাকা/রায়হান/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র ফখর ল সদস য ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে তরুণকে গুলি করে হত্যা

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে কথা–কাটাকাটির জেরে মো. আলমগীর (১৮) নামের এক রোহিঙ্গা তরুণকে গুলি করে হত্যা করেছে অন্য এক রোহিঙ্গা। আজ সোমবার দুপুরে নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড আশ্রয়শিবিরের ডি ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলমগীর ডি ব্লকের বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ হারেছের ছেলে।

নয়াপাড়া ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক নূরে আযম প্রথম আলোকে বলেন, ডি ব্লকের মো. আলমগীরের সঙ্গে সি ব্লকের রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আলমের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নুরুল আলম তাঁর হাতে থাকা ওয়ান শুটারগান দিয়ে আলমগীরের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আলমগীরকে স্থানীয় জিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশটি টেকনাফ মডেল থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আশ্রয়শিবিরের কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, শিবিরসংলগ্ন পাহাড়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা আস্তানা গড়ে তুলেছে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নানা ধরনের অস্ত্র রয়েছে। তারা শিবিরের বাসিন্দাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হিমেল রায় প্রথম আলোকে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভোলা-১ আসনে গোলাম নবীকে বিএনপির প্রার্থী করার দাবি
  • কাভার্ডভ্যান চালকের কাছে মিলল থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র 
  • যশোরে প্রাইভেট কার থামিয়ে নগদ এজেন্টের ‘৫৫ লাখ টাকা’ ছিনতাইয়ের অভিযোগ
  • গোপনে মিঠুনের জন্য কেন কেঁদেছিলেন আঁখি আলমগীর
  • টেকনাফে রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
  • টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে তরুণকে গুলি করে হত্যা