ঘরের মেঝে জীবাণুমুক্ত রাখতে যা করবেন
Published: 19th, June 2025 GMT
বৃষ্টির কারণে এই সময় রাস্তাঘাট কাদা হয়ে যায়। জুতায় লেগে সেই কাদা ঘরের ভিতরেও প্রবেশ করছে। এতে ঘরের মেঝে যেমন নোংরা হচ্ছে, তেমনই জীবাণুও ঘরে ঢুকছে। ফলে নানা ধরনের সংক্রমণের ভয় বাড়ছে। এই মৌসুমে ঘরের মেঝে জীবাণুমুক্ত রাখতে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করুন। যেমন-
সঠিক জায়গায় জুতা খুলুন : বাইরের জুতা ঘরে ঢোকাবেন না। জুতায় কাদা লাগলে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। যেখানে জুতা খুলবেন তার পাশেই বৃষ্টিতে ভেজা ছাতাও রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে তারপরে ঘরে ঢোকাবেন। তাহলে ঘরের মধ্যে কাদা হবে না এবং মেঝে পরিষ্কার থাকবে।
ভিনেগার: বর্ষায় ঘর অনেকেটা স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকে। এতে সংক্রমণের ভয়ও বাড়ে। এ সময় নিয়মিত শুকনো করে ঘরের মেঝে মুছতে হবে। ঘর মোছার পানিতে এক কাপ ভিনেগার এবং কয়েক ফোঁটা যে কোনও এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি জীবাণুনাশকের কাজ করবে। এরপরে শুকনো কাপড় দিয়ে আবার মুঝে নিন।
বেকিং সোডা : ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। গরম পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা, এর সঙ্গে যে কোনও এসেনশিয়াল অয়েল ৩-৪ ফোঁটা মিশিয়ে নিতে পারেন। এই মিশ্রণটি দিয়ে দু’বার ঘর মুছলে ঘর জীবাণুমুক্ত এবং চকচকে হয়ে উঠবে।
নিম তেল : বর্ষায় ঘরে পোকামাকড়, পিঁপড়ার উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই এই সময় ঘর মোছার সময় পানিতে নিম তেলও মেশাতে পারেন। এ ছাড়া একটি স্প্রে বোতল সমপরিমাণ পানি ও নিম তেল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে রাখতে পারেন। প্রতিদিনে ঘরে এই মিশ্রণ থেকে স্প্রে করুন। এতে বর্ষায় ঘরের ভ্যাপসা গন্ধ দূর হবে। সেই সঙ্গে ঘর থাকবে জীবাণুক্ত।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদলের মিছিলে হামলার অভিযোগ, নরসিংদী জেলা বিএনপি নেতা জুয়েল গ্রেপ্তার
নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদলের মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফজলুর কবির জুয়েল পলাশ বাজার এলাকার ফজর আলী মাস্টারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে উপজেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শোডাউনের উদ্দেশে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বিএডিসি মোড় এলাকায় গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের নেতৃত্বে তার সমর্থকদের একটি শোডাউনের মুখোমুখি হয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল হোসেন, পথচারী সোহেল মিয়াসহ আরো কয়েকজন। এ ঘটনায় ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলকে প্রধান করে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে পলাশ থানায় একটি মামলা করেন।
আরো পড়ুন:
উত্তরায় র্যাব পরিচয়ে কোটি টাকা ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৫
টাঙ্গাইলে মাদকসহ দুই সহোদর গ্রেপ্তার
পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘‘শোডাউনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে। বুধবার রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফজলুল কবির জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।’’
ঢাকা/হৃদয়/রাজীব