বৃষ্টির কারণে এই সময় রাস্তাঘাট কাদা হয়ে যায়। জুতায় লেগে সেই কাদা ঘরের ভিতরেও প্রবেশ করছে। এতে ঘরের মেঝে যেমন নোংরা হচ্ছে, তেমনই জীবাণুও ঘরে ঢুকছে। ফলে নানা ধরনের সংক্রমণের ভয় বাড়ছে। এই মৌসুমে ঘরের মেঝে জীবাণুমুক্ত রাখতে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করুন। যেমন-

সঠিক জায়গায় জুতা খুলুন : বাইরের জুতা ঘরে ঢোকাবেন না। জুতায় কাদা লাগলে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। যেখানে জুতা খুলবেন তার পাশেই বৃষ্টিতে ভেজা ছাতাও রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে তারপরে ঘরে ঢোকাবেন। তাহলে ঘরের মধ্যে কাদা হবে না এবং মেঝে পরিষ্কার থাকবে।

ভিনেগার: বর্ষায় ঘর অনেকেটা স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকে। এতে সংক্রমণের ভয়ও বাড়ে। এ সময় নিয়মিত শুকনো করে ঘরের মেঝে মুছতে হবে। ঘর মোছার পানিতে এক কাপ ভিনেগার এবং কয়েক ফোঁটা যে কোনও এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি জীবাণুনাশকের কাজ করবে। এরপরে শুকনো কাপড় দিয়ে আবার মুঝে নিন। 

বেকিং সোডা : ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। গরম পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা, এর সঙ্গে যে কোনও এসেনশিয়াল অয়েল ৩-৪ ফোঁটা মিশিয়ে নিতে পারেন। এই মিশ্রণটি দিয়ে দু’বার ঘর মুছলে ঘর জীবাণুমুক্ত এবং চকচকে হয়ে উঠবে।

নিম তেল : বর্ষায় ঘরে পোকামাকড়, পিঁপড়ার উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই এই সময় ঘর মোছার সময় পানিতে নিম তেলও মেশাতে পারেন। এ ছাড়া একটি স্প্রে বোতল সমপরিমাণ পানি ও নিম তেল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে রাখতে পারেন। প্রতিদিনে ঘরে এই মিশ্রণ থেকে স্প্রে করুন। এতে বর্ষায় ঘরের ভ্যাপসা গন্ধ দূর হবে। সেই সঙ্গে ঘর থাকবে জীবাণুক্ত। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক রমণ ঘর র ম ঝ

এছাড়াও পড়ুন:

রোনালদো বললেন, ‘স্পেনের চেয়ে সৌদি আরবে গোল করা কঠিন’

ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্বে কথার আগল খুলে দিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অন্তরঙ্গ এই সাক্ষাৎকারে রোনালদো তাঁর ক্যারিয়ার, অর্জন, অবসর এবং ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কথা বলেছেন।

একই সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় অংশেও সামনে এসেছে ‘সিআর সেভেনের’ চমকপ্রদ সব মন্তব্য। যেখানে তিনি দিয়েগো জোতার শেষকৃত্যে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যার পাশাপাশি কথা বলেছেন নিজের গোল করার ক্ষমতা, সৌদি ফুটবল ও বিশ্বকাপ নিয়েও।

লিভারপুল ও পর্তুগালের ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোতা এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভা গত জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মারা যান। ক্লাব ও জাতীয় দলের বেশ কিছু সতীর্থ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত জোতা ও তাঁর ভাইয়ের শেষকৃত্যে যোগ দিলেও রোনালদো ছিলেন অনুপস্থিত। রোনালদো বলেছেন, তিনি জোতার শেষকৃত্যে যাননি। কারণ, তিনি চাননি বিষয়টা ‘একটা সার্কাস’–এ পরিণত হোক।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপ জিতলেই কি ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হয় কেউ—প্রশ্ন রোনালদোর০৫ নভেম্বর ২০২৫

পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, ‘মানুষ আমার অনেক সমালোচনা করে। আমি তাতে কিছু মনে করি না। যখন তোমার বিবেক পরিষ্কার থাকে, তখন কে কী বলল, তা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। আমি একটা কাজ আর করি না, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমি আর কখনো কবরস্থানে যাইনি। আমাকে যারা চেনে, তারা বিষয়টা জানে। আমি যেখানে যাই, সেখানে ভিড় জমে, হইচই হয়, মানে একরকম সার্কাস শুরু হয়ে যায়।’

রোনালদো যোগ করেন, ‘আমি বাইরে যাই না। কারণ, গেলে সবার দৃষ্টি আমার দিকেই চলে যায়। আমি এমন মনোযোগ চাই না। আমি দেখছিলাম যে কিছু লোক সেই সংবেদনশীল মুহূর্তে সাক্ষাৎকার নিচ্ছিল বা ফুটবল নিয়ে কথা বলছিল, আমি এটা পছন্দ করি না।’

পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় অংশে রোনালদো কথা বলেছেন নিজের গোল করার ক্ষমতা নিয়েও, ‘বাজে একটি মৌসুমেও যখন আল নাসর কোনো ট্রফি জেতেনি, তখনো আমি ২৫টি গোল করেছি। যদি আমি প্রিমিয়ার লিগে খেলতাম, তাহলে এখনো একই রকম গোল করতাম। ভালো দলে থাকলে ৪০ বছর বয়সেও একই রকম পারফর্ম করতাম।’

সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

সম্পর্কিত নিবন্ধ