বিটিএস সদস্যরা যখন বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণে যাওয়ার ঘোষণা দেন, তখন তা শুধু দক্ষিণ কোরিয়া নয়—বিশ্বজুড়ে তাঁদের ভক্তদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিল। ২০২২ সালে ব্যান্ডের সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। প্রিয় ব্যান্ডের এমন সিদ্ধান্তে অনেকে কষ্ট পেয়েছিলেন, অনেকে আবার গর্বিত ছিলেন। তবে বিটিএস সদস্যরা সব সময় জানিয়ে এসেছেন, বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণে যোগ দেওয়া তাঁদের দায়িত্ব, তাঁরা সেটা গর্বের সঙ্গে পালন করবেন। বিটিএসের সাত সদস্যদের মধ্যে ছয়জনই বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা শেষে একে একে ফিরে এসেছেন বেসামরিক জীবনে। সামরিক শৃঙ্খলার ঘেরাটোপে থেকেও তাঁরা কখনো কখনো ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। চিঠি কিংবা লাইভে এসে নিজেদের গল্প শুনিয়ে তাঁরা জানান দিয়েছেন, কেমন আছেন। একে একে শোনা যাক তাঁদের গল্পগুলো।

‘ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো ভুলে গিয়েছি’
২০২২ সালের ডিসেম্বরে জিন সবার প্রথমে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি ছিলেন ৫ম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের রিক্রুট ট্রেনিং সেন্টারের সহকারী ড্রিল প্রশিক্ষক। এই ইউনিটেই পরে জিমিন ও জংকুক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। সেনা ইউনিটের ভেতরে জিনের দায়িত্বশীলতা ও নেতৃত্ব প্রশংসিত হয়। ভক্তদের উদ্দেশে তিনি মাঝেমধ্যে হাতে লেখা চিঠি বা উইভার্সে বার্তা পাঠিয়েছেন। ২০২৪ সালের ১২ জুন দায়িত্ব থেকে ফেরার পর লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে এখন খুব অদ্ভুত লাগছে। মনে হচ্ছে, প্রথমবারের মতো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম।’ প্রশিক্ষণ থেকে ফেরার পরদিনই তিনি ‘বিটিএস ফিস্টা ২০২৪’–এর মঞ্চে এসে ভক্তদের সঙ্গে দেখা করেন, অনেককে জড়িয়ে ধরেন। এটি ছিল ভক্তদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত!

জে-হোপের আত্মশুদ্ধির যাত্রা
জে-হোপ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে। তিনি ছিলেন ৩৬তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের সক্রিয় সৈনিক। যদিও তিনি প্রকাশ্যে খুব বেশি কিছু বলেননি। তবে মাঝেমধ্যে উইভার্সে পোস্ট করে বা ছুটিতে লাইভে এসে তাঁর দিনগুলো সম্পর্কে বলেছেন। তিনি জানান, সময়টা শারীরিক ও মানসিকভাবে কষ্টকর হলেও তিনি এটিকে দেখেছেন আত্মশুদ্ধি ও নিজেকে গঠনের সময় হিসেবে। জে-হোপ বলেন, ‘সহনশীলতা, ধৈর্য আর দায়িত্বশীলতা—এই তিন জিনিস আমি গভীরভাবে শিখেছি।’

আরএমের দীর্ঘ রাতগুলো
সেনাজীবন শেষ করে বের হওয়ার সময় আরএম যখন স্যাক্সোফোন বাজাচ্ছিলেন, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, তাঁর পথটা বোধ হয় খুব মসৃণ ছিল। তবে বিষয়টা মোটেও সে রকম নয়। আরএম দায়িত্ব পালন করেছেন ১৫তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের মিলিটারি ব্যান্ডে। সেখানেই তিনি স্যাক্সোফোন বাজানো শেখেন। সেনাজীবনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল, আমি আবার সেই ১৭ বছর বয়সী শিক্ষানবিশ একজন হয়ে গেছি।’

লাইভে এসে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন আরএম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ট এস

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষা, ফরম পূরণের সময় বাড়ল ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের প্রক্রিয়ার সময় ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

ফরম পূরণের বর্ধিত সময়—

১. আবেদন ফরম পূরণের বর্ধিত তারিখ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫।

২. ডাটা এন্ট্রি নিশ্চয়নের শেষ তারিখ: ২৮ সেপ্টেম্বর ১১:৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

৩. সোনালী সেবার মাধ্যমে টাকা জমার শেষ তারিখ: ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে—

২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত, ২০১৯-২০২০, ২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন এবং ২০১৭-২০১৮ ও ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শুধুমাত্র Promoted শিক্ষার্থীরা ‘F’ গ্রেড পাওয়া কোর্সে ২০২৪ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য—

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে রেজিস্ট্রেশন করা অনার্স কোর্সের সকল ছাত্রছাত্রী ২০২৩ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে Promoted হয়ে ২০২৪ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের কোর্স সম্পন্ন করেছে তারা নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে অনার্স কোর্সের সিলেবাস ও সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

আরও পড়ুনআয়ারল্যান্ড সরকারের বৃত্তি: মাস্টার্স ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ৮ ঘণ্টা আগেঅনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য—

২০১৯-২০২০, ২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের যেসব শিক্ষার্থী অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে Not Promoted হয়েছে অথবা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি ওই সব শিক্ষার্থী অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে ২০২৪ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। Not Promoted শিক্ষার্থীকে আগের বছরের পাস করা কোর্সের পরীক্ষা দিতে হবে না। তবে যারা ২০২৩ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে প্রথমবারের মতো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ‘C’ বা ‘D’ গ্রেড পেয়েছে শুধুমাত্র তারাই ২০২৪ সালের পরীক্ষায় উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত করার জন্য পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে সর্বোচ্চ দুটি কোর্সে এবং ‘F’ গ্রেড প্রাপ্ত সব কোর্সে পরীক্ষা দিতে হবে।

# বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা ঢাবি হল সংসদ নেতাসহ ৬ শিক্ষার্থী
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষা, ফরম পূরণের সময় বাড়ল ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
  • রাকসু নির্বাচনে এক বিভাগ থেকেই ভিপিসহ ২২ প্রার্থী
  • বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন: রাশিয়া কেন নিষিদ্ধ, ইসরায়েল কেন নয়