মোটরসাইকেল ব্যয় ও সময়সাশ্রয়ী। তুলনামূলক পরিবেশবান্ধব। চলাচলে রয়েছে স্বাধীনতার সুখ। আছে তারুণ্যের উদ্দীপনা, নায়কোচিত অনুভূতি। ফলে এই বাহন যে অর্থ, সময় ও পরিবেশসচেতন ও স্বাধীনচেতা মানুষের কাছে অবিসংবাদিতভাবে সবচেয়ে প্রিয় বাহন হিসেবে বিবেচিত হবে, তা বলাই বাহুল্য।
মোটরসাইকেলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশের অংশ হিসেবে ২১ জুন বিশ্ব মোটরসাইকেল দিবস পালিত হয়। দিনটির সূচনা অবশ্য খুব বেশি আগে নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে ২০১৫ সালে প্রথম বৈশ্বিকভাবে মোটরসাইকেল দিবস পালনের ধারণা তৈরি হয়। ধারণাটি এসেছিল মূলত ইউরোপ ও আমেরিকার কিছু মোটরসাইকেলচালকের মাধ্যমে। এরপর ২০১৭ সালে বেছে নেওয়া হয় ২১ জুন তারিখটি এবং সে বছরই দিবসটি অনানুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয়।
বিশ্ব মোটরসাইকেল দিবস হিসেবে ২১ জুন তথা আজকের তারিখটি বেছে নেওয়ার কারণও খুব স্পষ্ট। আজ উত্তর গোলার্ধের দীর্ঘতম দিন। মোটরসাইকেল চালানোর জন্য সবচেয়ে বেশি দিনের আলো পাওয়া যাবে আজ। এ ছাড়া মোটরসাইকেলের চালকদের জন্য দীর্ঘতম এই দিনকে মুক্তি, স্বাধীনতা, রোমাঞ্চ ও উদ্যমের প্রতীক বলে মনে করা হয়।
ন্যাশনাল টুডে ডটকম অবলম্বনে
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মা অয়েলের মুনাফা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ
সরকারি তেল কোম্পানি পদ্মা অয়েলের মুনাফা এক বছরের ব্যবধানে ৩৮ শতাংশ বেড়েছে। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৩ কোটি টাকায়। তার আগে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটির মুনাফা ছিল ৪০৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে পদ্মা অয়েলের মুনাফা ১৫৪ কোটি টাকা বা ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।
গত বুধবার সরকারি এই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থিক প্রতিবেদনের কিছু তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে কোম্পানিটি। একই সভায় গত অর্থবছরের জন্য শেয়ারধারীদের ১৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাতে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের জন্য একজন বিনিয়োগকারীকে ১৬ টাকা লভ্যাংশ দেওয়া হবে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
কোম্পানিটির তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১৫৭ কোটি টাকা লভ্যাংশবাবদ বিতরণ করবে। ২৭ নভেম্বর রেকর্ড তারিখে যাঁদের হাতে কোম্পানিটির শেয়ার থাকবে, তাঁরা ঘোষিত এই লভ্যাংশ পাবেন।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের পর চলতি বছরই কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০০৯ সালে কোম্পানিটি সর্বোচ্চ ২০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এরপর প্রায় ১৬ বছর পর এবার ১৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দিলেও গতকাল ঢাকার বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এদিন পদ্মা অয়েলের প্রতিটি শেয়ারের দাম ১ টাকা কমে দাঁড়ায় ১৯৪ টাকা ৩০ পয়সায়।
পদ্মা অয়েলের বুধবারের সভায় গত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার পাশাপাশি চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেরও আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে চলতি বছরের একই প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটি ১৫৮ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১২৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ৩৪ কোটি টাকা বা প্রায় সাড়ে ২৭ শতাংশ বেড়েছে।
সরকারি কোম্পানি পদ্মা অয়েল ১৯৭৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এটির শেয়ারের মালিকানার ৫০ শতাংশ রয়েছে সরকারের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩১ শতাংশ, ১৭ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আর বাকি শেয়ার বিদেশি ও উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে।