‘সিন্ধু পানি চুক্তি পুনর্বহাল করবে না ভারত’
Published: 21st, June 2025 GMT
ভারত কখনোই পাকিস্তানের সাথে সিন্ধু পানি চুক্তি পুনর্বহাল করবে না। পাকিস্তানে প্রবাহিত পানি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করা হবে। শনিবার টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তি হয়েছিল। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, এই চুক্তি থেকে কোনো পক্ষেরই বের হয়ে যাওয়ার উপায় নেই। তবে এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে চুক্তি স্থগিত করে ভারত।
মে মাসে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধের পর দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। তবে চুক্তিটি এখনো সচল হয়নি।
শনিবার অমিত শাহ বলেছেন, “না, এটি কখনো পুনর্বহাল করা হবে না। আমরা একটি খাল নির্মাণ করে পাকিস্তানে প্রবাহিত পানি রাজস্থানে নিয়ে যাব। পাকিস্তান অন্যায়ভাবে যে পানি পাচ্ছে তা থেকে বঞ্চিত থাকবে।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার সবচেয়ে ক্ষমতাধর মন্ত্রী শাহের সর্বশেষ মন্তব্য, নিকট ভবিষ্যতে চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসলামাবাদের আশাকে ম্লান করে দিয়েছে।
পাকিস্তান এর আগে জানিয়েছিল, পাকিস্তানে প্রবাহিত নদীর জল আটকে দেওয়াকে ‘যুদ্ধের পদক্ষেপ’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে চুক্তিটি স্থগিত রাখার ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জও খতিয়ে দেখছে ইসলামাবাদ।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান সংস্কার ও বিচার দেখতে চায় খেলাফত মজলিস
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। তবে দলটি মনে করে, নির্বাচনের আগে সংস্কার, বিচার ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সম্প্রতি প্রকাশিত জুলাই ঘোষণাপত্রে বেশ কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে দলটি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দলটির পক্ষ থেকে এসব দাবি তোলা হয় বলে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, নির্বাচনের আগেই দৃশ্যমান সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি। গণহত্যাকারী পতিত ফ্যাসিস্টদের বিচারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রয়োজন। পেশিশক্তি, কালোটাকার প্রভাবমুক্ত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে হবে। জন–আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বৈঠকে বলা হয়, সম্প্রতি প্রকাশিত জুলাই ঘোষণাপত্রে বেশ কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এগুলোর উল্লেখ করে বলা হয়, জুলাই ঘোষণাপত্রের ১৩তম দফায় এক-এগারো সরকার ও ২০০৮ সালে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর পাতানো নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। ১৭তম দফায় অভ্যুত্থানের শহীদের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার উল্লেখ করা হয়েছে, যা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখিত সংখ্যা থেকে অনেক কম।
এ ছাড়া ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে রাতের আঁধারে আলেম-উলামা ও ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা, ২০১৮ সালে ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক দমন-নিপীড়ন, ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে ২১ জন মানুষকে হত্যা—এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জুলাই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়নি বলে জানান খেলাফত মজলিসের নেতারা। অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র সংশোধনের দাবি জানিয়ে তাঁরা বলেন, এসব বিষয় সংশোধন করে জুলাই ঘোষণাপত্রে সংযুক্ত করা না হলে তা অপূর্ণাঙ্গ, অভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থি ও জাতির জন্য হতাশাজনক হবে।
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, মাওলানা সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী প্রমুখ।